দুর্গাপুর, 2 ডিসেম্বর: পুলিশের বিরুদ্ধে জুলুমের অভিযোগে সোমবার সকালে দুর্গাপুরের DTPS পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করল তৃণমূল কংগ্রেস । বিক্ষোভে ছিলেন দুর্গাপুর পৌরসভার 36 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ইমরান খান ও এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ । তবে তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়েই ফাঁড়ি ঘেরাও করেন তাঁরা ।
চুরির ঘটনার তদন্তে গতকাল রাতে কাঁকসা ও DTPS ফাঁড়ির পুলিশ দুষ্কৃতীদের খোঁজে ওয়ারিয়া মুঙ্গের বস্তিতে যৌথভাবে অভিযান চালায় । সাতজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ । পরে তাদের মধ্যে চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হয় । কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অপরাধীদের ধরার নামে যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল না, তাদের ঘরে ঢুকে ভাঙচুর করেছে পুলিশ । তৃণমূলের 36 নম্বর ওয়ার্ড যুব সভাপতি ইমরান খানের অভিযোগ, "এলাকার সমস্ত লোহা মাফিয়া, দুষ্কৃতীরা গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে । আর দুষ্কৃতীদের ধরার নামে DTPS ফাঁড়ির পুলিশ নিরীহদের তুলে নিয়ে গিয়ে কেস দিচ্ছে । সাধারণ মানুষদের হয়রান করছে । এটা কোনওভাবে মেনে নেওয়া যায় না । যদি পুলিশ জুলুম বন্ধ না করে তাহলে লাগাতার আন্দোলন হবে ।"
শালিনী জয়সওয়াল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগ, 24 নভেম্বর বিয়ে হয় এলাকার এক মহিলার । সদ্য বিবাহিতা ওই মহিলার স্বামীকে গতকাল রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ । এমনকি এক পড়ুয়াকেও তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি । ফাঁড়ি ঘেরাও কর্মসূচিতে ছিলেন 36 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লোকনাথ দাস ও যুগ্ম আহ্বায়ক পার্থসারথি দাঁ । এদিন DTPS ফাঁড়ির এক গাড়ির চালক ও দুই সিভিক ভলান্টিয়ারও ফাঁড়ি ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দেন । অবশেষে যারা চুরির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয় তাদের ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলে ঘেরাও তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা ।
যদিও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ACP পূর্ব আরিশ বিলাল বলেন, "আজ থানার সামনে কিছু মানুষ ক্ষোভ দেখিয়েছে । আমরা কাউকে গ্রেপ্তার করিনি । কাঁকসা থানা এলাকার একটি চুরির ঘটনার তদন্তে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছিল । এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত নয় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে । "