কলকাতা, 8 মে : দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশ থাকলেও কলকাতায় বেলাগাম ভাবেই ব্যবহৃত হচ্ছে 50 মাইক্রোনের নিচে প্লাস্টিক ব্যাগ ৷ যা পচনশীল নয়, মাটির সঙ্গে মিশে যায় না, উল্টে নানা রাসায়নিক বিক্রিয়া থেকে বিভিন্ন ধরনের মানব জীবনে প্রভাব ফেলে এই ব্যাগ ৷ প্লাস্টিক ব্যাগ বন্ধ করার সেভাবে উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি প্রশাসনকে ৷ নিউ মার্কেট, হাতিবাগান বাজার, গড়িয়াহাট, বড়বাজার-সহ কলকাতার বুকে বিভিন্ন ছোট বড় বাজার অসংখ্য দোকান থেকে মানুষ এই পলিথিনের ব্যাগে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া আসা করে ৷ আইন আছে, জরিমানা করার নির্দেশও আছে তবে নজরদারির লোক নেই ৷
ইতিমধ্যে কলকাতা পৌরসভার তরফেও জানানো হয়েছে, জোর করে কোনও কিছু করা সম্ভব হয় না ৷ মানুষকে আরও সচেতন করতে হবে ৷ এর কুপ্রভাব মানব জীবনে কিভাবে ক্ষতি করতে পারে তা বোঝাতে হবে ৷ মানুষকে সেই সচেতনতার মধ্য দিয়েই প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার অনেকটা কমানো সম্ভব হবে ৷ তবে এসবের মাঝেই আগামী প্রজন্মের জন্য সুস্থ পরিবেশ উপহার দিতে পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে পাটুলির কেএমডিএ বাজারে লাগানো হয়েছে ব্যানার (Awareness campaign in Patuli market to boycott plastic bags) ৷ এই উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত ৷ মানুষকে সচেতন করতে কেএমডিএ বাজারের বাইরে বড় বড় হোডিং লাগানো হয়েছে ৷ যাতে স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে, প্লাস্টিক বর্জনের কথা ৷ আর কাউন্সিলারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিক্রেতারা (vendors welcome this initiative) ৷
দোকানদার ববি চক্রবর্তী বলেন, "আমরা চেষ্টা করি যাতে অল্প কিছু জিনিস সেগুলি কাগজের ঠোঙ্গা দেওয়া যায় ৷ ক্রেতাদের বারে বারে আমরা আবেদন করি বাড়ি থেকে বড় ব্যাগ আনতে কিন্তু বেশিরভাগ সময় ক্রেতারা তেমনটা করেন না ৷ ফলে বাধ্য হয়েই আমাদের প্লাস্টিকে জিনিসপত্র দিতে হয় ৷ কিন্তু আমরাও চেষ্টা করছি প্লাস্টিকের ব্যবহার যতটা সম্ভব দ্রুত কমিয়ে আনা যায় ৷" প্রায় একই সুরে সবজি বিক্রেতা শঙ্কর পাঁজা বলেন, "ক্রেতারা শোনেন না ৷ তাই বাধ্য হয়ে দিতে হয় প্লাস্টিকের ব্যাগ ৷ তবুও আমরা বারে বারে বলি বাড়ি থেকে বড় ব্যাগ আনতে ৷"
আরও পড়ুন : Advisory for farmers before Cyclone Asani: ধেয়ে আসছে অশনি, বাংলার কৃষকদের সতর্ক করল নবান্ন
দিনের পর দিন যেভাবে জল ও বায়ু দূষিত হচ্ছে তার খারাপ প্রভাব পড়ছে পরিবেশে ৷ সেই অবস্থায় প্লাস্টিক বর্জন নিয়ে এই সচেতনতামূলক বার্তা যদি এলাকার মানুষজনের কানে ঢোকে এবং তাঁরা যদি সচেতন হন, নিঃসন্দেহে তা আগামী দিনের জন্য ভালই হবে বলে মনে করছেন পরিবেশ কর্মীরা ৷