হাওড়া/ আরামবাগ, 21 অগস্ট: হাওড়া, 21 অগস্ট : আল-কায়দা জঙ্গি সন্দেহে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের হাতে ধৃত কাজি আহসানউল্লাহকে নিয়ে (Suspected Al Qaeda Terrorists Arrested) রবিবার হাওড়ার বাঁকড়ার রাশিকল এলাকাতে যান তদন্তকারীরা ৷ তল্লাশি চালানো হয় তার আরামবাগের সামতার বাড়িতেও ৷
দিনকয়েক আগেই উত্তর 24 পরগনার শাসন থেকে তাকে গ্রেফতার করে এসটিএফ ৷ সূত্রের খবর, বাঁকড়ার রসিকল এলাকায় এক ভাড়া বাড়িতে থেকে শিক্ষকতা করত আহসানউল্লাহ ৷ বিনামূল্যে দরিদ্র শিশু ও বয়স্কদের পড়াতো সে ৷ পাশাপাশি, গাড়ি কেনাবেচার কাজেও সে যুক্ত ছিল ৷ এলাকার স্থানীয় মানুষের কাছে 'ভালো' মানুষ পরিচিতিই তৈরি হয়েছিল তার ৷
এদিন দুপুরে আহসানউল্লাহকে নিয়ে এসটিএফের অধিকারিকরা বাঁকড়ার ওই ভাড়া বাড়িতে যান (STF search operation in Howrah Bankra with suspected Al Qaeda Terrorist) । কাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল, তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল, এই সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী দলের কর্তারা ৷ বাড়ির মালিক মহম্মদ হুসেল খান জানিয়েছেন, 11 মাস এখানে থাকার কথা থাকলেও, স্ত্রী'কে নিয়ে 7-8 মাস এখানে ছিল আহসানউল্লাহ ৷ তাঁর দাবি, হুগলির আরামবাগে ধৃতের বাড়ি বলে তিনি জানতেন ৷ আধার কার্ডে আহসানউল্লাহের ছবিও ছিল অস্পষ্ট ৷
আরও পড়ুন: জঙ্গি সন্দেহে ধৃতদের 14 দিনের হেফাজতে পেল এসটিএফ
এদিন সন্ধ্যায় এসটিএফের 10-12 জনের আরও একটি দল আরামবাগের সামতার বাড়িতে আসে । প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে তাঁরা আহসানউল্লাহর বাবা কাজি সফিউল্লাহ ও মা ফরিদা বিবিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন । আল-কায়দা জঙ্গি সন্দেহে ধৃত আহসানউল্লাহর বাড়ি আরামবাগে হলেও এখানে সে থাকত না । যদিও মাঝেমধ্যে এখানে আসত সে ৷ আরামবাগে তার গতিবিধি কী ছিল? মা,বাবা কেন কিছু জানতেন না? সেসবই এদিন জানার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা ৷ তল্লাশি চালানো হয় বাড়ির ভিতরেও ৷ তবে এদিন আহসান কেউ আরামবাগে আনা হলেও তাকে গাড়িতেই রাখা হয় ।
প্রসঙ্গত দিন দু'য়েক আগেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এসটিএফ-এর আধিকারিকরা উত্তর 24 পরগনা থেকে গ্রেফতার করে আব্দুর রকিব সরকার এবং কাজি আহসানউল্লাহ নামে দুই সন্দেহভাজন আল-কায়দা জঙ্গিকে (Suspected Al Qaeda Terrorists arrested from North 24 Parganas) ৷ এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা আল-কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট নামক একটি গোষ্ঠীর সদস্য । তপসিয়াতেও তাদের ডেরার কথাও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা । ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক জায়গায় নাশকতামূলক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে ৷ রাজ্য পুলিশের একাধিক থানায় এই দু’জনের নামে লিখিত অভিযোগও রয়েছে ৷ ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু বই, ভারতবিরোধী যুদ্ধে ইন্ধন দেওয়ার বেশ কিছু নথি, কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক, সিপিইউ, পেনড্রাইভ, একাধিক মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন সিমকার্ড উদ্ধার করেছে এসটিএফ ৷