কলকাতা, 15 ফেব্রুয়ারি : ভারতীয় সঙ্গীতজগতে ফের ইন্দ্রপতন। লতা চলে গিয়েছিলেন ক'দিন আগেই ৷ সঙ্গীতজগৎকে কাঁদিয়ে এবার না-ফেরার দেশে উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের আরেক শিষ্যা গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Legendary Sandhya Mukhopadhyay passes away)। বাঙালি সঙ্গীতপ্রেমীরা যেন দেউলিয়া আজ।
গীতশ্রীকে নিয়ে স্মৃতিচারণায় সঙ্গীত শিল্পী অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "আমাকে খুব স্নেহ করতেন সন্ধ্যা মাসি। মাঝে মাঝে দেখা হত ঠিকই কিন্তু মনের ভীষণ কাছাকাছি ছিলেন। ওনার যে আত্মজীবনী আছে, সেখানে আমার নাম একাধিক জায়গায় উল্লেখ করেছেন উনি। সেটা আমার কাছে দলিল হয়ে থাকবে। এমন এক কিংবদন্তির আত্মজীবনীতে আমার নাম থাকা যে কত বড় পাওনা আমার তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। একের পর এক এমন কিংবদন্তিরা চলে যাচ্ছেন, সহ্যের অতীত হয়ে যাচ্ছে এবার ৷ মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। বাংলা গানের স্বর্ণযুগের প্রতিনিধিরা প্রায় সবাই চলে গেলেন। নির্মলা মাসি রয়েছেন। আর জনাকয়েক রয়েছেন টিমটিমে তারার মতো।"
গত মাসের শেষদিকে কেন্দ্রের পদ্ম সম্মান প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ৷ এরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন গীতশ্রী ৷ এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অরিন্দম বলেন, "জীবনের শেষ প্রান্তে এসে যে আঘাত উনি পেলেন তা ওঁনার প্রাপ্য নয়। এই উপাধি যাঁরা পেয়েছেন তাঁদের থেকে উনি অনেক উপরে। ওঁনার জন্য এই ঘটনা শুধু আঘাত নয়, নিদারুণ অপমানজনক। এই ধাক্কাটা সন্ধ্যা মাসি নিতে পারেননি।"
আরও পড়ুন : Sandhya Mukhopadhyay Demise : কিছুক্ষণ আরও না হয় রহিতে কাছে...
এ যুগের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী দুর্নিবার সাহা গীতশ্রীর মৃত্যু সংবাদ পেলেন ইটিভি ভারতের থেকেই ৷ একপ্রকার বাকরুদ্ধ হয়ে তিনি বলেন, "এই সব মানুষগুলোর পথ অনুসরণ করেই শিল্পী আমরা। এনাদের পথ অনুসরণ করেই গান গাই আমরা। এঁরা চলে যাওয়া মানে একটা ফলক হয়ে থাকা। খুব খারাপ লাগছে। বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।"