ETV Bharat / city

অ্যাম্বুলেন্সেই কোরোনা রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ, প্রথম সুয়োমোটো মামলা কমিশনের

আগামী 19 অগাস্ট এই মামলার শুনানি হতে পারে, জানালেন বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারপার্সন ৷

wbcerc filed 1st suo moto case
অ্যাম্বুলেন্স
author img

By

Published : Aug 13, 2020, 1:03 AM IST

কলকাতা, 12 অগাস্ট: একটি বেসরকারি হাসপাতালে COVID 19-এর এক রোগীকে ভরতি জন্যে নিয়ে যাওয়া হলেও অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই রোগীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় সুয়ো মোটো মামলা দায়ের করল ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন (WBCERC)। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টের ভিত্তিতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে । কমিশনের ইতিহাসে এভাবে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের এই প্রথম বলে জানিয়েছেন WBCERC-এর চেয়ারপার্সন।

গতকাল মঙ্গলবার, 11 অগাস্ট জানা যায় গত সোমবার, 10 অগাস্ট রাত সাড়ে নটা নাগাদ আনন্দপুরে অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালে COVID 19-এ আক্রান্ত বছর 60-এর এক প্রৌঢ়াকে ভরতির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পার্কসার্কাসে অবস্থিত একটি নার্সিংহোম থেকে আনন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। আনন্দপুরের ওই হাসপাতালে ভরতির জন্য গত সোমবার বিকালে এই হাসপাতালে অগ্রিম 80 হাজার টাকা জমা দিয়েছিলেন পরিজনরা। অভিযোগ, গত সোমবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ রোগীকে নিয়ে যাওয়ার পরে হাসপাতালের তরফে 3 লাখ টাকা জমা দিতে বলা হয়। এই টাকা জমা দেওয়া না হলে রোগীকে ভরতি নেওয়া হবে না বলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয় । অভিযোগ রোগীর ছেলের ।

মৃত রোগীর ছেলে মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন, যখন তাঁরা বাড়তি টাকার ব্যবস্থা করছিলেন সেই সময় রাত সওয়া 10 টা নাগাদ অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই তাঁর মায়ের মৃত্যু হয় । অন্যদিকে এই অভিযোগের বিষয়ে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, রোগীকে ভরতি করানোর জন্য সোমবার বিকালেই বেড বুক করেছিলেন পরিজনেরা । কিন্তু, রোগীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারপরেও দেখেছিলেন চিকিৎসকরা। CPR দিয়ে রোগীকে রিভাইভ করানোর চেষ্টাও হয়েছিল। ভেন্টিলেটরের সাপোর্ট রয়েছে এমন রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারপরেও অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে এই রোগীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন চিকিৎসকরা। শেষ পর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এরপর মৃত রোগীকে নিয়ে পরিজনরা চলে যেতে চেয়েছিলেন। হাসপাতালই তাঁদের আটকেছিল । আইন অনুযায়ী বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছিল।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে বুধবার ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন (WBCERC)-এর চেয়ারপার্সন জাস্টিস অসীমকুমার বন্দোপাধ্যায় বলেন, "সংবাদমাধ্যমে এই বিষয়ে জানার পরে আমার একটাই বক্তব্য, ঘটনাটি সত‍্যি-মিথ‍্যা যা-ই হোক, অত‍্যন্ত দুঃখজনক এবং অমানবিক ঘটনা।"

তিনি বলেন, "ইতিমধ্যে ওই দুটি হাসপাতালকে নিজেদের বক্তব্য জানাতে বলেছি। "

কমিশনের চেয়ারপার্সন মঙ্গলবার বলেন, "কমিশনে এর পর যেদিন শুনানি, আগামী 19 অগাস্ট ৷ সেদিনই এই মামলা শোনার চেষ্টা করব।"

এইরপর তিনি জানান, "কমিশনের ইতিহাসে এই প্রথম সুয়ো মোটো হিয়ারিং অর্থাৎ, স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কোনও মামলা নেওয়া হল। এর আগে হোয়াটসঅ্যাপে দুটি মামলা নিয়েছি। কিন্তু এই মামলাটি খবরের কাগজ দেখে এবং পারিপার্শ্বিক খবরের ভিত্তিতে নেওয়া। এই প্রথম এমন প্রয়াস।"

কলকাতা, 12 অগাস্ট: একটি বেসরকারি হাসপাতালে COVID 19-এর এক রোগীকে ভরতি জন্যে নিয়ে যাওয়া হলেও অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই রোগীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় সুয়ো মোটো মামলা দায়ের করল ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন (WBCERC)। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টের ভিত্তিতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে । কমিশনের ইতিহাসে এভাবে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের এই প্রথম বলে জানিয়েছেন WBCERC-এর চেয়ারপার্সন।

গতকাল মঙ্গলবার, 11 অগাস্ট জানা যায় গত সোমবার, 10 অগাস্ট রাত সাড়ে নটা নাগাদ আনন্দপুরে অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালে COVID 19-এ আক্রান্ত বছর 60-এর এক প্রৌঢ়াকে ভরতির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পার্কসার্কাসে অবস্থিত একটি নার্সিংহোম থেকে আনন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। আনন্দপুরের ওই হাসপাতালে ভরতির জন্য গত সোমবার বিকালে এই হাসপাতালে অগ্রিম 80 হাজার টাকা জমা দিয়েছিলেন পরিজনরা। অভিযোগ, গত সোমবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ রোগীকে নিয়ে যাওয়ার পরে হাসপাতালের তরফে 3 লাখ টাকা জমা দিতে বলা হয়। এই টাকা জমা দেওয়া না হলে রোগীকে ভরতি নেওয়া হবে না বলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয় । অভিযোগ রোগীর ছেলের ।

মৃত রোগীর ছেলে মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন, যখন তাঁরা বাড়তি টাকার ব্যবস্থা করছিলেন সেই সময় রাত সওয়া 10 টা নাগাদ অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই তাঁর মায়ের মৃত্যু হয় । অন্যদিকে এই অভিযোগের বিষয়ে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, রোগীকে ভরতি করানোর জন্য সোমবার বিকালেই বেড বুক করেছিলেন পরিজনেরা । কিন্তু, রোগীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারপরেও দেখেছিলেন চিকিৎসকরা। CPR দিয়ে রোগীকে রিভাইভ করানোর চেষ্টাও হয়েছিল। ভেন্টিলেটরের সাপোর্ট রয়েছে এমন রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারপরেও অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে এই রোগীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন চিকিৎসকরা। শেষ পর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এরপর মৃত রোগীকে নিয়ে পরিজনরা চলে যেতে চেয়েছিলেন। হাসপাতালই তাঁদের আটকেছিল । আইন অনুযায়ী বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছিল।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে বুধবার ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন (WBCERC)-এর চেয়ারপার্সন জাস্টিস অসীমকুমার বন্দোপাধ্যায় বলেন, "সংবাদমাধ্যমে এই বিষয়ে জানার পরে আমার একটাই বক্তব্য, ঘটনাটি সত‍্যি-মিথ‍্যা যা-ই হোক, অত‍্যন্ত দুঃখজনক এবং অমানবিক ঘটনা।"

তিনি বলেন, "ইতিমধ্যে ওই দুটি হাসপাতালকে নিজেদের বক্তব্য জানাতে বলেছি। "

কমিশনের চেয়ারপার্সন মঙ্গলবার বলেন, "কমিশনে এর পর যেদিন শুনানি, আগামী 19 অগাস্ট ৷ সেদিনই এই মামলা শোনার চেষ্টা করব।"

এইরপর তিনি জানান, "কমিশনের ইতিহাসে এই প্রথম সুয়ো মোটো হিয়ারিং অর্থাৎ, স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কোনও মামলা নেওয়া হল। এর আগে হোয়াটসঅ্যাপে দুটি মামলা নিয়েছি। কিন্তু এই মামলাটি খবরের কাগজ দেখে এবং পারিপার্শ্বিক খবরের ভিত্তিতে নেওয়া। এই প্রথম এমন প্রয়াস।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.