ETV Bharat / city

রেলে চাকরির টোপ দিয়ে প্রতারণা, ধৃত 6 - ব্যাঙ্কশাল আদালত

গতকাল বিকালে বেশ কিছু বেকার যুবক যুবতীকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয় পূর্ব রেলের সদর দপ্তর কয়লাঘাটায় । বিষয়টি জানতে পেরে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে হানা দেয়৷ । সেখানেই পর্দা ফাঁস হয় চক্রের ।

hare street police Station
হেয়ার স্ট্রিট থানা
author img

By

Published : Jan 28, 2020, 11:42 PM IST

কলকাতা, 28 জানুয়ারি: নিজেদের রেলের বড় অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরির টোপ দিত তারা । ছয় লাখ টাকা দিলেই রেলের চাকরি পাকা। গতকাল বিকালে বেশকিছু বেকার যুবক-যুবতীকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয় পূর্ব রেলের সদর দপ্তর কয়লাঘাটায় । বিষয়টি জানতে পেরে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে হানা দেয় । সেখানেই পর্দা ফাঁস হয় এই চক্রের । গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই চক্রের ছয় পাণ্ডাকে । তদন্তকারীদের অনুমান, এর পেছনে রেলের কোনও কর্মী জড়িত থাকতে পারে । প্রাথমিক জেরায় পুলিশ জানতে পারে এই চক্রের জাল আরও বড় । আপাতত এই চক্রের বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ ।

খড়্গপুরের বিধান পল্লীর বাসিন্দা কাররি যোগেশ । ওই বেকার যুবক মনেপ্রাণে চান ভারতীয় রেলে যোগ দিতে । তিনি এই চক্রের পাল্লায় পড়েন । যোগেশের অভিযোগ, তাঁর কাছে একটি মেইল আসে । মেইলে রেলের লোগো দেওয়া ছিল । সেই মেইলের মাধ্যমেই তাঁকে ইন্টারভিউ দিতে ডাকা হয় । তার মতো আরও কয়েকজন ইন্টারভিউ দিতে আসে কয়লাঘাটায় । সেখানে নিরাপত্তারক্ষীকে ওই মেইলের প্রিন্ট আউট দেখাতেই সন্দেহ হয় । দ্রুত ফোন করে খবর দেওয়া হয় হেয়ার স্ট্রিট থানায় । পৌঁছায় হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশের দল ৷ যোগেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ বুঝতে পারে তিনি চাকরির নামে প্রতারণা চক্রের শিকার । তারপর ওই এলাকাতে তল্লাশি চালিয়ে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয় দু-জনকে । তাদের সূত্র ধরেই গ্রেপ্তার করা হয় আরও চারজনকে । ধৃত 6 জনের নাম শুভজিৎ চৌধুরি (53), শংকর হেমরম(33), নীলকুমার ভগত(36), করণ কুমার(37), হুমায়ুন আলি(35) ও সুমন দাস(23) । ধৃতদের মধ্যে শুভজিৎ কলকাতার সার্ভে পার্কের , হুমায়ুন মুর্শিদাবাদের সুতি ও সুমন দাস তপশিয়ার বাসিন্দা ।


ধৃতদের কাছে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া যায় নকল অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার । জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, শুধুমাত্র রেলের চাকরি নয়, তারা রাজ্য সরকারের চাকরির নামেও তুলত টাকা । তাদের কাছে উদ্ধার হয়েছে মেডিকেল কলেজের জাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার এবং নকল স্ট্যাম্প । পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নকল অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারও উদ্ধার হয়েছে তাদের কাছ থেকে । পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চাকরির জন্য তারা নিত 4 লাখ টাকা । এখনও পর্যন্ত 50 থেকে 70 জন প্রতারণার শিকার হয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ । আজ তাদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় এবং বিচারক তাদের 6 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ।

কলকাতা, 28 জানুয়ারি: নিজেদের রেলের বড় অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরির টোপ দিত তারা । ছয় লাখ টাকা দিলেই রেলের চাকরি পাকা। গতকাল বিকালে বেশকিছু বেকার যুবক-যুবতীকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয় পূর্ব রেলের সদর দপ্তর কয়লাঘাটায় । বিষয়টি জানতে পেরে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে হানা দেয় । সেখানেই পর্দা ফাঁস হয় এই চক্রের । গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই চক্রের ছয় পাণ্ডাকে । তদন্তকারীদের অনুমান, এর পেছনে রেলের কোনও কর্মী জড়িত থাকতে পারে । প্রাথমিক জেরায় পুলিশ জানতে পারে এই চক্রের জাল আরও বড় । আপাতত এই চক্রের বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ ।

খড়্গপুরের বিধান পল্লীর বাসিন্দা কাররি যোগেশ । ওই বেকার যুবক মনেপ্রাণে চান ভারতীয় রেলে যোগ দিতে । তিনি এই চক্রের পাল্লায় পড়েন । যোগেশের অভিযোগ, তাঁর কাছে একটি মেইল আসে । মেইলে রেলের লোগো দেওয়া ছিল । সেই মেইলের মাধ্যমেই তাঁকে ইন্টারভিউ দিতে ডাকা হয় । তার মতো আরও কয়েকজন ইন্টারভিউ দিতে আসে কয়লাঘাটায় । সেখানে নিরাপত্তারক্ষীকে ওই মেইলের প্রিন্ট আউট দেখাতেই সন্দেহ হয় । দ্রুত ফোন করে খবর দেওয়া হয় হেয়ার স্ট্রিট থানায় । পৌঁছায় হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশের দল ৷ যোগেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ বুঝতে পারে তিনি চাকরির নামে প্রতারণা চক্রের শিকার । তারপর ওই এলাকাতে তল্লাশি চালিয়ে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয় দু-জনকে । তাদের সূত্র ধরেই গ্রেপ্তার করা হয় আরও চারজনকে । ধৃত 6 জনের নাম শুভজিৎ চৌধুরি (53), শংকর হেমরম(33), নীলকুমার ভগত(36), করণ কুমার(37), হুমায়ুন আলি(35) ও সুমন দাস(23) । ধৃতদের মধ্যে শুভজিৎ কলকাতার সার্ভে পার্কের , হুমায়ুন মুর্শিদাবাদের সুতি ও সুমন দাস তপশিয়ার বাসিন্দা ।


ধৃতদের কাছে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া যায় নকল অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার । জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, শুধুমাত্র রেলের চাকরি নয়, তারা রাজ্য সরকারের চাকরির নামেও তুলত টাকা । তাদের কাছে উদ্ধার হয়েছে মেডিকেল কলেজের জাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার এবং নকল স্ট্যাম্প । পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নকল অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারও উদ্ধার হয়েছে তাদের কাছ থেকে । পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চাকরির জন্য তারা নিত 4 লাখ টাকা । এখনও পর্যন্ত 50 থেকে 70 জন প্রতারণার শিকার হয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ । আজ তাদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় এবং বিচারক তাদের 6 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ।

Intro:কলকাতা, 28 জানুয়ারি: নিজেদেরকে পরিচয় দিত রেলের বড় অফিসার হিসেবে। টোপ দিত বেকার যুবক-যুবতীদের। টোপটটা চাকরির। ছয় লাখ টাকা দিলেই রেলের চাকরি পাকা। বলা হতো যেমনটাই। গতকাল বিকালে বেশকিছু বেকার যুবক যুবতীকে ’ইন্টারভিউ'য়ের জন্য ডাকা হয় পূর্ব রেলের সদর দপ্তর কয়লাঘাটায়। বিষয়টি জানতে পারে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। সেই সূত্রেই পর্দা ফাঁস হলো চক্রের। গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই চক্রের ছয় পান্ডাকে। তদন্তকারীদের ধারণা এর পেছনে জড়িত থাকতে পারে রেলওয়ের কোন কর্মীও। প্রাথমিক জেলায় পুলিশ জেনেছে চক্রের জাল আরো অনেক বড়। বাকিদের খোঁজ চলছে।


Body:খড়্গপুরের বিধান পল্লীতে থাকেন কাররি যোগেশ। রেল শহরের বাসিন্দা ওই বেকার যুবক মনেপ্রাণে চান ভারতীয় রেলে যোগ দিতে। তিনি এই চক্রের পাল্লায় পড়েন। অভিযোগ তার কাছে যায় একটি ইমেইল। যেখানে রেলওয় লোগো দেওয়া ছিল। সেই ই-মেইলের মাধ্যমেই তাকে ডাকা হয় ইন্টারভিউ দিতে। তার মতো আরো কয়েকজন আসে কয়লাঘাটায়। সেখানে নিরাপত্তা রক্ষীকে ওই ইমেইলের প্রিন্ট আউট দেখাতেই তার সন্দেহ হয়। তারা দ্রুত ফোন করেন হেয়ার স্ট্রিট থানায়। হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশের দল দ্রুত পৌঁছায় সেখানে। যোগেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ বুঝতে পারে তিনি চাকরির নামে প্রতারণা চক্রের শিকার। তারপর ওই এলাকা থেকেই প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয় দুজনকে। কাজের সূত্র ধরে গ্রেপ্তার করা হয় আরও চারজনকে। ধৃত 6 জনের নাম শুভজিৎ চৌধুরী(53), শংকর হেমরম(33), নীলকুমার ভগত(36), করণ কুমার(37), হুমায়ুন আলি(35), সুমন দাস(23)। এদের মধ্যে শুভজিৎ কলকাতার সার্ভে পার্কের , হুমায়ুন মুর্শিদাবাদের সুতির, সুমন দাস তপশিয়ার বাসিন্দা।


Conclusion:তাদের কাছে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া যায় নকল অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার। জানা যায়, শুধুমাত্র রেলের চাকরি নয়। তারা রাজ্য সরকারের চাকরির নামেও তুলত টাকা। তাদের কাছে উদ্ধার হয়েছে মেডিকেল কলেজের জাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার এবং নকল স্ট‍্যাম্প। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নকল অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারও উদ্ধার হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারি চাকরির জন্য তারা নিত 4 লাখ। এখনো পর্যন্ত 50 থেকে 70 জনকে প্রতারণা করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তাদের আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে 6 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.