ETV Bharat / city

ফণীর সতর্কতায় বন্ধ থাকছে কলকাতা বিমানবন্দর, পৌরনিগমে কন্ট্রোল রুম - super cyclone

ঘূর্ণিঝড় ফণীর জেরে আগামীকাল রাত 9টা 30 মিনিট থেকে শনিবার সকাল 6টা পর্যন্ত বিমান ওঠানামা বন্ধ থাকছে কলকাতা বিমানবন্দরে । এছাড়া আজ মধ্যরাত থেকে আগামী 24 ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ থাকছে ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরেও ।

উপগ্রহ চিত্র
author img

By

Published : May 2, 2019, 10:15 PM IST

কলকাতা, 2 মে : ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণী । ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গের কিছু এলাকায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগামীকাল ঘণ্টায় 170-180 কিলোমিটার বেগে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে ফণী । পুরির কাছাকাছি গোপালপুর ও চাঁদবালির মাঝামাঝি জায়গায় দুপুর আড়াইটে থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে ফণী। এর জেরে ঘণ্টায় প্রায় 200 কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলে জানা গেছে । অন্যদিকে, আগামীকাল গভীর রাত থেকে শনিবার (4 মে) ভোরের মধ্যে আমাদের রাজ্যে ফণী প্রবেশ করবে । সেসময় এর গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় 90 থেকে 100 কিলোমিটার। এর জেরে প্রায় 90 কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস । এর জেরে ইস্ট-কোস্ট ও সাউথ-ইস্ট ডিভিশনের একাধিক ট্রেন বাতিল হয়েছে । বাতিল করা হয়েছে একাধিক বিমানও । আগামীকাল রাত 9টা 30 মিনিট থেকে শনিবার সকাল 6টা পর্যন্ত বিমান ওঠানামা বন্ধ থাকছে কলকাতা বিমানবন্দরে । এছাড়া আজ মধ্যরাত থেকে আগামী 24 ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ থাকছে ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরেও । দিঘা, পুরি, মন্দারমণি, তাজপুর, শংকরপুর, বকখালি সহ একাধিক জায়গায় পর্যটকদের জলে নামতে নিষেধ করা হয়েছে । ব্যবস্থা নিচ্ছে কলকাতা পৌরনিগম ও কলকাতা ট্রাফিক পুলিশও ।

ফণীর জেরে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস । উপকূলীয় জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে । ঘণ্টায় 50-60 কিলোমিটার বেগে হাওয়া চলছে বলে জানা গেছে । আগামীকাল এর গতিবেগ বেড়ে ঘণ্টায় 80-90 কিলোমিটার হতে পারে । সঙ্গে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা । এরপর 4 মে দুই মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও কলকাতায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল ঝড়ের সর্তকতা জারি করা হচ্ছে । সেই সঙ্গে সতর্কতা রয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলাতেও ।

fani
কলকাতার আকাশ দুপুর থেকেই মেঘলা

কলকাতায় আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আজ বৈঠকে বসেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম । বৈঠক শেষে বলেন, "ঘূর্ণিঝড় ফণীর অভিমুখ কলকাতার দিকে রয়েছে । তাই আমরা তৈরি থাকছি। শহরের সমস্ত হোর্ডিং খুলে ফেলার জন্য প্রত্যেকটি বোরোতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । ফুটপাতে বসবাসকারীরা ও নিচু এলাকায় ও কাঁচা বাড়িতে যাঁরা থাকেন তাঁদের নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে । বিপজ্জনক বাড়িগুলি থেকেও সকলকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । ইলেকট্রিকের পোলগুলিতে খোলা তার থাকলে সেগুলি খুলে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।"

কলকাতা পৌরনিগমের সদর দপ্তরে খোলা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম । কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর 033-22861414, 033-22861313, 033-22861212। এছাড়া 16 টি বোরো অফিসেও থাকছে কন্ট্রোল রুম। রিলিফের সামগ্রী নিয়ে প্রস্তুত থাকছে প্রত্যেকটি বোরো অফিস । তৎপর থাকছে কলকাতার ডিজ়াস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম, বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টও । সেই সঙ্গে নিকাশি বিভাগকেও প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে পৌরনিগম । পাম্পিং স্টেশনগুলিতে অতিরিক্ত মেশিন রাখা হবে যাতে অতি বৃষ্টিতে জল জমার সমস্যায় শহরে দুর্ভোগ না বাড়ে । মেয়র জানিয়েছেন, তিনি শনিবার সকাল থেকেই কলকাতার পাম্পিং স্টেশনগুলিতে নজরদারি চালাবেন । তারপর কলকাতার সদর দপ্তরে নিজের কন্ট্রোল রুমে থাকবেন মেয়র ।

বিপর্যয় মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ । "ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্ট্রম" ফণীর ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ঝড়টির গতিবিধির উপর নজর রাখছে তারা । কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরে সতর্কতা জারি হয়েছে । পাঁচটি কোস্ট গার্ড ভেসেল সহ অপারেশনাল ক্র্যাফস্টগুলিকেও সতর্কতা মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

কলকাতা, 2 মে : ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণী । ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গের কিছু এলাকায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগামীকাল ঘণ্টায় 170-180 কিলোমিটার বেগে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে ফণী । পুরির কাছাকাছি গোপালপুর ও চাঁদবালির মাঝামাঝি জায়গায় দুপুর আড়াইটে থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে ফণী। এর জেরে ঘণ্টায় প্রায় 200 কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলে জানা গেছে । অন্যদিকে, আগামীকাল গভীর রাত থেকে শনিবার (4 মে) ভোরের মধ্যে আমাদের রাজ্যে ফণী প্রবেশ করবে । সেসময় এর গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় 90 থেকে 100 কিলোমিটার। এর জেরে প্রায় 90 কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস । এর জেরে ইস্ট-কোস্ট ও সাউথ-ইস্ট ডিভিশনের একাধিক ট্রেন বাতিল হয়েছে । বাতিল করা হয়েছে একাধিক বিমানও । আগামীকাল রাত 9টা 30 মিনিট থেকে শনিবার সকাল 6টা পর্যন্ত বিমান ওঠানামা বন্ধ থাকছে কলকাতা বিমানবন্দরে । এছাড়া আজ মধ্যরাত থেকে আগামী 24 ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ থাকছে ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরেও । দিঘা, পুরি, মন্দারমণি, তাজপুর, শংকরপুর, বকখালি সহ একাধিক জায়গায় পর্যটকদের জলে নামতে নিষেধ করা হয়েছে । ব্যবস্থা নিচ্ছে কলকাতা পৌরনিগম ও কলকাতা ট্রাফিক পুলিশও ।

ফণীর জেরে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস । উপকূলীয় জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে । ঘণ্টায় 50-60 কিলোমিটার বেগে হাওয়া চলছে বলে জানা গেছে । আগামীকাল এর গতিবেগ বেড়ে ঘণ্টায় 80-90 কিলোমিটার হতে পারে । সঙ্গে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা । এরপর 4 মে দুই মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও কলকাতায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল ঝড়ের সর্তকতা জারি করা হচ্ছে । সেই সঙ্গে সতর্কতা রয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলাতেও ।

fani
কলকাতার আকাশ দুপুর থেকেই মেঘলা

কলকাতায় আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আজ বৈঠকে বসেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম । বৈঠক শেষে বলেন, "ঘূর্ণিঝড় ফণীর অভিমুখ কলকাতার দিকে রয়েছে । তাই আমরা তৈরি থাকছি। শহরের সমস্ত হোর্ডিং খুলে ফেলার জন্য প্রত্যেকটি বোরোতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । ফুটপাতে বসবাসকারীরা ও নিচু এলাকায় ও কাঁচা বাড়িতে যাঁরা থাকেন তাঁদের নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে । বিপজ্জনক বাড়িগুলি থেকেও সকলকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । ইলেকট্রিকের পোলগুলিতে খোলা তার থাকলে সেগুলি খুলে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।"

কলকাতা পৌরনিগমের সদর দপ্তরে খোলা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম । কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর 033-22861414, 033-22861313, 033-22861212। এছাড়া 16 টি বোরো অফিসেও থাকছে কন্ট্রোল রুম। রিলিফের সামগ্রী নিয়ে প্রস্তুত থাকছে প্রত্যেকটি বোরো অফিস । তৎপর থাকছে কলকাতার ডিজ়াস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম, বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টও । সেই সঙ্গে নিকাশি বিভাগকেও প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে পৌরনিগম । পাম্পিং স্টেশনগুলিতে অতিরিক্ত মেশিন রাখা হবে যাতে অতি বৃষ্টিতে জল জমার সমস্যায় শহরে দুর্ভোগ না বাড়ে । মেয়র জানিয়েছেন, তিনি শনিবার সকাল থেকেই কলকাতার পাম্পিং স্টেশনগুলিতে নজরদারি চালাবেন । তারপর কলকাতার সদর দপ্তরে নিজের কন্ট্রোল রুমে থাকবেন মেয়র ।

বিপর্যয় মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ । "ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্ট্রম" ফণীর ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ঝড়টির গতিবিধির উপর নজর রাখছে তারা । কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরে সতর্কতা জারি হয়েছে । পাঁচটি কোস্ট গার্ড ভেসেল সহ অপারেশনাল ক্র্যাফস্টগুলিকেও সতর্কতা মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

Intro:3 তারিখ গভীর রাতে থেকে 4 তারিখ ভোরে ফনি প্রবেশ করবে আমাদের রাজ্যে । আগামীকাল ফনি প্রবেশ করবে পুরীর কাছাকাছি গোপালপুর ও চাঁদ বালির মধ্যে দিয়ে। দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে পুরীর মধ্যে দিয়ে যাবে ঘূর্ণিঝড় ফনি। 3 তারিখ শনি যখন আছড়ে পড়বে উড়িষ্যার উপকূলে তখন তার গতি থাকবে 170 থেকে 180 কিলোমিটার। 200 কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া সঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। পশ্চিমবঙ্গের যখন ফনি আছড়ে পড়বে 90 থেকে 100 কিলোমিটার বেগে। 80 থেকে 90 কিলোমিটার ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন কোন নিদর্শন চার তারিখে বাংলাদেশে অগ্রসর হবে।


Body:এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আজ উপকূলীয় জেলাগুলোতে 50 থেকে 60 কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া চলবে । আগামীকাল উপকূলের জেলাগুলোতে 85 কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 4 তারিখ দুই মেদিনীপুর উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনা হাওড়া হুগলি কলকাতা তে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল ঝড়ের সর্তকতা জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাঁকুড়া পুরুলিয়া বীরভূম নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ ভারী বৃষ্টির সতর্কতা টা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই মাঝারি বৃষ্টি সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া চলবে। শনির প্রভাবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে ঝড় বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া অফিস অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন 4 তারিখে বাংলাদেশে ফনি চলে যাবে 5 তারিখ থেকে অবস্থার উন্নতি হবে।


Conclusion:মৎস্যজীবীদের জন্য সর্তকতা জারি করা হয়েছে। 5 তারিখ অব্দি মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পর্যটকদের ক্ষেত্রেও সমুদ্রে উপকূলে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। দীঘা মন্দারমনি তাজপুর শংকরপুর বকখালি ইত্যাদি পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নজরদারি চালানো হচ্ছে। পর্যটকদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যেসব উপকূলের জেলাগুলোতে সর্তকতা জারি করা হয়েছে সেই সব জেলার বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে বলা হয়েছে প্রয়োজনীয় নথিপত্র দরকারি জিনিস সরিয়ে ফেলার আগাম সর্তকতা জারি করা হয়েছে। হাওয়ার গতি হবে অত্যন্ত বেশি থাকায় কাঁচা মাটির বাড়ি ভেঙে পড়া সম্ভাবনা রয়েছে। দুর্বল গাছ ভেঙে পড়তে পারে। প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুদ করে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এলাকার মানুষদের।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.