কলকাতা, ৬ মার্চ : রীতিমতো হাইটেক কায়দা। উন্নত সফটওয়্যারের ব্যবহার। সেই কায়দাতে ব্যাঙ্কের ৩৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল তিন প্রতারক। প্রথমটায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারেনি কিছুই। যখন বুঝতে পারে তখন দেরি হয়ে গেছে বড়। তড়িঘড়ি বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার দ্বারস্থ হন কলকাতা পুলিশের। দীর্ঘ তদন্ত চালিয়ে অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয় তিন প্রতারককে। পর্দা ফাঁস হয় প্রতারণার।
অনলাইন ব্যাঙ্কিংয়ের জারিজুরি। অত্যাধুনিক সফটওয়্যারের ব্যবহারে ব্যাঙ্কের অনলাইন অ্যাপে প্রতারণা। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি প্রতারণার ছক। আসলে জাল আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড কাজে লাগিয়ে ৪৫টি অ্যাকাউন্ট খুলে রীতিমতো কেতাবি কায়দায় চালানো হয়েছিল প্রতারণা। আর সেই প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল BURP নামে একটি সফটওয়্যার। যার মাধ্যমে বদলে ফেলা যায় মেসেজ। অনলাইনে পেমেন্ট গেটওয়েতে ব্যবহার করা হয়েছিল ওই সফটওয়্যার। যাতে ৩৩ লাখ ৫১ হাজার ৩২০ টাকা জমা না দিয়েও লেনদেনের খাতায় জমা হিসেবেই দেখানো হয়েছিল। তারপর সেই টাকা ডেবিটও করা হয়। পুরো প্রক্রিয়া চালানো হয়েছিল গত বছর ২৬ এপ্রিল থেকে ৩ মে-র মধ্যে। পরে পার্কস্ট্রিটের ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বুঝতে পারেন তাঁরা প্রতারণার শিকার। ব্যাঙ্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট তুষারকান্তি চৌধুরি অভিযোগ দায়ের করেন লালবাজার সাইবার ক্রাইম থানায়।
অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে প্রথমটায় দিশেহারা হয়ে যান তদন্তকারীরা। পরে সূত্র মেলে। সেই সূত্র ধরে গ্রেপ্তার করা হয় রিষড়ার ভবানীশংকর দারক, রাজীবকুমার সাহা এবং গোবিনদীপ সিংকে। তাদের গতকাল আদালতে তোলা হলে ১৯ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।