কলকাতা, 5 নভেম্বর: পুজোর আগেই একটি গ্রুপের অধীনস্ত তিনটি বেসরকারি স্কুল থেকে শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারী মিলিয়ে মোট 78 জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে । এই ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে 2 নভেম্বর পথে নেমেছিল CITU প্রভাবিত আন-এডেড ইনস্টিটিউশন'স (এডুকেশনাল) ওয়ার্কার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ় ইউনিয়ন । গতকাল ফের পথে নামল তারা । ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের কাজে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে তারা ।
আন-এডেড ইনস্টিটিউশন'স (এডুকেশনাল) ওয়ার্কার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ় ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শান্তনু সেনগুপ্ত বলেন, একটি বেসরকারি ট্রাস্ট পরিচালিত একটি গ্রুপ কলকাতায় তিনটি স্কুল চালায় । একটি দক্ষিণ কলকাতার মিন্টো পার্কে, একটি আইরন রোডে এবং আরও একটি স্কুল টালিগঞ্জের নেতাজি নগরে অবস্থিত । এই তিনটি স্কুল মিলিয়ে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় 12 হাজার । প্রায় 400 জন শিক্ষক এবং প্রায় 250 জন গ্রুপ-ডি ও অফিস স্টাফ কাজ করেন এই তিনটি স্কুলে । হঠাৎ পুজোর আগে 19 অক্টোবর থেকে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী মিলিয়ে মোট 78 জনকে ছাঁটাই করে কর্তৃপক্ষ । এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সামিল হয় আন-এডেড ইনস্টিটিউশন'স (এডুকেশনাল) ওয়ার্কার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ় ইউনিয়ন । ছাঁটাই হওয়া কর্মচারীদের মধ্যে 41 জন এই ইউনিয়নের সদস্য । তাই তাঁদের ও অন্য কাজ হারানো কর্মচারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে 2 নভেম্বর তারা পথে নামে ৷ ম্যানেজমেন্টের কাছে দাবি জানানো হয়, ছাঁটাই করা কর্মীদের কাজে পুনর্বহাল করার । কর্তৃপক্ষ যাতে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর না করতে পারে তার জন্য শ্রমমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করারও আবেদন জানানো হয়েছে ইউনিয়নের তরফে ।
ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শান্তনু সেনগুপ্ত বলেন, "এদের এক একটা স্কুলে তিন-চার হাজার করে ছাত্রী রয়েছে । তিনটি স্কুল মিলিয়ে মোট 78 জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে । তাঁদের মধ্যে আমাদের ইউনিয়নের সদস্য রয়েছেন 41 জন । আগে থেকেই সমস্যা চলছিল । ক্যাজ়ুয়াল, চুক্তিভিত্তিক প্রায় 100 জন রেগুলার কর্মীদের স্থায়ী করার দাবি জানিয়ে আসছিলাম । এরই মধ্যে হঠাৎই কর্তৃপক্ষ ঠিক করল যে এদের আর রাখব না । আমরা তারপরেই চিঠিপত্র দিয়েছিলাম । এর প্রভাব তো ভালো হবে না । এটা আইনবিরুদ্ধ । হাইকোর্টের নির্দেশে 80 শতাংশ করে ফি পাচ্ছে স্কুলগুলো । সেখানে এদেরকে ছাঁটাই কেন করা হবে? আমাদের লড়াই চলবে । প্রয়োজনে আইনি পথেও যাব ।"