কলকাতা, 26 এপ্রিল: কোরোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে লকডাউন। দিন আনি, দিন খাই পরিবারের রোজগার বন্ধ। এই ধরনের পরিবার থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা বহু পড়ুয়া রয়েছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস ফ্যাকাল্টির এই রকম প্রায় 200 পড়ুয়াকে চিহ্নিত করে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিল আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (AFSU)।
কোরোনা ভাইরাস নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গত 16 মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।আপাতত যা বন্ধ থাকবে 10 জুন পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতে প্রথম থেকেই দুস্থদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় রোজগারের পথও বন্ধ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন দোকানিদের। তাঁদের সাহায্য করেছেন পড়ুয়ারা। অস্থায়ী দোকানদারদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। কিছু ক্ষেত্রে আর্থিক সাহায্যও দিয়েছেন।
শুধু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত মানুষই নয়। রাস্তায় বসবাসকারী, ভিনরাজ্যের শ্রমিক তথা সর্বস্তরের দুস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। তাঁরা কমিউনিটি কিচেন করে প্রতিদিন রান্না করা খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন বহু মানুষকে। এরমধ্যেই যাদবপুরের আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের নজরে আসে দুস্থ পড়ুয়াদের বিষয়টি। যাঁরা এই লকডাউনে চরম আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এরপরই AFSU-র তরফে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয় এই পড়ুয়াদের সাহায্যের জন্য। ইতিমধ্যে এই ধরনের 202 জন পড়ুয়াকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের সাহায্যের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে ইউনিয়নের তরফে। তহবিলে অধ্যাপক থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা, সকলেই নিজেদের সাধ্যমতো দান করছেন। পাশাপাশি, দুস্থ পড়ুয়াদের সাহায্য করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছেও আবেদন জানানো হয়েছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সভানেত্রী তির্ণা ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা একটা সমীক্ষা চালিয়েছিলাম। সেখান থেকেই জানতে পেরেছি বিশ্ববিদ্যালয়ে 202 জন ছাত্রছাত্রী রয়েছেন যাঁদের আর্থিক অবস্থা খারাপ। বর্তমান পরিস্থিতিতে এদের পরিবারের ওষুধ, খাদ্যের মতো জরুরি জিনিসেরও অভাব হচ্ছে। এটা জানার পরেই যাবতীয় উদ্যোগ নিই।"