ETV Bharat / city

কুন্তলের মৃত্যুর খবর পেয়েই জ্ঞান হারালেন বাবা

পর্বতারোহী কুন্তল কাঁড়ারের মৃত্যুতে শোকাহত পরিবার । খবর পেয়ে সংজ্ঞা হারান তাঁর বাবা চণ্ডীচরণ কাঁড়ার ।

author img

By

Published : May 16, 2019, 7:44 PM IST

Updated : May 16, 2019, 11:33 PM IST

কুন্তল কাঁড়ার (ফাইল ছবি )

হাওড়া, 16 মে : কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন হাওড়ার কুন্তল কাঁড়ার । গতকাল খবর আসে তিনি হাইপোথারমিয়াতে আক্রান্ত । আজ সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।

হাইপোথারমিয়া কী ?

দেহের তাপমাত্রা এক্ষেত্রে দ্রুত কমতে থাকে । আমাদের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা 98.6 ডিগ্রি ফারেনহাইট । কিন্তু এক্ষেত্রে দেহের তাপমাত্রা 95 ডিগ্রি ফারেনহাইটের নিচে নেমে যায় । এরফলে হার্ট, স্নায়ু এবং দেহের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধ করে দেয় ।

মূলত অতিরিক্ত উচ্চতায় ঠান্ডার কারণে কুন্তল হাইপোথারমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে ।

গতকালই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কুন্তল । তাঁকে ক্যাম্প নম্বর 4 থেকে ক্যাম্প নম্বর 2-তে নামিয়ে আনা হয় । সেখান থেকে তাঁকে হেলিকপ্টারে কাঠমান্ডুতে আনার কথা ছিল । আজ সকালে একটি বেসরকারি নিউজ় চ্যানেলে প্রচারিত খবর দেখেই কুন্তলের বাবা ও প্রতিবেশীরা জানতে পারেন, তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই খবর পাওয়ার পর থেকেই ভেঙে পড়েন কুন্তলের বাবা চন্ডীচরণ কাঁড়ার । কুন্তলবাবু নিজেও একসময় ট্রেকিং করতেন । কুন্তলের মাউন্টেনিয়ারিং-এ হাতেখড়ি তাঁর হাত ধরেই ।

চণ্ডীচরণবাবু বলেন, "আমার সর্বস্ব দিয়ে কুন্তলকে আমি নিজে হাতে তৈরি করেছি । যেখানে যেতাম ওকে নিয়ে যেতাম । " চণ্ডীচরণবাবু আজ সকালে প্রতিবেশী এক যুবকের কাছ থেকে কুন্তলের মৃত্যুর খবর পান । খবর পেয়েই তিনি সংজ্ঞা হারান । পরে ওই যুবকই তাঁকে বাড়ি নিয়ে আসেন ।

ভিডিয়োয় দেখুন

এদিন খবর পেয়ে সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় চণ্ডীবাবুর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়ি যান । সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি পরিবারের পাশে থাকারও আশ্বাস দেন ।

এখন শুধু অপেক্ষা কুন্তলের নিথর দেহ বাড়ি ফেরার ।

হাওড়া, 16 মে : কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন হাওড়ার কুন্তল কাঁড়ার । গতকাল খবর আসে তিনি হাইপোথারমিয়াতে আক্রান্ত । আজ সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।

হাইপোথারমিয়া কী ?

দেহের তাপমাত্রা এক্ষেত্রে দ্রুত কমতে থাকে । আমাদের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা 98.6 ডিগ্রি ফারেনহাইট । কিন্তু এক্ষেত্রে দেহের তাপমাত্রা 95 ডিগ্রি ফারেনহাইটের নিচে নেমে যায় । এরফলে হার্ট, স্নায়ু এবং দেহের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধ করে দেয় ।

মূলত অতিরিক্ত উচ্চতায় ঠান্ডার কারণে কুন্তল হাইপোথারমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে ।

গতকালই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কুন্তল । তাঁকে ক্যাম্প নম্বর 4 থেকে ক্যাম্প নম্বর 2-তে নামিয়ে আনা হয় । সেখান থেকে তাঁকে হেলিকপ্টারে কাঠমান্ডুতে আনার কথা ছিল । আজ সকালে একটি বেসরকারি নিউজ় চ্যানেলে প্রচারিত খবর দেখেই কুন্তলের বাবা ও প্রতিবেশীরা জানতে পারেন, তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই খবর পাওয়ার পর থেকেই ভেঙে পড়েন কুন্তলের বাবা চন্ডীচরণ কাঁড়ার । কুন্তলবাবু নিজেও একসময় ট্রেকিং করতেন । কুন্তলের মাউন্টেনিয়ারিং-এ হাতেখড়ি তাঁর হাত ধরেই ।

চণ্ডীচরণবাবু বলেন, "আমার সর্বস্ব দিয়ে কুন্তলকে আমি নিজে হাতে তৈরি করেছি । যেখানে যেতাম ওকে নিয়ে যেতাম । " চণ্ডীচরণবাবু আজ সকালে প্রতিবেশী এক যুবকের কাছ থেকে কুন্তলের মৃত্যুর খবর পান । খবর পেয়েই তিনি সংজ্ঞা হারান । পরে ওই যুবকই তাঁকে বাড়ি নিয়ে আসেন ।

ভিডিয়োয় দেখুন

এদিন খবর পেয়ে সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় চণ্ডীবাবুর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়ি যান । সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি পরিবারের পাশে থাকারও আশ্বাস দেন ।

এখন শুধু অপেক্ষা কুন্তলের নিথর দেহ বাড়ি ফেরার ।

Intro:কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন হাওড়ার পর্বতারোহী কুন্তল কড়ার। গতকাল কে খবর পাওয়া যায় হাইপওথারমিয়া অসুখে আক্রান্ত। অতিরিক্ত উচ্চতায় শরীরের তাপমাত্রা অনেক কমে গেছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী গতকালকেই কুন্তল কারার ও বিপ্লব বৈদ্য নামে ওই দুই পর্বতারোহী কে শেরপারা তিন চার নম্বর ক্যাম্পে নামিয়ে নিয়ে আসে।তাদের সেখান থেকে হেলিকপ্টার এ কাঠমান্ডু নিয়ে আসা হবে বলে জানা গিয়েছিল।
উল্লেখ্য, বেহালার বিপ্লব বৈদ্য , কুন্তল কারার সহ আরো তিনজন কাঞ্চনজঙ্ঘা সামিট করে কাল ভোরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কুন্তল কারার তা পূরণ করতে পারেনি। অসুস্থ হয়ে যায় বিপ্লব বৈদ্যও। এদের জিপিআরএস ট্র্যাকে কাল বিকেলে সাড়ে পাঁচটা থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিকে আজ হওড়ার পঞ্চান্নতলার বাড়িতে কুন্তল বৈদ্যের মৃত্যুর খবর আসে। যার পরই কার্যত শোকের ছায়া কুন্তলের বাড়িতে। Body: কুন্তল এর বাবাও ট্রেকিং করতেন। আর সেই থেকেই ট্রেকিং ও মাউন্টেনিয়ারিংয়ের প্রতি তার ভালোলাগা শুরু। বাবার হাত ধরেই সে প্রশিক্ষণ নেয়। এমনটাই জানালেন তার বাবা। কুন্তলের মৃত্যুর খবর আসার পর থেকেই তার বাড়িতে আস্তে থাকে তার বন্ধু আত্মীয় ও পাড়ার প্রতিবেশীরা। ইতিমধ্যেই সমবায় মন্ত্রী অরুপ রায় এসে দেখা করেন কুন্তলের বাবা র সাথে। সমবেদনা জানান রাজ্য সরকার তাদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। গোটা এলাকায় এখন শোকের পরিবেশ। পরিবারের লোকেরা এখন অপেক্ষা করছেন তার নিথর দেহ ফেরৎ আসার অপেক্ষা তাকে একবার শেষ দেখা দেখার জন্য।Conclusion:
Last Updated : May 16, 2019, 11:33 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.