কলকাতা, 25 অগস্ট: রাজ্যে একদিকে কয়লা পাচার, অন্যদিকে গরু পাচার সঙ্গে সমানভাবে চলছে শিক্ষা দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্ত । আর এই ঘটনাগুলির তদন্ত করছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা এবং সিবিআই-এর গোয়েন্দারা । কিন্তু মামলার তুলনায় কর্মী সংখ্যা অত্যন্ত কম বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছিল ইডি এবং সিবিআই ।
এ বার দিল্লি থেকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) 20 জন আধিকারিক পা রাখলেন কলকাতায় । তাঁরা সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে । সূত্রের খবর, এই অতিরিক্ত 20 জন আধিকারিক আসার ফলে তদন্তের গতি একটু হলেও বেশি হবে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের (Additional ED officials in Kolkata) ।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই শিক্ষা দুর্নীতি কাণ্ডে আর্থিক তছরূপ এবং কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে আর্থিক তছরূপের ঘটনায় তদন্তে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । শহরের নানা প্রান্তে এবং জেলার একাধিক জায়গায় গিয়ে প্রতিনিয়ত তল্লাশি অভিযান চালাতে হচ্ছে ইডির গোয়েন্দাদের । তদন্তর গতি অনেকটাই কম হচ্ছে, এর কারণ মামলার তুলনায় কর্মীর সংখ্যা অত্যন্ত কম । রাজ্যের একাধিক দুর্নীতি কাণ্ডে তদন্তে নেমে প্রথমেই সদর দফতরে নিজেদের কর্মী সংখ্যায় ঘাটতির অভিযোগ করে ইডি ।
আরও পড়ুন: শহরজুড়ে অর্পিতার বিভিন্ন ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান ইডির
সম্প্রতি রাজ্যে কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের সঙ্গে সমান্তরাল তদন্তে নেমেছে ইডি । এছাড়াও শিক্ষা দুর্নীতি কাণ্ডে রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী তথা তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । পার্থর ঘনিষ্ঠ অর্পিতার দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুরের ফ্ল্যাট এবং উত্তর 24 পরগনার বেলঘরিয়ার ফ্লাট থেকে মোট 50 কোটির বেশি নগদ টাকা উদ্ধার করেছে ইডি । এছাড়াও মোট 4 কোটি 31 লক্ষ টাকার সোনার গয়না ও বাজেয়াপ্ত করেছেন ইডির গোয়েন্দারা ।