দুর্গাপুর, 20 সেপ্টেম্বর: বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবকে হেরিটেজ বলে ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। কোভিড আতঙ্ক কাটিয়ে বাংলার সমস্ত পুজো মণ্ডপগুলির সামনে মানুষের ঢল দেখা যাবে বলে আশাবাদী পুজো উদ্যোক্তা থেকে প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা । তাই এবারের দুর্গোৎসবকে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা বড় চ্যালেঞ্জ পুলিশ-প্রশাসনের কাছে (Durgapur Police Commissioner)।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট মোট 16টি থানা এলাকায় রেজিস্টার পুজোর সংখ্যা প্রায় 1200টি। এছাড়াও একাধিক বনেদি বাড়ির পুজো রয়েছে ৷ কম বাজেটের সার্বজনীন দুর্গাপুজো রয়েছে একাধিক । সবমিলিয়ে দুর্গাপ্রতিমার সংখ্যা প্রায় 1500টি এই পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেই । এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও আরও আঁটেসাটো করেছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ৷ এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা ইটিভি ভারতে তুলে ধরলেন আসানসোল- দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুধীর কুমার নীলকান্তম ৷
আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে এবার ‘দুয়ারে পুলিশ’
এলাকার নিরাপত্তার খাতিরে ইতিমধ্যেই এলাকায় একাধিক সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের ৷ দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা রাখার কথা আলোচনা হয়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে । মহকুমা প্রশাসক এবং পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত রকম সহায়তা করা হচ্ছে। দমকল, দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষ থেকে তৎপরতার সঙ্গে কীভাবে সার্বিক সফলভাবে এই পুজোকে অনুষ্ঠিত করা যায় তার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে ৷
পুলিশ কমিশনার জানান, বিগত বেশ কয়েক বছরের ট্র্যাক রেকর্ড দেখে জানা গিয়েছে পুজোর সময় ঝাড়খণ্ড, বিহার থেকে বেশকিছু দুষ্কৃতীরা এই রাজ্যে এসে অপরাধমূলক ক্রিয়াকলাপ চালায়। এবার সীমান্ত এলাকায় তাদেরকে রুখে দিতে নাকা চেকিং শুরু হয়ে গিয়েছে । আসানসোল ও দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুধীর কুমার নীলাকান্তম আরও জানিয়েছেন যে এই দুর্গাপুজোকে ঘিরে যাতে কোনওরকম অশান্তির পরিবেশ তৈরি না হয় তার জন্য পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থেকে পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে।