দুর্গাপুর, 11 মে : আক্রান্তের পাশাপাশি বাড়ছে কোরোনায় মৃত্যুর সংখ্যা । অবস্থা এমন যে দেহ দাহ করা নিয়েও কালোবাজারি শুরু হয়েছে । এই পরিস্থিত সামলাতে সক্রিয় হল দুর্গাপুর পৌরসভা ৷ মৃতদেহের ভিড় সামলাতে দুর্গাপুরের পুরোনো শ্মশানগুলিকে সক্রিয়া করা যায় কিনা তা নিয়ে এদিন বৈঠক হল ।
করোনা আক্রান্ত রোগীর দেহ দাহ করার জন্য দুর্গাপুরের একমাত্র ভরসা বীরভানপুর শ্মশান । যার জেরে চাপ বাড়ছে ওই শ্মশানে । এত বড় শহরে একমাত্র শ্মশান যেখানে রয়েছে বৈদ্যুতিক চুল্লি । কোভিড ছাড়া অন্য কারণে মৃতদেরও দেহ দাহ করতে এই শ্মশানে আনা হয়ে থাকে । অভিযোগ, দাহ করতে এসে তাঁরাও বিপাকে পড়ছেন ৷ মৃতদেহ জমে থাকায় দাহ করতে অনেক সময় লাগছে ৷ অভিযোগ, এই সুযোগে মৃতদেহ দাহ করা নিয়েও কালোবাজারি শুরু করেছে ৷ দাহ করতে আসা পরিবারের কাছে প্রচুর পরিমান টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠছে।
আরও পড়ুন: বাঁকুড়ায় কোভিড শ্মশানে ইলেকট্রিক চুল্লি বিকল হয়ে বিপত্তি
এই অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে দুর্গাপুর পৌরসভায় জরুরি বৈঠক হয় । বৈঠকে ছিলেন বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মেয়র পারিষদরা ৷ দুর্গাপুরের বিভিন্ন শ্মশান যেগুলি আগে ব্যবহার হত, সেই শ্মশানগুলিতে ফের দাহকাজ শুরু করা যায় কিনা, এই বিষয়ে আলোচনা হয় আজ ।
এই বিষয়ে মহকুমা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, জানান দুর্গাপুর পৌরসভার স্বাস্থ্য দফতরের মেয়র পারিষদ রাখি তিওয়ারি । অন্যদিকে এই সিদ্ধান্ত সঠিক নয় বলেই মনে করছেন পরিবেশ কর্মীরা ।
দুর্গাপুর মহকুমা ভলেন্টিয়ার ব্লাড ডোনার্স ফোরামের সম্পাদক কবি ঘোষ বলেন, "এই সিদ্ধান্ত সঠিক নয় ৷ এর বদলে শহরের অন্য কোনও জায়গায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নতুন ইলেকট্রিক চুল্লি প্রতিস্থাপন করে সেখানে দাহ করা হোক । নচেত পরিবেষ দূষণ হবে ব্যাপক হারে ৷"