কলকাতা, 23 অক্টোবর : নরম, কচি হাতগুলোতে খাতা-কলম কিংবা খেলনা নেই ৷ রয়েছে বাসন কিংবা চায়ের গ্লাস ৷ স্কুল নয়, ওরা যায় লোকের বাড়িতে, চায়ের দোকানে কিংবা কোনও সস্তার হোটেলে কাজ করতে ৷ বয়স কত? 7 থেকে 14৷ কিন্তু আর কতদিন চলবে? কবে বন্ধ হবে? শিশুশ্রম রুখতে তাই কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য ৷ শিশু শ্রম বন্ধ করতে এবার আবাসিক স্কুল গড়ে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে ৷
2019-2020 অর্থবর্ষে আবাসিক স্কুলগুলির জন্য রাজ্য বাজেটে 53 লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ৷ রাজ্যের উদ্যোগে জেলায় জেলায় গড়ে উঠেছে আবাসিক স্কুল ৷ শিশুশ্রম রুখতে তৎপর রাজ্যের শ্রমদপ্তর । একের পর এক উদ্যোগ নিচ্ছেন শ্রমদপ্তরের আধিকারিকরা ।
14 বছরের কম বয়সি শিশুদের ক্ষতিকারক কোনও শিল্পে কাজ করা রুখতে ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে চালু হয়েছে নজরদারি । এছাড়াও 2016 সালের শিশু ও বয়ঃসন্ধি শ্রমরোধী আইন অনুযায়ী শ্রমদপ্তর কিশোরদের কাজের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রক্রিয়া চালু করেছে । রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আবাসিক স্কুল খুলছে সেই ভাবনা থেকেই । উত্তর দিনাজপুর, নদিয়া, উত্তর 24 পরগনা, দক্ষিণ 24 পরগনা, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এই স্কুল ইতিমধ্যে চালু হয়ে গেছে । নবান্ন সূত্রে খবর, প্রতিটি জেলায় একটি করে স্কুলকে আবাসিক স্কুলে রূপান্তরিত করতে উদ্যোগী হয়েছে শ্রমদপ্তর ।