দুর্গাপুর, 6 মার্চ : সিটিসেন্টারের যত্রতত্র ব্যবহার করা ইঞ্জেকশনের সূচ ও ওষুধ, গজ, ব্যান্ডেজসহ বায়ো হ্যাজ়ার্ডস পড়ে থাকার খবর ETV ভারতে প্রথম প্রকাশিত হয় ৷ তারপরই দুর্গাপুর নগরনিগমের মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) রাখি তিওয়ারি বলেন, তিনি এর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন ৷ সেইমতো দুর্গাপুর নগরনিগমের পক্ষ থেকে আগামী বৃহস্পতিবার সিটিসেন্টার এলাকার সমস্ত নার্সিংহোম, বেসরকারি হাসপাতাল ও যেসব চিকিৎসকরা বাড়িতে প্র্যাকটিস করেন ও পলিক্লিনিক চালান তাদের লিখিতভাবে ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷
দুর্গাপুর নগরনিগমের অধীনস্থ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশেই বায়ো হ্যাজ়ার্ডাস পড়ে থাকত ৷ ব্যবহৃত ইঞ্জেকশনের সুচ, ওষুধ, গজ ও ব্যান্ডেজের মতো চিকিৎসায় ব্যবহৃত জিনিস খোলা জায়গায় পড়ে থাকত ৷ 100 দিনের কাজে যুক্ত সাফাইকর্মীরা সেসব পরিস্কার করতে গেলে প্রায়ই তাঁদের পায়ে ইঞ্জেকশনের সুচ ফুটে যেত ৷ এই নিয়ে সাফাইকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভও বাড়ছিল ৷ ETV ভারতে সেই খবর প্রকাশিত হয় ৷ খবর প্রকাশের পর দুর্গাপুর নগরনিগমের MIC রাখি তিওয়ারি বলেছিলেন, ‘‘আমরা দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব ৷’’
সেইমতো দুর্গাপুর নগরনিগমের পক্ষ থেকে আগামী সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সিটিসেন্টারের সমস্ত নার্সিংহোম, বেসরকারি হাসপাতাল ও যেসব চিকিৎসক বাড়িতে প্র্যাক্টিস করেন ও পলি ক্লিনিক চালান তাঁদের লিখিতভাবে ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ দুর্গাপুর নগরনিগমের ডেপুটি মেয়র এবং সিটিসেন্টারের অন্তর্ভুক্ত 22 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ইঞ্জেকশনের সুচ পায়ে ফুটে যাওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক ৷ তাছাড়া এইসব জিনিস কেউ নতুন করে প্যাকেজিং করে বিক্রিও করতে পারে ৷ খবরটা জানতে পেরেই আমরা ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷ বিভিন্ন কারণে বিষয়টি একটু দেরি হল ৷ আগামী বৃহস্পতিবার সবাইকে ডেকে সাবধান করা হবে ৷ তারপরও একই কাজ করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷’’