ETV Bharat / city

পশ্চিম বর্ধমানে মিনিবাস ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা - পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মিনিবাস ধর্মঘট

জেলাজুড়ে মিনিবাস ধর্মঘটের ডাক দিল বাস মালিক সংগঠনগুলি৷ ধর্মঘটে সামিল জেলার 700টি মিনিবাস ৷ দাবি, প্রশাসন যদি মিনিবাস রুটে অটো এবং টোটো চলাচল বন্ধ না করে তাহলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে পরিষেবা ৷

মিনিবাস ধর্মঘট
author img

By

Published : Aug 26, 2019, 8:29 AM IST

Updated : Aug 26, 2019, 11:20 AM IST

দুর্গাপুর, 26 অগাস্ট : পশ্চিম বর্ধমান জেলাজুড়ে মিনিবাস ধর্মঘটের ডাক দিল বাস মালিক সংগঠনগুলি৷ যার জেরে সকাল থেকেই বিপাকে যাত্রীরা ৷ জেলার 700টি মিনিবাস ধর্মঘটে সামিল ৷

অভিযোগ, মিনিবাস রুটে দিন দিন বাড়ছে অটো এবং টোটোর সংখ্যা ৷ যাত্রীর অভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে বাস মালিকদের ৷ দীর্ঘদিন ধরে জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে মহকুমা প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি । দুর্গাপুরে বাম আমলেই পরিবেশবান্ধব CNG অটো পরিষেবা চালু হয়েছিল ৷ কিন্তু যে সমস্ত এলাকায় মিনিবাস পরিষেবা নেই সেখানেই চলত অটোগুলি ৷ তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে অটোর সংখ্যা ৷ মিনিবাস রুটেই চলতে শুরু করে অটো ৷ ফলে যাত্রী না পাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় মিনিবাস মালিকদের ৷ এক সময় আসানসোল-দুর্গাপুর এই দুই মহকুমায় প্রায় হাজার খানেক মিনিবাস চলত ৷ এখন সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে 700 ৷ এখন আবার অটোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে টোটোর সংখ্যাও ৷ ফলে মিনিবাস পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রায় 3600 পরিবহন কর্মীকে মাস মাইনে দিতে পারছেন না বাস মালিকরা ৷

দেখুন ভিডিয়ো...

মিনিবাস মালিক সংগঠনের বক্তব্য, এই পরিষেবার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন অনেক পরিবহন শ্রমিক ৷ এছাড়া অটো বা টোটোর থেকে অনেক বেশি অর্থ রাজ্য সরকারকে বিভিন্ন খাতে দেওয়া হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে । তাই প্রশাসন যদি মিনিবাস রুটে অটো এবং টোটো চলাচল বন্ধ না করে তাহলে তাদের এই পরিষেবা বন্ধ করে দিতে হবে ৷ একটি মিনিবাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক কাজল দে বলেন, "অনেক দাবিদাওয়া নিয়ে আজ তাই প্রতীকী ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে ৷"

হঠাৎ ধর্মঘটের জেরে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা । বিমল চ্যাটার্জি নামে এক যাত্রী বলেন, "হাসপাতাল যাব বলে বেরিয়েছিলাম । ফিরে যেতে হবে । আর কিছু করার নেই । অটো-টোটো প্রচুর টাকা নেবে । কী করব আর ?"

প্রশাসনের তরফে এবিষয়ে এখনও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।

দুর্গাপুর, 26 অগাস্ট : পশ্চিম বর্ধমান জেলাজুড়ে মিনিবাস ধর্মঘটের ডাক দিল বাস মালিক সংগঠনগুলি৷ যার জেরে সকাল থেকেই বিপাকে যাত্রীরা ৷ জেলার 700টি মিনিবাস ধর্মঘটে সামিল ৷

অভিযোগ, মিনিবাস রুটে দিন দিন বাড়ছে অটো এবং টোটোর সংখ্যা ৷ যাত্রীর অভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে বাস মালিকদের ৷ দীর্ঘদিন ধরে জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে মহকুমা প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি । দুর্গাপুরে বাম আমলেই পরিবেশবান্ধব CNG অটো পরিষেবা চালু হয়েছিল ৷ কিন্তু যে সমস্ত এলাকায় মিনিবাস পরিষেবা নেই সেখানেই চলত অটোগুলি ৷ তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে অটোর সংখ্যা ৷ মিনিবাস রুটেই চলতে শুরু করে অটো ৷ ফলে যাত্রী না পাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় মিনিবাস মালিকদের ৷ এক সময় আসানসোল-দুর্গাপুর এই দুই মহকুমায় প্রায় হাজার খানেক মিনিবাস চলত ৷ এখন সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে 700 ৷ এখন আবার অটোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে টোটোর সংখ্যাও ৷ ফলে মিনিবাস পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রায় 3600 পরিবহন কর্মীকে মাস মাইনে দিতে পারছেন না বাস মালিকরা ৷

দেখুন ভিডিয়ো...

মিনিবাস মালিক সংগঠনের বক্তব্য, এই পরিষেবার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন অনেক পরিবহন শ্রমিক ৷ এছাড়া অটো বা টোটোর থেকে অনেক বেশি অর্থ রাজ্য সরকারকে বিভিন্ন খাতে দেওয়া হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে । তাই প্রশাসন যদি মিনিবাস রুটে অটো এবং টোটো চলাচল বন্ধ না করে তাহলে তাদের এই পরিষেবা বন্ধ করে দিতে হবে ৷ একটি মিনিবাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক কাজল দে বলেন, "অনেক দাবিদাওয়া নিয়ে আজ তাই প্রতীকী ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে ৷"

হঠাৎ ধর্মঘটের জেরে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা । বিমল চ্যাটার্জি নামে এক যাত্রী বলেন, "হাসপাতাল যাব বলে বেরিয়েছিলাম । ফিরে যেতে হবে । আর কিছু করার নেই । অটো-টোটো প্রচুর টাকা নেবে । কী করব আর ?"

প্রশাসনের তরফে এবিষয়ে এখনও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।

Intro:মিনিবাসের রুটেই চলছে অসংখ্য অটো ও টোটো।আর তার জেরেই ক্ষতির মুখে জেলার মিনিবাস মালিকেরা।দীর্ঘদিন জেলা প্রশাসন থেকে মহকুমা প্রশাসনকে জানিয়েও মেলেনি সুরাহা।পশ্চিম বর্ধমান জেলার কোনঠাসা মিনিবাস মালিকরা তাই সপ্তাহের প্রথমদিনেই জেলাজুড়ে মিনিবাস ধর্মঘটের ডাক দিল।এর ফলে বিপাকে যাত্রীরা।জেলার প্রায় ৭০০ মিনিবাস এই ধর্মঘটে সামিল।

দুর্গাপুরে বিগত বামসরকারের সময়কালেই পরিবেশবান্ধব সি এন জি অটো পরিষেবা চালু হয়।কিন্তু সেই সময় বলা হয়েছিল যেসকল স্থানে মিনিবাস পরিষেবা নেই সেই এলাকা গুলি থেকে যাত্রীদের কে মুল রাস্তায় এনে বাস ধরিয়ে দেওয়ার কাজ করবে এই অটোগুলি।কিন্তু সেই কথা কথায় থেকে যায়। মিনিবাসের রুটেই চলতে থাকে সি এন জি অটো।মাঝে মধ্যেই এর জেরে মিনিবাসের সাথে অটোচালকদের সংঘাত হয়।দুর্গাপুরে দিনপ্রতিদিন বাড়তে থাকে অটোর সংখ্যা।আসানসোল ও দুর্গাপুর এই দুই মহকুমায় একসময় প্রায় হাজারখানেক মিনিবাস বিভিন্ন রুটে চলত।এখন মিনিবাস সঙ্কটে থাকার কারনে তা কমে ৭০০ তে দাঁড়িয়েছে।অটোর সাথে পাল্লা দিয়ে আজ বছর তিনেক আগে থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে টোটোর সংখ্যাও।এরাও মিনিবাসের রুটেই ক্রমশ আধিপত্য বিস্তার করে।এর জেরে ব্যাঙ্কের থেকে সুদের বিনিময়ে কেনা মিনিবাস মালিকরা আরো সঙ্কটে পড়েন।এর সাথে সাথে জেলায় এই ৭০০ মিনিবাসের প্রায় ৩৬০০ কর্মীকেও মাসমাইনে দিতে পারছেন না বহু মালিক বলেই অভিযোগ। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মিনিবাস মালিকরা এবার লড়াই এর জন্য মরীয়া।তাদের দাবী যে তারা একটি শিল্প যেখানে এত কর্মী কাজ করে।শুধু তাই নয় তারা অটো বা টোটো র থেকে অনেক বেশী অর্থ রাজ্য সরকারকে বিভিন্ন খাতে দেয়।তারপরেও মিনিবাসের রুটেই কেনও এই অটো আর টোটো?প্রশাসন যদি এদের কে মিনিবাসের রুটে চলাচল বন্ধ না করে তাহলে মিনিবাস পরিষেবা তাদের কে বন্ধ করে দিতে হবে।আজ তাই এই প্রতীকী ধর্মঘট এর ডাক দেওয়া হয়েছে বলেই জানান দুর্গাপুরের মিনিবাস মালিক সংগঠনগুলির মধ্যে অন্যতম একটির সম্পাদক কাজল দে।তবে শিল্পশহরে হটাৎ এই মিনিবাস বন্ধ হওয়ার কারনে প্রান্তিকা থেকে উখরা,রাণীগঞ্জ,দুর্গাপুর স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাওয়া যাত্রীরা বিপাকে পড়ে।কারন জাতীয় সড়ক ধরে দূরবর্তী স্থানে অটো চলাচল করেনা।তাই সকাল থেকেই এই সনস্ত গন্তব্যে যাতায়াতকারীরা চরম অসুবিধায় পড়েন।Body:GConclusion:H
Last Updated : Aug 26, 2019, 11:20 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.