হাওড়া, 26 ফেব্রুয়ারি: উস্কানি দিয়ে আনিশ খানের রহস্যমৃত্যুকে ভুল পথে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে । শনিবার এইরকমই অভিযোগ করল সিট । প্রয়োজনের তাদের বয়ানও রেকর্ড করা হবে । তদন্তের স্বার্থে আমতা থানার বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মচারীকে ফের ভবানী ভবনে তলব করা হচ্ছে । প্রয়োজনে তাদের বয়ান রেকর্ড করা হবে (Sit Alleges Conspiracy)।
আনিশ খানের পরিবারের অভিযোগ, এই ঘটনার পর থেকেই তাদের হুমকি দিয়ে ফোন আসছে । অথচ পুলিশ খুনের কিনারা বা ঘটনার তদন্ত কোনওটাই করতে পারেনি । ভবানীভবন সূত্রেও খবর, ইন্টারনেট কলের মাধ্যমে মৃত আনিশ খানের পরিবারের সদস্যদের কাছে ফোন আসে । এপ্রসঙ্গেই নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সি আই ডি এর এক উচ্চোপদস্থ আধিকারিক জানান যে যারা আনিশের পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়ে ফোন করেছিল তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফোন করেছিল । এই তদন্ত সময় সাপেক্ষ ব্যাপার । ভবানীভবন সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, আনিশ মৃত্যু তদন্তে সিট-এর পাশাপাশি সিআইডি সেলের গোয়েন্দারাও তদন্তে নেমেছে (Anish Khan Death Case)।
আরও পড়ুন: Anish Khan Death Case : আনিশ রহস্য-মৃত্যুতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি বিমান বসুর
এদিন আনিশ দেহ দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের জন্য তুলতে গিয়ে পুলিশকে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েতে হয়েছিল (Sfi Leader Anish Khan)। সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করেই শনিবার রাজ্য পুলিশের তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়, হাওড়ার আমতায় আনিশের দেহের হাইকোর্টের আদেশে দ্বিতীয়বার আনিশের ময়নাতদন্তের হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্বেও, তদন্তকে বিলম্বিত এবং বিপথে চালিত করার উদ্দেশ্য নিয়ে আমতা থানা এবং এসপি অফিসে প্রতিদিন হিংসাত্মক বিক্ষোভ করা হচ্ছে ।"
আনিশের পরিবারে অভিযোগ, শনিবার কাকভোরে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য আনিসের দেহ আনতে গ্রামে যায় পুলিশ । নিয়ম অনুযায়ী, পরিবারের তরফে আনিসের বাবা বা অন্য কোনও সদস্যের সেখানে উপস্থিত থাকার কথা । সেখানে ছিলেন স্থানীয় বিডিও এবং বিএমওএইচ । অভিযোগ কবর থেকে দেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া তখনও শুরু হয়নি । মাইকিং করে জানানো হয়, আনিশের দেহ তোলা হবে । তার পরেই আসে গ্রামবাসীদের বাধা ।
আরও পড়ুন: Anish Khan Death Case : ওসির নির্দেশেই গিয়েছিলেন আনিশের বাড়ি, বিস্ফোরক ধৃত দুই পুলিশ কর্মী
আনিশের আত্মীয়-প্রতিবেশী এবং গ্রামবাসীরা জমায়েত হয়ে অভিযোগ করেন, আগে আনিশের বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে পুলিশের । তারা সোমবার দেহ নিয়ে যাবার কথা জানিয়েছে । তাঁদের অভিযোগ, হল শনিবার কাকভোরে কেন পুলিশ এল? অভিযোগ কেন পুলিশ বিশাল বাহিনী নিয়ে দেহ তুলতে এল? সিটের প্রতিনিধিরাই বা কোথায়, কার নির্দেশে এই পদক্ষেপ নিল পুলিশ ।এমন কিছু প্রশ্ন তোলেন তাঁরা । এ নিয়ে রীতিমতো বিক্ষোভ শুরু করেন গ্রামবাসীরা । বিডিও-কে ঘিরে ধরে প্রশ্ন করতে থাকেন তাঁরা । ফলে বাইরে থেকে আনা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনীও । তার পরও বেশ কিছুক্ষণ সেখানে অপেক্ষা করেন পুলিশ ও সরকারি আধিকারিকরা । কিন্তু গ্রামবাসীরা এই বিষয়ে ছিলেন অনড় । অবশেষে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য দেহ না তুলেই ফিরে আসতে হয় পুলিশ ও সরকারি আধিকারিকদের ।