হাওড়া, 16 মে : কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন হাওড়ার কুন্তল কাঁড়ার । গতকাল খবর আসে তিনি হাইপোথারমিয়াতে আক্রান্ত । আজ সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।
হাইপোথারমিয়া কী ?
দেহের তাপমাত্রা এক্ষেত্রে দ্রুত কমতে থাকে । আমাদের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা 98.6 ডিগ্রি ফারেনহাইট । কিন্তু এক্ষেত্রে দেহের তাপমাত্রা 95 ডিগ্রি ফারেনহাইটের নিচে নেমে যায় । এরফলে হার্ট, স্নায়ু এবং দেহের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধ করে দেয় ।
মূলত অতিরিক্ত উচ্চতায় ঠান্ডার কারণে কুন্তল হাইপোথারমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে ।
গতকালই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কুন্তল । তাঁকে ক্যাম্প নম্বর 4 থেকে ক্যাম্প নম্বর 2-তে নামিয়ে আনা হয় । সেখান থেকে তাঁকে হেলিকপ্টারে কাঠমান্ডুতে আনার কথা ছিল । আজ সকালে একটি বেসরকারি নিউজ় চ্যানেলে প্রচারিত খবর দেখেই কুন্তলের বাবা ও প্রতিবেশীরা জানতে পারেন, তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই খবর পাওয়ার পর থেকেই ভেঙে পড়েন কুন্তলের বাবা চন্ডীচরণ কাঁড়ার । কুন্তলবাবু নিজেও একসময় ট্রেকিং করতেন । কুন্তলের মাউন্টেনিয়ারিং-এ হাতেখড়ি তাঁর হাত ধরেই ।
চণ্ডীচরণবাবু বলেন, "আমার সর্বস্ব দিয়ে কুন্তলকে আমি নিজে হাতে তৈরি করেছি । যেখানে যেতাম ওকে নিয়ে যেতাম । " চণ্ডীচরণবাবু আজ সকালে প্রতিবেশী এক যুবকের কাছ থেকে কুন্তলের মৃত্যুর খবর পান । খবর পেয়েই তিনি সংজ্ঞা হারান । পরে ওই যুবকই তাঁকে বাড়ি নিয়ে আসেন ।
এদিন খবর পেয়ে সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় চণ্ডীবাবুর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়ি যান । সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি পরিবারের পাশে থাকারও আশ্বাস দেন ।
এখন শুধু অপেক্ষা কুন্তলের নিথর দেহ বাড়ি ফেরার ।