ETV Bharat / city

Alapan Bandyopadhyay : অবসরকালীন সুযোগ সুবিধার মামলা কলকাতায় রাখতে হাইকোর্টে আলাপন

রাজ্যের মুখ্য উপদেষ্টা থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পর্যালোচনা বৈঠকে শামিল না হওয়ায় আলাপনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনেছিল কেন্দ্রীয় সরকার, যা কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের প্রিন্সিপাল বেঞ্চ পর্যন্ত গড়ায় ।

Alapan Bandyopadhyay moves to calcutta high court against disciplinary action cases
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ।
author img

By

Published : Oct 26, 2021, 6:59 PM IST

Updated : Oct 26, 2021, 7:26 PM IST

কলকাতা, 26 অক্টোবর : কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এ বার সরাসরি কলকাতা হাই কোর্টে প্রত্যাঘাত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের । অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা সংক্রান্ত কারা মামলাকে কলকাতা থেকে দিল্লি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের প্রিন্সিপাল বেঞ্চ । সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই এ বার হাই কোর্টে গেলেন অবসরপ্রাপ্ত আমলা । তাঁর যুক্তি,আমলা হিসেবে কলকাতাই ছিল তাঁর কর্মস্থল । তিনি নিজেও কলকাতায় থাকেন । তাই মামলার শুনানি কলকাতাতেই হওয়া উচিত ।

রাজ্যের মুখ্য উপদেষ্টা থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পর্যালোচনা বৈঠকে শামিল না হওয়ায় আলাপনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনেছিল কেন্দ্রীয় সরকার, যা কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের প্রিন্সিপাল বেঞ্চ পর্যন্ত গড়ায় । অক্টোবরের মাঝামাঝি আলাপনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ আসে সেখান থেকে । শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা থেকেও আলাপনকে বঞ্চিত করার হুঁশিয়ারি আসে । তার বিরুদ্ধে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের কলকাতা বিভাগে মামলা করেছিলেন আলাপন ।

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: জিটিএ নির্বাচনের ইঙ্গিত, পাহাড়ে শীঘ্রই লাগু ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা

কিন্তু অমিত শাহ নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অধীনস্থ কর্মীবর্গ এবং প্রশিক্ষণ বিভাগ ওই মামলা দিল্লির় প্রিন্সিপাল বেঞ্চে নিয়ে আসার আবেদন জানায় । সেই মামলা কলকাতাতে রাখতেই এ বার হাই কোর্টে গেলেন আলাপন । বুধবার কলকাতা হাই কোর্টে তাঁর আবেদনের শুনানি হতে পারে ।

বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আলাপনকে নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রের মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয় । ঘূর্ণিঝড় যশ পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে কলাইকুণ্ডায় মোদির বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল আলাপনের । কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করতে বেরনো আলাপন, সাকুল্যে 15-20 মিনিটই সেখানে ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে । জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর বিমান পৌঁছতে দেরি করে । তাই তিনি আসার পর সাক্ষাৎ করে রিপোর্ট জমা দেন আলাপন । তার পর অনুমতি নিয়ে বেরিয়ে যান । তাতেই তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে উদ্যোগী হয় কেন্দ্র ।

আরও পড়ুন: School Opening: দীর্ঘদিন পর খুলছে স্কুল, জলপাইগুড়িতে খুশির আমেজে ছাত্র-শিক্ষকরা

মোদির বৈঠকে না থেকে, মমতার সঙ্গে চলে গিয়ে আলাপন ‘প্রোটোকল’ ভেঙেছেন বলে অভিযোগ করে কেন্দ্র । বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে শোকজ ধরানোর পাশাপাশি, তড়িঘড়ি দিল্লিতে বদলি করা হয় তাঁকে । অবিলম্বে কাজে যোগ দিতে বলা হয় । কিন্তু জবাবে আমলা পদ থেকেই ইস্তফা দেন আলাপন । তার পর তাঁকে নিজের মুখ্য উপদেষ্টা নিয়োগ করেন মমতা । তাতেই বিষয়টি রাজ্য এবং কেন্দ্রের মধ্যেকার সংঘাতে পরিণত হয় । যদিও আলাপনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ খাটে না বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছে ওয়াকিবহাল মহল । তাদের যুক্তি, কলাইকুণ্ডায় বায়ুসেনা ঘাঁটিতে নেমেছিলেন মোদি, যা কোনও সাধারণ বিমানবন্দর নয় । তাই সেখানে কোনও প্রশাসনিক প্রোটোকল খাটে না ।

তা ছাড়া, রাজ্যের মুখ্যসচিব হিসেবে বিপর্যয়ের সময় মুখ্যসচিবের কাঁধে গুরু দায়িত্ব থাকে । তাই বৈঠকে বেশি ক্ষণ না থেকে আলাপন কোনও অন্যায় করেননি বলেও যুক্তি সামনে এসেছে । এ প্রসঙ্গে প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও জহর সরকার যুক্তি দেন যে, আইন অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী যদি বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের চেয়ারপার্সন হন, সে ক্ষেত্রে মুখ্যসচিব ওই বিভাগের এগজিকিউটিভ চেয়ারপার্সন । তাই চেয়ারপার্সনের নির্দেশ অমান্য করতে পারেন না আলাপন । নিয়ম মেনেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পরিস্থিতি পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন তিনি । আলাপনকে বদলি করার আগে রাজ্যের অনুমতির প্রয়োজন ছিল । কিন্তু কেন্দ্র সরকার সে সবের ধার ধারেনি বলেও অভিযোগ ।

কলকাতা, 26 অক্টোবর : কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এ বার সরাসরি কলকাতা হাই কোর্টে প্রত্যাঘাত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের । অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা সংক্রান্ত কারা মামলাকে কলকাতা থেকে দিল্লি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের প্রিন্সিপাল বেঞ্চ । সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই এ বার হাই কোর্টে গেলেন অবসরপ্রাপ্ত আমলা । তাঁর যুক্তি,আমলা হিসেবে কলকাতাই ছিল তাঁর কর্মস্থল । তিনি নিজেও কলকাতায় থাকেন । তাই মামলার শুনানি কলকাতাতেই হওয়া উচিত ।

রাজ্যের মুখ্য উপদেষ্টা থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পর্যালোচনা বৈঠকে শামিল না হওয়ায় আলাপনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনেছিল কেন্দ্রীয় সরকার, যা কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের প্রিন্সিপাল বেঞ্চ পর্যন্ত গড়ায় । অক্টোবরের মাঝামাঝি আলাপনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ আসে সেখান থেকে । শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা থেকেও আলাপনকে বঞ্চিত করার হুঁশিয়ারি আসে । তার বিরুদ্ধে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের কলকাতা বিভাগে মামলা করেছিলেন আলাপন ।

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: জিটিএ নির্বাচনের ইঙ্গিত, পাহাড়ে শীঘ্রই লাগু ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা

কিন্তু অমিত শাহ নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অধীনস্থ কর্মীবর্গ এবং প্রশিক্ষণ বিভাগ ওই মামলা দিল্লির় প্রিন্সিপাল বেঞ্চে নিয়ে আসার আবেদন জানায় । সেই মামলা কলকাতাতে রাখতেই এ বার হাই কোর্টে গেলেন আলাপন । বুধবার কলকাতা হাই কোর্টে তাঁর আবেদনের শুনানি হতে পারে ।

বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আলাপনকে নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রের মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয় । ঘূর্ণিঝড় যশ পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে কলাইকুণ্ডায় মোদির বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল আলাপনের । কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করতে বেরনো আলাপন, সাকুল্যে 15-20 মিনিটই সেখানে ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে । জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর বিমান পৌঁছতে দেরি করে । তাই তিনি আসার পর সাক্ষাৎ করে রিপোর্ট জমা দেন আলাপন । তার পর অনুমতি নিয়ে বেরিয়ে যান । তাতেই তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে উদ্যোগী হয় কেন্দ্র ।

আরও পড়ুন: School Opening: দীর্ঘদিন পর খুলছে স্কুল, জলপাইগুড়িতে খুশির আমেজে ছাত্র-শিক্ষকরা

মোদির বৈঠকে না থেকে, মমতার সঙ্গে চলে গিয়ে আলাপন ‘প্রোটোকল’ ভেঙেছেন বলে অভিযোগ করে কেন্দ্র । বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে শোকজ ধরানোর পাশাপাশি, তড়িঘড়ি দিল্লিতে বদলি করা হয় তাঁকে । অবিলম্বে কাজে যোগ দিতে বলা হয় । কিন্তু জবাবে আমলা পদ থেকেই ইস্তফা দেন আলাপন । তার পর তাঁকে নিজের মুখ্য উপদেষ্টা নিয়োগ করেন মমতা । তাতেই বিষয়টি রাজ্য এবং কেন্দ্রের মধ্যেকার সংঘাতে পরিণত হয় । যদিও আলাপনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ খাটে না বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছে ওয়াকিবহাল মহল । তাদের যুক্তি, কলাইকুণ্ডায় বায়ুসেনা ঘাঁটিতে নেমেছিলেন মোদি, যা কোনও সাধারণ বিমানবন্দর নয় । তাই সেখানে কোনও প্রশাসনিক প্রোটোকল খাটে না ।

তা ছাড়া, রাজ্যের মুখ্যসচিব হিসেবে বিপর্যয়ের সময় মুখ্যসচিবের কাঁধে গুরু দায়িত্ব থাকে । তাই বৈঠকে বেশি ক্ষণ না থেকে আলাপন কোনও অন্যায় করেননি বলেও যুক্তি সামনে এসেছে । এ প্রসঙ্গে প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও জহর সরকার যুক্তি দেন যে, আইন অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী যদি বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের চেয়ারপার্সন হন, সে ক্ষেত্রে মুখ্যসচিব ওই বিভাগের এগজিকিউটিভ চেয়ারপার্সন । তাই চেয়ারপার্সনের নির্দেশ অমান্য করতে পারেন না আলাপন । নিয়ম মেনেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পরিস্থিতি পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন তিনি । আলাপনকে বদলি করার আগে রাজ্যের অনুমতির প্রয়োজন ছিল । কিন্তু কেন্দ্র সরকার সে সবের ধার ধারেনি বলেও অভিযোগ ।

Last Updated : Oct 26, 2021, 7:26 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.