কলকাতা, 12 মার্চ : বেলেঘাটা ID হাসপাতালে এক দিনেই কোরোনা সংক্রমণ সন্দেহে পর্যবেক্ষণের জন্য ভরতি করানো হল 10 জনকে ৷ তাঁরা সকলেই সম্প্রতি অন্য কোনও রাজ্য বা দেশ থেকে ফিরেছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ তবে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাল বলেন, রাজ্যে কেউ কোরোনা আক্রান্ত নয় ৷ পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে প্রশাসন ৷
কলকাতার ইনফেকশাস ডিজ়িজ়েস অ্যান্ড বেলেঘাটা জেনেরাল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে কাল ভরতি হওয়া 10 জন ছাড়াও চিকিৎসা চলছে আরও দু'জনের ৷ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভরতি হওয়া 10 জনের সকলেরই বয়স 20 থেকে 30 বছরের মধ্যে ৷ এই তালিকায় রয়েছে কলকাতায় বসবাসকারী এক অ্যামেরিকান যুবক ৷ সম্প্রতি অ্যামেরিকা থেকে ফিরেছিলেন ওই যুবক ৷ ফেরার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি ৷ আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি করানো হয়েছে এক যুবতিকেও, বেঙ্গালুরু থেকে ফিরেছিলেন এই ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া ৷ এছাড়া বিহারের মুজাফফরপুরের বাসিন্দা এক যুবককেও ভরতি করানো হয়েছে কোরোনা সন্দেহে ৷ তিনি সম্প্রতি কাতার থেকে ফিরেছিলেন বলে জানা গিয়েছে ৷
বাকিদের মধ্যে কেউ যেমন দেশের অভ্যন্তরেই গুজরাত, কেরল, দিল্লি কিংবা জয়পুরে গিয়েছিলেন । তেমনই, কেউ আবার কুয়েত কিংবা ফিলিপিনস থেকে ফিরেছিলেন সম্প্রতি । হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভরতি হওয়া ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরেই এই ১০ জনের সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা করা হবে কি না, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে । অন্যদিকে, মিন্টোপার্কের কাছে অবস্থিত বেসরকারি একটি হাসপাতালে বুধবার COVID-19-এর সংক্রমণ সন্দেহে কয়েকজনকে ভরতি করানো হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে ৷ ওই বেসরকারি হাসপাতালের CEO প্রদীপ ট্যান্ডন জানিয়েছেন, ‘‘COVID-19-এর সংক্রমণ সন্দেহে এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে কাউকে ভরতি করানো হয়নি । তবে ভাইরাসের মোকাবিলায় এই হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে ’’৷
তবে মুখ্যমন্ত্রী কাল বলেন, ‘‘রাজ্যে কোরোনা আক্রান্তের কোনও খবর নেই ৷ তিনজন জ্বর-সর্দি কাশি নিয়ে বেলেঘাটা ID হাসপাতালে ভরতি হলেও তাঁরা কেউই কোরোনা আক্রান্ত নন ৷ প্রশাসন পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে ৷’’ মুরগির মাংস থেকে কোরোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে এই গুজব সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘মুরগির মাংস খাওয়ার সঙ্গে কোরোনা ভাইরাসের কোনও সম্পর্ক নেই ৷" মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সংবাদমাধ্যমগুলির কাছেও অনুরোধ করেন, যাতে সাধারণ মানুষের কাছে কোনও ভুল তথ্য না পৌছায় বা গুজব না ছড়িয়ে পড়ে ৷