কলকাতা, 3 অগস্ট : 7 জুলাই, 2021 প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Prime Minister Narendra Modi) মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয় (Bengal Minister Babul Supriyo) ৷ 392 দিন পর, 2022-এর 3 অগস্ট বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Bengal CM Mamata Banerjee) মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন তিনি ৷ বুধবার বিকেলে রাজভবনে শপথ গ্রহণের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রথমেই তাই তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ৷
একই সঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে গত বছর 3 অগস্ট তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন ৷ আর ঠিক এক বছর পর আজ, 2022-এর 3 অগস্ট আবার তিনি মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ৷ বিষয়টিকে কাকতালীয় হিসেবেই দেখছেন বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় ৷
গত বছর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি তৃণমূল কংগ্রেসে (Trinamool Congress) যোগ দিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয় ৷ তার পর জানিয়েছিলেন যে রিজার্ভ বেঞ্চে বসতে তিনি ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেননি ৷ বরং তিনি খেলতে চান ফার্স্ট ইলেভেনে ৷ গায়ক থেকে নির্বাচনীর ময়দান হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অন্দরমহলে বাবুলের ধূমকেতুর মতো উত্থান হয়েছিল ৷ আসানসোল থেকে ভোটে জিতেই জায়গা পেয়েছিলেন মোদির মন্ত্রী পরিষদে ৷ 2014-র পর 2019 সালেও তাঁর মন্ত্রিত্ব অটুট ছিল ৷ তাই তৃণমূলেও যে তিনি অচিরেই গুরুত্ব পেতে শুরু করবেন, তা নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন রাজনৈতিক পর্যেবক্ষকরা ৷
হয়েছেও তাই ৷ ঘাসফুল শিবিরে যোগদানের পর কয়েকমাস আড়ালে থাকলেও চলতি বছরের মার্চের গোড়ায় তাঁকে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে (Ballygunge By-Election 2022) প্রার্থী করা হয় ৷ যে কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন হয়েছিল সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়ের প্রয়াণের কারণে ৷ ওই কেন্দ্র থেকে জয়ের পর মমতার ফার্স্ট ইলেভেনে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়েছিল বাবুলের জন্য ৷ যা বুধবার বিকেলে বাস্তবায়িত হল ৷
শপথ নিয়ে তাই মুখ্যমন্ত্রীকে যেমন ধন্যবাদ দিয়েছেন, তেমনই উল্লেখ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম ৷ এঁরা না থাকলে যে তিনি আবার জনসেবার সুযোগ পেতেন না সেই কথাও স্পষ্ট করেছেন রাজভবনে দাঁড়িয়ে ৷ একই সঙ্গে অতীতের আক্ষেপও ঝরে পড়েছে তাঁর গলায় ৷ বলেছেন, ‘‘গত বছর 7 জুলাই আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছিল ৷ আমার ভালো কাজের পুরস্কার দেওয়া হয়নি ৷ আমার বিশ্বাস ছিল যে মানুষের জন্য কাজ করেছি ৷ তাই রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ৷’’
নিন্দুকেরা যদিও বলেন, বিজেপি (BJP) থেকে তৃণমূলে এসে ডিমোশন হয়েছে বাবুলের ৷ ছিলেন সাংসদ, হলেন বিধায়ক ৷ ছিলেন কেন্দ্রের মন্ত্রী ৷ এবার তিনি শুধুমাত্র একটি রাজ্যের মন্ত্রী ৷
যদিও রাজনৈতিক মহলের অন্য একটি অংশের মতে, মোদি সরকারের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন বাবুল ৷ মমতা তাঁকে পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছেন ৷ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তথ্য প্রযুক্তি ও পর্যটন দফতরের ৷ এটাকে তো প্রমোশন বলা যেতেই পারে !
আরও পড়ুন : মমতার মন্ত্রিসভায় রদবদল, কে কোন দায়িত্বে; দেখে নিন একনজরে