কলকাতা, 11 এপ্রিল : লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে ৷ ধর্ষিতা হয়ে মৃত 14 বছরের মেয়েটি কি মুখ্যমন্ত্রীর মা-মাটি-মানুষের তালিকায় পড়ে না ? নদিয়ার হাঁসখালিতে নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Chowdhury slams Mamata Banerjee for her comment on Hanskhali rape-murder incident) ৷ গত কয়েক সপ্তাহে খুন, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনায় মুখ পুড়েছে রাজ্যের। এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বেকায়দায় পড়তে হয়েছে আদালতে ৷ যা নিয়ে সোমবার মিলন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
মমতা বলেন, "হাঁসখালিতে খুব খারাপ ঘটনা ঘটেছে । মেয়েটি মারা গিয়েছে 5 তারিখ, পুলিশ জেনেছে 10 তারিখ । এক্ষেত্রে আপনি ধর্ষণ বলবেন নাকি অন্তঃসত্ত্বা বলবেন, নাকি প্রেমের সম্পর্ক বলবেন ? সেটা খতিয়ে দেখেছেন কী ? আমি পুলিশকে জিজ্ঞাসা করেছি ।" মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে বিভিন্নমহলে নিন্দার ঝড় ওঠে ৷ জোরাল হয় রাজ্যের বিরোধী কণ্ঠ ৷ প্রতিক্রিয়ার বিধান ভবনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, "হাঁসখালির ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের নিন্দা জানানোর ভাষা নেই ৷ যে বয়সে পুতুল নিয়ে খেলার কথা সেই বয়সে ধর্ষণের শিকার হতে হল ৷ অথচ মুখ্যমন্ত্রী খোঁজ নিচ্ছেন মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা কি না ৷ ধিক্কার জানাই আপনার এই মন্তব্যকে ৷ আপনাকে তিরস্কার করছি ৷"
আরও পড়ুন : হাঁসখালিতে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নাকি ধর্ষণ, খতিয়ে দেখা উচিত ; মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ায় বিতর্ক
এমনকী হাথরসের ঘটনা আর হাঁসখলির ঘটনায় কোনও ফারাক নেই বলেও দাবি করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ৷ পাশাপাশি বগটুইয়ে সন্ত্রাস শাসকদলের কাছে এখন মডেল বলে দাবি অধীরের ৷ আর সেই মডেলেই ধর্ষিতা নাবালিকার পরিবার মুখ খুলতে ভয় পেয়েছে বলে দাবি করেন বহরমপুরের সাংসদ ৷ হাঁসখালি নিয়ে মমতার মন্তব্যে খোঁচা দিয়েছেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও ৷ তিনি জানান, কোনও ঘটনার তদন্তের আগেই মুখ্যমন্ত্রী সব বলে দেন ৷ এটা ওনার মিথ্যে ডক্টরেট ডিগ্রির কামাল ৷