ETV Bharat / city

ভুয়ো কল সেন্টার খুলে অ্যামেরিকার নাগরিকদের প্রতারণা, গ্রেপ্তার 10 - ভুয়ো কল সেন্টার

গতবছরের অক্টোবরে এমনই একটি চক্রের হদিশ পেয়েছিল কলকাতা পুলিশ ৷ সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে বলে পুলিশের বক্তব্য ৷

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Jan 31, 2020, 5:52 AM IST

কলকাতা, 31 জানুয়ারি : কলকাতা থেকে ফের কল সেন্টারের নামে প্রতারণা চক্রের হদিশ । একটি বহুজাতিক তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মী পরিচয় দিয়ে অ্যামেরিকার নাগরিকদের প্রতারণার অভিযোগ ৷ ঘটনায় 10 জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।


বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার নাসিরুদ্দিন রোডে একটি বাড়ির একতলায় চলছিল এই ভুয়ো কল সেন্টার । ভাড়া নিয়ে চালানো হচ্ছিল কাজ । প্রতারণার সঙ্গে জড়িতরা নিজেদের ওই বহুজাতিক তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার রিফান্ড সেকশনের কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে ফোন করত অ্যামেরিকার নাগরিকদের । অ্যামেরিকান অ্যাকসেন্টে বলা হত কথা । সেভাবে সহজেই অর্জন করা হত বিশ্বাস । টার্গেটে থাকা অ্যামেরিকার নাগরিকদের বলা হত, পুরানো অপারেটিং সিস্টেমটি তাঁদের কম্পিউটারে আর কাজ করবে না । আপডেটেড অপারেটিং সিস্টেম ডাউনলোড করতে হবে । এর জন্য পাঠানো হত একটি লিঙ্ক । আসলে সেটি ম্যালওয়্যার । সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই ব্লক হয়ে যেত কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ । তারপর দাবি করা হত মোটা অঙ্কের টাকা ।

এ বিষয়ে অভিযোগ আসে কলকাতা পুলিশে । সেই সূত্র ধরে চালানো হয় অভিযান । তাতে ধরা পড়ে মফিদুল ইসলাম লেনের মহম্মদ কালাম, রিয়াজউদ্দিন, আঞ্জুমান রোডের আফাক খুরশিদ, লিন্টন স্ট্রিটের মহম্মদ ইমরান, দিলকুশা স্ট্রিটের শামস তানভির, বেডফোর্ড লেনের মহম্মদ সোহেব, আবদুল লতিফ স্ট্রিটের আলি হামজা, তপসিয়া রোডের মহম্মদ মিরাজ, শরিফ লেনের শেখ ইরফান, হাতিবাগান রোডের সেন জাফর । তাদের কাছে উদ্ধার হয়েছে ল্যাপটপ, 11 টি মোবাইল, ATM কার্ডসহ আরও বেশ কিছু জিনিসপত্র । পাওয়া গেছে কয়েক হাজার ডেটাবেস ।

call center
ধৃতদের মধ্যে 2 জন

গতবছরের অক্টোবরে এমনই একটি অভিযোগ পেয়ে কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল সাতজনকে । অন্য একটি বহুজাতিক তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার নাম করে ফোন যেত ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় । বলা হত দেওয়া হবে টেকনিকাল সাপোর্ট । একইরকমভাবে করা হত প্রতারণা । ওই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের হয়ে এবিষয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ভূপিন্দর সিং বিন্দ্রা । তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে পুরো চক্রটি চালানো হচ্ছে তপসিয়ার উইজ়ার্ড হাউজ় এবং রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের ভিশাল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে । ঘটনায় দু'টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় সাতজনকে। এই সাতজন ইউরোপের কয়েক হাজার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছিল। কলকাতা পুলিশের এই সাফল্যর পরে নগরপালকে ফোন করে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন স্বয়ং লন্ডনের পুলিশ কমিশনার ।

কলকাতা, 31 জানুয়ারি : কলকাতা থেকে ফের কল সেন্টারের নামে প্রতারণা চক্রের হদিশ । একটি বহুজাতিক তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মী পরিচয় দিয়ে অ্যামেরিকার নাগরিকদের প্রতারণার অভিযোগ ৷ ঘটনায় 10 জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।


বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার নাসিরুদ্দিন রোডে একটি বাড়ির একতলায় চলছিল এই ভুয়ো কল সেন্টার । ভাড়া নিয়ে চালানো হচ্ছিল কাজ । প্রতারণার সঙ্গে জড়িতরা নিজেদের ওই বহুজাতিক তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার রিফান্ড সেকশনের কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে ফোন করত অ্যামেরিকার নাগরিকদের । অ্যামেরিকান অ্যাকসেন্টে বলা হত কথা । সেভাবে সহজেই অর্জন করা হত বিশ্বাস । টার্গেটে থাকা অ্যামেরিকার নাগরিকদের বলা হত, পুরানো অপারেটিং সিস্টেমটি তাঁদের কম্পিউটারে আর কাজ করবে না । আপডেটেড অপারেটিং সিস্টেম ডাউনলোড করতে হবে । এর জন্য পাঠানো হত একটি লিঙ্ক । আসলে সেটি ম্যালওয়্যার । সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই ব্লক হয়ে যেত কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ । তারপর দাবি করা হত মোটা অঙ্কের টাকা ।

এ বিষয়ে অভিযোগ আসে কলকাতা পুলিশে । সেই সূত্র ধরে চালানো হয় অভিযান । তাতে ধরা পড়ে মফিদুল ইসলাম লেনের মহম্মদ কালাম, রিয়াজউদ্দিন, আঞ্জুমান রোডের আফাক খুরশিদ, লিন্টন স্ট্রিটের মহম্মদ ইমরান, দিলকুশা স্ট্রিটের শামস তানভির, বেডফোর্ড লেনের মহম্মদ সোহেব, আবদুল লতিফ স্ট্রিটের আলি হামজা, তপসিয়া রোডের মহম্মদ মিরাজ, শরিফ লেনের শেখ ইরফান, হাতিবাগান রোডের সেন জাফর । তাদের কাছে উদ্ধার হয়েছে ল্যাপটপ, 11 টি মোবাইল, ATM কার্ডসহ আরও বেশ কিছু জিনিসপত্র । পাওয়া গেছে কয়েক হাজার ডেটাবেস ।

call center
ধৃতদের মধ্যে 2 জন

গতবছরের অক্টোবরে এমনই একটি অভিযোগ পেয়ে কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল সাতজনকে । অন্য একটি বহুজাতিক তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার নাম করে ফোন যেত ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় । বলা হত দেওয়া হবে টেকনিকাল সাপোর্ট । একইরকমভাবে করা হত প্রতারণা । ওই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের হয়ে এবিষয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ভূপিন্দর সিং বিন্দ্রা । তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে পুরো চক্রটি চালানো হচ্ছে তপসিয়ার উইজ়ার্ড হাউজ় এবং রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের ভিশাল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে । ঘটনায় দু'টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় সাতজনকে। এই সাতজন ইউরোপের কয়েক হাজার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছিল। কলকাতা পুলিশের এই সাফল্যর পরে নগরপালকে ফোন করে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন স্বয়ং লন্ডনের পুলিশ কমিশনার ।

Intro:কলকাতা, 31 জানুয়ারি: মাইক্রোসফটের পর এবার উইন্ডোজ। ইউরোপের পর আমেরিকা। আবারও কলকাতা থেকে কল সেন্টারের নামে বড়োসড়ো প্রতারণা চক্রের হদিশ। ঘটনায় 10 জন প্রতারককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। কলকাতা থেকে কল সেন্টার খুলে প্রচারণার বহু অভিযোগ আগে শোনা গেছে। কিন্তু এভাবে মার্কিন নাগরিকদের প্রতারণার বিষয়টি এর আগে তেমন একটা শোনা যায়নি।


Body:পুলিশ সূত্রে খবর, বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার নাসিরুদ্দিন রোডে একটি বাড়ির একতলায় চলছিল এই ভুয়ো কল সেন্টার। ভাড়া নিয়ে চালানো হচ্ছিল কাজ। প্রতারণার সঙ্গে জড়িতরা নিজেদেরকে উইন্ডোজের রিফান্ড সেকশনের কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে ফোন করতে মার্কিন নাগরিকদের। আমেরিকান অ্যাকসেন্টে বলা হতো কথা। সেভাবে সহজেই অর্জন করা হতো বিশ্বাস। টার্গেটে থাকা মার্কিন নাগরিকদের বলা হত, পুরনো অপারেটিং সিস্টেমটি তাদের কম্পিউটারে আর কাজ করবে না। আপডেটেড অপারেটিং সিস্টেম তাদের ডাউনলোড করতে হবে। এর জন্য পাঠানো হতো একটি লিংক। আসলে সেটি ম্যালওয়্যার। সেই লিংকে ক্লিক করলেই ব্লক হয়ে যেত কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ। তারপর দাবি করা হতো মোটা অংকের টাকা। এ বিষয়ে অভিযোগ আসে কলকাতা পুলিশে। সেই সূত্র ধরে চালানো হয় রেইড। তাতে ধরা পড়ে মফিদুল ইসলাম লেনের মহম্মদ কালাম, রিয়াজউদ্দিন, আঞ্জুমান রোডের আফাক খুরশিদ, লিন্টন স্ট্রিটের মহম্মদ ইমরান, দিলকুশা স্ট্রিটের শামস তানভির, বেডফোর্ড লেনের মহম্মদ সোহেব, আব্দুল লতিফ স্ট্রিটের আলি হামজা, তপসিয়া রোডের মহঃ মিরাজ, শরিফ লেনের শেখ ইরফান, হাতিবাগান রোডের সেন জাফর। তাদের কাছে উদ্ধার হয়েছে ল্যাপটপ 11 টি মোবাইল এটিএম কার্ড সহ আরো বেশ কিছু জিনিসপত্র। পাওয়া গেছে কয়েক হাজার ডেটাবেস।


Conclusion:প্রসঙ্গত গত অক্টোবরে কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করে সাত জনকে। পৃথিবীর বিখ্যাত কোম্পানি মাইক্রোসফট এর নাম করে ফোন যেত বিলেতে। বলা হতো দেওয়া হবে টেকনিক্যাল সাপোর্ট। এক সেভাবেই করা হতো প্রতারণা। মাইক্রোসফট কর্পোরেশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের হয়ে এবিষয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ভূপিন্দর সিং বিন্দ্রা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে পুরো চক্রটি চালানো হচ্ছে তপসিয়ার উইজার্ড হাউস এবং রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের ভিশাল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে। ঘটনায় দু'টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় সাত জনকে। এই সাতজন ইউরোপের কয়েক হাজার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছিল। কলকাতা পুলিশের এই সাফল্যর পরে নগরপালকে ফোন করেন স্বয়ং লন্ডনের পুলিশ কমিশনার। জানান ধন্যবাদ। বৃটেনের মতো বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে। অন্যদিকে আবার microsoft-এর মাত্র কোম্পানির ভারতীয় শাখা থাকায় সহজেই সেই কেসের সমাধান হয়েছে। কিন্তু অনেক দেশের সঙ্গেই বিদেশ নীতির কারণে সুসম্পর্ক নেই। আজ সেসব দেশ থেকে সাইবার ক্রাইম সংগঠিত করা হলে, পুলিশের হাত-পা বাঁধা। আর এইসব কারণেই পুলিশ চাইছে মানুষের সচেতনতা।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.