ETV Bharat / city

Physical Education Teachers : স্কুলে স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষার শিক্ষকদের বঞ্চনার অভিযোগ

2011 সালে রাজ্যের রাজনৈতিক পালাবদল হবার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষাকে আবশ্যিক লিখিত বিষয় হিসাবে স্কুলের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হবে । উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে 2014 সাল থেকে উচ্চমাধ্যমিকে স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষাকে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করে (Physical Education Teachers)৷

author img

By

Published : Jun 2, 2022, 6:31 PM IST

Allegations of Physical education teacher getting lower salary
Physical Education Teachers

কলকাতা, 2 জুন : এসএসসি মাধ্যমে দুর্নীতি নিয়ে যখন তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি, তখন সামনে এল উচ্চমাধ্যমিক স্তরে আরও একটি অনিয়ম । রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা পড়ানো হলেও, সেই বিষয়ের শিক্ষকরা তাঁদের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন দীর্ঘদিন । এই বিষয়টি নিয়ে বারে বারে দরবার করা হলেও কতৃপক্ষের তরফে মেলেনি কোনও সাড়া । এমনটাই অভিযোগ করেছেন উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকরা (Allegations of Physical education teacher getting lower salary)৷

2011 সালে রাজ্যের রাজনৈতিক পালাবদল হবার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষাকে আবশ্যিক লিখিত বিষয় হিসাবে স্কুলের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হবে । উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে 2014 সাল থেকে উচ্চমাধ্যমিকে স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষাকে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করে । কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হলেও, আজ পর্যন্ত উচ্চমাধ্যমিক স্তরে যাঁরা এই বিষয় শিক্ষাদান করেছেন তাঁরা প্রাপ্য বেতন থেকে বঞ্চিত হয়ে রয়েছেন । এমনকী উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলোর জন্য আলাদা করে কোনও শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি । যে সমস্ত মাধ্যমিক স্কুলের শারীরশিক্ষার উচ্চতর ডিগ্রি অর্থাৎ এমপিইডি বা পিএইচডি শিক্ষক রয়েছেন, সেই স্কুলগুলিকেই এই অনুমোদন দেওয়া হয় । পাশাপাশি মাধ্যমিক স্তরে যে শিক্ষকদের এই বিষয় উচ্চতর ডিগ্রি রয়েছে তাঁদের দিয়েই পড়ানো হয় ।

পশ্চিমবঙ্গ শারীরশিক্ষা শিক্ষক সংগঠনের সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দেবনাথ বলেন, "উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিতে এই বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হলেও তখন কিন্তু এই স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পড়াবার জন্য কোনও শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি ৷ মাধ্যমিক স্তরে যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উচ্চতর ডিগ্রি ছিল, তাঁদের দিয়ে এই পড়ানোর কাজ করানো হয় ৷ তবে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পর সেই সব শিক্ষকদের থেকে আগে সাদা কাগজে লিখিয়ে নেওয়া হয় ৷ তখন মুচলেখাতে আমাদের লিখে দিতে হয়েছিল, আমরা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পড়ালেও উচ্চ মাধ্যমিকের বেতন আমরা নেব না । ছাত্র-ছাত্রীদের এবং শারীরশিক্ষার স্বার্থে মাধ্যমিক শিক্ষকরা রাজি হয়ে যান । এছাড়াও আমাদের আশা ছিল যে প্রাথমিকভাবে বেতন বাড়ানো না হলেও, কয়েক বছরের মধ্যে হয়তো এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে । তবে আজ 10 বছরের ওপর সময় কেটে গেলেও, বেতন ঠিক হল না । এই বৈষম্য এবং অনিয়ম দ্রুত দূর করতে হবে ।"

তিনি আরও বলেন, "তাই আমাদের দাবি যে উচ্চমাধ্যমিকে যেসব উচ্চ ডিগ্রি সম্পন্ন শারীরশিক্ষা ও স্বাস্থ্য শিক্ষার শিক্ষকরা ক্লাস নিচ্ছেন তাঁদের উচ্চতর স্কেলের ব্যবস্থা করতে হবে । পাশাপাশি উচ্চমাধ্যমিক স্তরে যাঁরা এই বিষয়টি পড়াচ্ছেন তাঁদের বেতন ঠিক করতে হবে এবং এসএসসির মাধ্যমে উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে ।" আরেক শিক্ষক ডক্টর প্রদীপ পাল বলেন, "এই বিষয়টি জানিয়ে আমরা তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন-সহ নবান্নেও চিঠি দিয়েছি ৷ তবে কোনও উত্তর পাইনি । মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বেতনের তারতম্য হচ্ছে প্রায় 10 হাজার টাকার কাছাকাছি । পাশাপাশি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিতে এই বিষয়টি পড়ানোর জন্য নিয়োগ হয়নি বলে যারা মাধ্যমিকে পড়াচ্ছেন এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পড়াচ্ছেন সেই সব শিক্ষকদের ওপর বাড়ছে বাড়তি বোঝা ।

আরও পড়ুন : TET Passed Students Agitation : বিকাশ ভবন আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সেক্রেটারি তাপস কুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, "এই বিষয়টি আমি প্রথম জানলাম । নিয়োগের বিষয়টি আমরা দেখি না, সেটা এসএসসি ও বোর্ড দেখে । ঠিক একইভাবে বেতনের বিষয়টিও আমরা দেখি না । বেতনের বিষয়টি কমিশন দেখে ।"

কলকাতা, 2 জুন : এসএসসি মাধ্যমে দুর্নীতি নিয়ে যখন তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি, তখন সামনে এল উচ্চমাধ্যমিক স্তরে আরও একটি অনিয়ম । রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা পড়ানো হলেও, সেই বিষয়ের শিক্ষকরা তাঁদের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন দীর্ঘদিন । এই বিষয়টি নিয়ে বারে বারে দরবার করা হলেও কতৃপক্ষের তরফে মেলেনি কোনও সাড়া । এমনটাই অভিযোগ করেছেন উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকরা (Allegations of Physical education teacher getting lower salary)৷

2011 সালে রাজ্যের রাজনৈতিক পালাবদল হবার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষাকে আবশ্যিক লিখিত বিষয় হিসাবে স্কুলের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হবে । উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে 2014 সাল থেকে উচ্চমাধ্যমিকে স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষাকে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করে । কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হলেও, আজ পর্যন্ত উচ্চমাধ্যমিক স্তরে যাঁরা এই বিষয় শিক্ষাদান করেছেন তাঁরা প্রাপ্য বেতন থেকে বঞ্চিত হয়ে রয়েছেন । এমনকী উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলোর জন্য আলাদা করে কোনও শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি । যে সমস্ত মাধ্যমিক স্কুলের শারীরশিক্ষার উচ্চতর ডিগ্রি অর্থাৎ এমপিইডি বা পিএইচডি শিক্ষক রয়েছেন, সেই স্কুলগুলিকেই এই অনুমোদন দেওয়া হয় । পাশাপাশি মাধ্যমিক স্তরে যে শিক্ষকদের এই বিষয় উচ্চতর ডিগ্রি রয়েছে তাঁদের দিয়েই পড়ানো হয় ।

পশ্চিমবঙ্গ শারীরশিক্ষা শিক্ষক সংগঠনের সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দেবনাথ বলেন, "উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিতে এই বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হলেও তখন কিন্তু এই স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পড়াবার জন্য কোনও শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি ৷ মাধ্যমিক স্তরে যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উচ্চতর ডিগ্রি ছিল, তাঁদের দিয়ে এই পড়ানোর কাজ করানো হয় ৷ তবে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পর সেই সব শিক্ষকদের থেকে আগে সাদা কাগজে লিখিয়ে নেওয়া হয় ৷ তখন মুচলেখাতে আমাদের লিখে দিতে হয়েছিল, আমরা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পড়ালেও উচ্চ মাধ্যমিকের বেতন আমরা নেব না । ছাত্র-ছাত্রীদের এবং শারীরশিক্ষার স্বার্থে মাধ্যমিক শিক্ষকরা রাজি হয়ে যান । এছাড়াও আমাদের আশা ছিল যে প্রাথমিকভাবে বেতন বাড়ানো না হলেও, কয়েক বছরের মধ্যে হয়তো এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে । তবে আজ 10 বছরের ওপর সময় কেটে গেলেও, বেতন ঠিক হল না । এই বৈষম্য এবং অনিয়ম দ্রুত দূর করতে হবে ।"

তিনি আরও বলেন, "তাই আমাদের দাবি যে উচ্চমাধ্যমিকে যেসব উচ্চ ডিগ্রি সম্পন্ন শারীরশিক্ষা ও স্বাস্থ্য শিক্ষার শিক্ষকরা ক্লাস নিচ্ছেন তাঁদের উচ্চতর স্কেলের ব্যবস্থা করতে হবে । পাশাপাশি উচ্চমাধ্যমিক স্তরে যাঁরা এই বিষয়টি পড়াচ্ছেন তাঁদের বেতন ঠিক করতে হবে এবং এসএসসির মাধ্যমে উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে ।" আরেক শিক্ষক ডক্টর প্রদীপ পাল বলেন, "এই বিষয়টি জানিয়ে আমরা তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন-সহ নবান্নেও চিঠি দিয়েছি ৷ তবে কোনও উত্তর পাইনি । মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বেতনের তারতম্য হচ্ছে প্রায় 10 হাজার টাকার কাছাকাছি । পাশাপাশি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিতে এই বিষয়টি পড়ানোর জন্য নিয়োগ হয়নি বলে যারা মাধ্যমিকে পড়াচ্ছেন এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পড়াচ্ছেন সেই সব শিক্ষকদের ওপর বাড়ছে বাড়তি বোঝা ।

আরও পড়ুন : TET Passed Students Agitation : বিকাশ ভবন আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সেক্রেটারি তাপস কুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, "এই বিষয়টি আমি প্রথম জানলাম । নিয়োগের বিষয়টি আমরা দেখি না, সেটা এসএসসি ও বোর্ড দেখে । ঠিক একইভাবে বেতনের বিষয়টিও আমরা দেখি না । বেতনের বিষয়টি কমিশন দেখে ।"

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.