ETV Bharat / city

হেনস্থার অভিযোগ তুলে পদত্যাগ বৈশাখির, কেঁদে ফেললেন সাংবাদিক বৈঠকে

মিল্লি আল আমিন কলেজ থেকে পদত্যাগ করলেন বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ৷

বৈশাখি
author img

By

Published : Aug 7, 2019, 4:38 PM IST

Updated : Aug 7, 2019, 10:47 PM IST

কলকাতা, 7 অগাস্ট : এই মিল্লি আল আমিন কলেজই তাঁদের 'কাছাকাছি' এনেছিল ৷ সময় যত এগিয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সর্বক্ষণের ছায়াসঙ্গীতে পরিণত হয়েছেন বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এ বার সেই আল আমিন কলেজের অধ্যক্ষের পদ ছাড়লেন বৈশাখি ৷ ছাড়লেন কলেজের চাকরিও ৷ চাকরি ছাড়ার মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন ৷ তুললেন চক্রান্তের অভিযোগ ৷ আজ নিজের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করার সময় রীতিমতো আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন বৈশাখি ৷ সংবাদমাধ্যমের সামনে কেঁদেও ফেলেন ৷

আজ সাংবাদিক বৈঠক করে বৈশাখি দাবি করেন, সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কাজ করা হচ্ছে ৷ পুরো কাজটাই করা হচ্ছে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে ৷ এর পরই অধ্যাপিকার অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রীকে এমন কাজ করতে নাকি নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ অধ্যাপিকার অভিযোগ, এর আগেও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার চেষ্টা করা হয়েছিল ৷ যদিও সে সময় ভাগ্যক্রমে গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছিলেন বলেও দাবি করেন বৈশাখি ৷ এমন কী, শোভনকে তৃণমূলে ফেরানোর জন্য পার্থ শর্ত দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন বৈশাখি৷ তাঁর অভিযোগ, অধ্যক্ষের পদ ছাড়ার জন্য পার্থ নাকি শর্ত দিয়েছিলেন বৈশাখিকে ৷ এমন কী, সোশাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো ছড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বৈশাখি ৷ আজ যখন নিজের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করছেন বৈশাখি, তখন পাশে বসে শোভন চট্টোপাধ্যায় ৷ যদি একটি কথা শোনা যায়নি শোভনের মুখ থেকে ৷

বছর খানেকের বেশি সময় ধরে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেলামেশা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে আলোচনার অন্ত নেই ৷ পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে ওঠে যে, শেষ পর্যন্ত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বৈশাখির সঙ্গ না ছাড়লে শোভনের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপের কথাও শোনা গেছিল মুখ্যমন্ত্রীর গলায় ৷ ইতিমধ্যেই মন্ত্রী-মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেন শোভন ৷ ফাটল ক্রমেই বাড়তে থাকে দিদি-কানন সম্পর্কে ৷ রটতে শুরু করেছিল, তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরের দিকে পা বাড়াতে চলেছেন শোভন ৷

লোকসভা ভোটে দলের খারাপ ফলের পরই ক্ষত মেরামতের চেষ্টা শুরু হয় ৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায় বার কয়েক দেখা করেন শোভনের সঙ্গে ৷ সূত্রের খবর, সে সময় বৈশাখিও ছিলেন সেখানে ৷ আজ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হলেও অনেকটাই শান্ত দেখাল তাঁকে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন শিক্ষামন্ত্রী ৷ কোনও সমস্যা হলে আলোচনার মাধ্যমে তা মেটানোর কথাও বলেন তিনি ৷ পার্থর কথায়, "মাথা ঠান্ডা করুন । যত দিন আল আমিন কলেজে আছেন নিয়ম মেনে চালান । শিক্ষা দপ্তর কেন হস্তক্ষেপ করতে যাবে ।

শুধু শুধু সাম্প্রদায়িক তাস খেলা ঠিক হচ্ছে না ।" উত্তেজনার মধ্যে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য বৈশাখিকে অনুরোধও জানান শিক্ষামন্ত্রী ৷ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে পার্থ বলেন, "দাদা হিসেবে ভাইকে বলেছিলাম সক্রিয় হতে । শোভনকে সক্রিয় করতে গেছিলাম৷"

নানা সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী শোভনের সঙ্গে বৈশাখির প্রথম যোগাযোগ মিল্লি আল আমিন কলেজে গোলমালের সূত্রেই । শোভন তখন মেয়র । বৈশাখি তার আগে থেকেই ওই কলেজের শিক্ষক । তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আইনজীবী হিসেবে দীর্ঘ দিন মনোজিৎবাবু ও বৈশাখির পরিচিত । স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে ‘বোঝাপড়া’ করিয়ে দেওয়ার জন্য কল্যাণবাবু বৈশাখিকে শোভনের কাছে পাঠিয়ে ছিলেন । সেই যোগাযোগ খুব বেশি দূর এগোয়নি । বরং কিছুটা আড়ষ্টতাই ছিল । বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনা সভায় প্রয়োজনে বৈশাখি মেয়র হিসেবে শোভনের সমালোচনাও করতেন । সেই সময় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈশাখির যোগাযোগ ছিল বেশি ।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানে প্রেসিডেন্সির স্নাতক এবং যাদবপুরে স্নাতকোত্তর ও Ph.D বৈশাখি । পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর বৈশাখি তৃণমূলের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হন । মিল্লি আল আমিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষও করা হয় তাঁকে । তখনও তিনি শোভনের এত ঘনিষ্ঠ ছিলেন না ।
সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভরতি থাকাকালীন বৈশাখি তাঁকে দেখতে যান । নোট বাতিল নিয়ে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে তৃণমূলের বিক্ষোভ মঞ্চ এই দু'জনকে কাছে আনল । ধাপে ধাপে ঘনিষ্ঠতা বাড়ল । বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করলেন শোভন । বৈশাখিকে বললেন তাঁর 'দুর্দিনের বন্ধু' ।

যোগাযোগ এতটাই নিবিড় হয়ে ওঠে যে, কলকাতা, দিল্লি সর্বত্র শোভনের সঙ্গে ছায়াসঙ্গীর মতো দেখা যায় বৈশাখিকে । শোভনের আইনগত যাবতীয় কাজকর্ম দেখাশোনার ভার নিজের হাতে তুলে নেন বৈশাখি । শোভন পরিবেশমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁকে জলাভূমি সংক্রান্ত একটি কমিটির সদস্যও করে নেন । শোভনের গোলপার্কের ফ্ল্যাটে যে কোনও সময়ে বৈশাখির গতিবিধি অবাধ ।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠনের পদ থেকে বৈশাখিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে । শোভন পরিবেশ দপ্তর হারানোর পর সেখানকার কমিটিতেও বৈশাখি আর নেই । আর এ বার অধ্যক্ষের পদ থেকেও সরে গেলেন বৈশাখি ৷

এখন প্রশ্ন একটাই, তৃণমূলের থেকে কি ক্রমেই দূরত্ব বাড়ছে শোভন-বৈশাখির? তৃণমূলের সঙ্গ ছেড়ে কি গেরুয়া শিবিরের দিকে পা বাড়াতে চলেছেন এই দু'জন?

কলকাতা, 7 অগাস্ট : এই মিল্লি আল আমিন কলেজই তাঁদের 'কাছাকাছি' এনেছিল ৷ সময় যত এগিয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সর্বক্ষণের ছায়াসঙ্গীতে পরিণত হয়েছেন বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এ বার সেই আল আমিন কলেজের অধ্যক্ষের পদ ছাড়লেন বৈশাখি ৷ ছাড়লেন কলেজের চাকরিও ৷ চাকরি ছাড়ার মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন ৷ তুললেন চক্রান্তের অভিযোগ ৷ আজ নিজের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করার সময় রীতিমতো আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন বৈশাখি ৷ সংবাদমাধ্যমের সামনে কেঁদেও ফেলেন ৷

আজ সাংবাদিক বৈঠক করে বৈশাখি দাবি করেন, সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কাজ করা হচ্ছে ৷ পুরো কাজটাই করা হচ্ছে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে ৷ এর পরই অধ্যাপিকার অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রীকে এমন কাজ করতে নাকি নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ অধ্যাপিকার অভিযোগ, এর আগেও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার চেষ্টা করা হয়েছিল ৷ যদিও সে সময় ভাগ্যক্রমে গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছিলেন বলেও দাবি করেন বৈশাখি ৷ এমন কী, শোভনকে তৃণমূলে ফেরানোর জন্য পার্থ শর্ত দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন বৈশাখি৷ তাঁর অভিযোগ, অধ্যক্ষের পদ ছাড়ার জন্য পার্থ নাকি শর্ত দিয়েছিলেন বৈশাখিকে ৷ এমন কী, সোশাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো ছড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বৈশাখি ৷ আজ যখন নিজের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করছেন বৈশাখি, তখন পাশে বসে শোভন চট্টোপাধ্যায় ৷ যদি একটি কথা শোনা যায়নি শোভনের মুখ থেকে ৷

বছর খানেকের বেশি সময় ধরে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেলামেশা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে আলোচনার অন্ত নেই ৷ পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে ওঠে যে, শেষ পর্যন্ত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বৈশাখির সঙ্গ না ছাড়লে শোভনের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপের কথাও শোনা গেছিল মুখ্যমন্ত্রীর গলায় ৷ ইতিমধ্যেই মন্ত্রী-মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেন শোভন ৷ ফাটল ক্রমেই বাড়তে থাকে দিদি-কানন সম্পর্কে ৷ রটতে শুরু করেছিল, তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরের দিকে পা বাড়াতে চলেছেন শোভন ৷

লোকসভা ভোটে দলের খারাপ ফলের পরই ক্ষত মেরামতের চেষ্টা শুরু হয় ৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায় বার কয়েক দেখা করেন শোভনের সঙ্গে ৷ সূত্রের খবর, সে সময় বৈশাখিও ছিলেন সেখানে ৷ আজ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হলেও অনেকটাই শান্ত দেখাল তাঁকে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন শিক্ষামন্ত্রী ৷ কোনও সমস্যা হলে আলোচনার মাধ্যমে তা মেটানোর কথাও বলেন তিনি ৷ পার্থর কথায়, "মাথা ঠান্ডা করুন । যত দিন আল আমিন কলেজে আছেন নিয়ম মেনে চালান । শিক্ষা দপ্তর কেন হস্তক্ষেপ করতে যাবে ।

শুধু শুধু সাম্প্রদায়িক তাস খেলা ঠিক হচ্ছে না ।" উত্তেজনার মধ্যে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য বৈশাখিকে অনুরোধও জানান শিক্ষামন্ত্রী ৷ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে পার্থ বলেন, "দাদা হিসেবে ভাইকে বলেছিলাম সক্রিয় হতে । শোভনকে সক্রিয় করতে গেছিলাম৷"

নানা সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী শোভনের সঙ্গে বৈশাখির প্রথম যোগাযোগ মিল্লি আল আমিন কলেজে গোলমালের সূত্রেই । শোভন তখন মেয়র । বৈশাখি তার আগে থেকেই ওই কলেজের শিক্ষক । তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আইনজীবী হিসেবে দীর্ঘ দিন মনোজিৎবাবু ও বৈশাখির পরিচিত । স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে ‘বোঝাপড়া’ করিয়ে দেওয়ার জন্য কল্যাণবাবু বৈশাখিকে শোভনের কাছে পাঠিয়ে ছিলেন । সেই যোগাযোগ খুব বেশি দূর এগোয়নি । বরং কিছুটা আড়ষ্টতাই ছিল । বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনা সভায় প্রয়োজনে বৈশাখি মেয়র হিসেবে শোভনের সমালোচনাও করতেন । সেই সময় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈশাখির যোগাযোগ ছিল বেশি ।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানে প্রেসিডেন্সির স্নাতক এবং যাদবপুরে স্নাতকোত্তর ও Ph.D বৈশাখি । পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর বৈশাখি তৃণমূলের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হন । মিল্লি আল আমিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষও করা হয় তাঁকে । তখনও তিনি শোভনের এত ঘনিষ্ঠ ছিলেন না ।
সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভরতি থাকাকালীন বৈশাখি তাঁকে দেখতে যান । নোট বাতিল নিয়ে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে তৃণমূলের বিক্ষোভ মঞ্চ এই দু'জনকে কাছে আনল । ধাপে ধাপে ঘনিষ্ঠতা বাড়ল । বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করলেন শোভন । বৈশাখিকে বললেন তাঁর 'দুর্দিনের বন্ধু' ।

যোগাযোগ এতটাই নিবিড় হয়ে ওঠে যে, কলকাতা, দিল্লি সর্বত্র শোভনের সঙ্গে ছায়াসঙ্গীর মতো দেখা যায় বৈশাখিকে । শোভনের আইনগত যাবতীয় কাজকর্ম দেখাশোনার ভার নিজের হাতে তুলে নেন বৈশাখি । শোভন পরিবেশমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁকে জলাভূমি সংক্রান্ত একটি কমিটির সদস্যও করে নেন । শোভনের গোলপার্কের ফ্ল্যাটে যে কোনও সময়ে বৈশাখির গতিবিধি অবাধ ।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠনের পদ থেকে বৈশাখিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে । শোভন পরিবেশ দপ্তর হারানোর পর সেখানকার কমিটিতেও বৈশাখি আর নেই । আর এ বার অধ্যক্ষের পদ থেকেও সরে গেলেন বৈশাখি ৷

এখন প্রশ্ন একটাই, তৃণমূলের থেকে কি ক্রমেই দূরত্ব বাড়ছে শোভন-বৈশাখির? তৃণমূলের সঙ্গ ছেড়ে কি গেরুয়া শিবিরের দিকে পা বাড়াতে চলেছেন এই দু'জন?

New Delhi, 07 Aug (ANI): Mahashay Dharampal Gulati, the owner of MDH spice company, got emotional and broke down while paying tribute to former external affairs minister Sushma Swaraj. Sushma Swaraj, former external affairs minister and BJP veteran, died on Tuesday evening after cardiac arrest, leaving political leaders and her legions of admirers in grief. She was 67.
Last Updated : Aug 7, 2019, 10:47 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.