কলকাতা, 20 জুলাই: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) স্নাতক স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য 'ফি' (Entrance Exam Fee) নেওয়ার প্রতিবাদে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস-সহ কলা ও বিজ্ঞান বিভাগের ডিনদের ঘেরাও করা হল ৷ বাম ছাত্র সংগঠন AIDSO (All India Democratic Students Organisation)-এর তরফ থেকে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয় ৷ তাদের সাফ কথা, এই ঘোষিত 'ফি' প্রত্যাহার করতে অথবা কমাতে হবে ৷ তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে ৷ অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবারই এই বিষয়ে একটি বৈঠক করবে কর্তৃপক্ষ ৷ সেখানেই প্রবেশিকা পরীক্ষার 'ফি' নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্থির করেছে, এবছর প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে একমাত্র তবেই বিজ্ঞান (জিওলজি বাদে) ও কলা বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন ছাত্রছাত্রীরা ৷ উল্লেখ্য, কলা বিভাগে বরাবরই প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হয় ৷ তবে, এত দিন তার জন্য আলাদা করে কোনও 'ফি' দিতে হত না ৷ কিন্তু, চলতি শিক্ষাবর্ষে দুই বিভাগেই প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে ৷ এবং এর জন্য আলাদা করে 'ফি'-ও দিতে হচ্ছে ৷ আর এই টাকা নেওয়াতেই আপত্তি তুলেছে AIDSO ৷ বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে সাধারণ পড়ুয়াদের মাথাপিছু 400 টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি পড়ুয়াদের 200 টাকা করে 'ফি' দিতে হচ্ছে ৷ কলা বিভাগের ক্ষেত্রে এই পরিমাণটিই যথাক্রমে 200 টাকা ও 100 টাকা ৷
আরও পড়ুন: Jadavpur University: স্নাতকের ভর্তিতে জিওলজি বাদে বিজ্ঞান বিভাগের সব বিষয়ে হবে প্রবেশিকা পরীক্ষা
এই বিষয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এআইডিএসও সভাপতি মুস্তাক মোল্লা বলেন, "সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে এন্ট্রান্স ফি নেওয়া হবে না ৷ তবুও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষার ফর্ম পূরণের জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে ৷ এরকম আগে কখনও হয়নি ৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যশালী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৷ এখানে সমাজের সব স্তরের ছাত্রছাত্রীরা খুব কম খরচে পড়াশোনা করার সুযোগ পান ৷ অথচ, করোনাকালের পর এখানেই নতুন 'ফি' চালু করা হল ৷" এটা তাঁদের পক্ষে কিছুতেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মুস্তাক ৷ একই সুর শোনা গিয়েছে সংগঠনের আর এক নেত্রী অনন্যা নন্দীর গলাতেও ৷
বিষয়টি নিয়ে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "ছাত্রদের ঘেরাও করার অধিকার রয়েছে ৷ তাই তাঁরা ঘেরাও করেছেন ৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাডমিশন কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ এই বিষয়ে আমি কিছু মন্তব্য করতে পারব না ৷"