ETV Bharat / city

রিপোর্ট পজ়িটিভ, প্রশাসনকে জানিয়েও বাড়িতে 'আটকে' 2

author img

By

Published : Aug 4, 2020, 4:49 AM IST

আজ সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে ফোনে জানানো হয় তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে ৷ তারপর কেটে গেছে প্রায় 12 ঘণ্টা ৷ অথচ স্বাস্থ্য বিভাগ বা জেলা প্রশাসনের তরফে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি ওই ব্যক্তির সঙ্গে ৷ এই পরিস্থিতিতে নিজেই বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে ৷ জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে ৷ কিন্তু কোনও সাহায্য মেলেনি ৷

কোরোনা আক্রান্ত
কোরোনা আক্রান্ত

দুর্গাপুর, 3 অগাস্ট : কোরোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর কেটে গেছে প্রায় 12 ঘণ্টা ৷ কিন্তু হেলদোল নেই প্রশাসনের ৷ আজ সকালে দুর্গাপুরের বছর তেষট্টি ও বছর চল্লিশের দুই ব্যক্তির কোরোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে ৷ অথচ স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে কোরোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি ৷ প্রশাসনের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেছেন কোরোনায় আক্রান্ত 2 ব্যক্তি ৷

কয়েকদিন ধরেই জ্বর শর্দি কাশিতে ভুগছিলেন দুর্গাপুরের বি-জ়োন আইনস্টাইন এভিনিউ এর বাসিন্দা বছর 40-এর ওই ব্যক্তি ৷ পেশায় মেডিকেল রিপ্রেজ়েন্টেটিভ ৷ 30 অগাস্ট তাঁর সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার হয় দুর্গাপুরের সনকা হাসপাতালে ৷ আজ সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে ফোনে জানানো হয় তার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে ৷ তারপর কেটে গেছে প্রায় 12 ঘণ্টা ৷ অথচ স্বাস্থ্য বিভাগ বা জেলা প্রশাসনের তরফে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি ওই ব্যক্তির সঙ্গে ৷ এই পরিস্থিতিতে নিজেই বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে ৷ জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে ৷ কিন্তু কোনও সাহায্য মেলেনি ৷ কোরোনায় আক্রান্ত ওই ব্যক্তি ফোনে জানান, "আমার স্ত্রী ক্রমাগত জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে ৷ আমি নিজেই খুব চিন্তায় আছি ৷ বাড়িতে আমাকে নিয়ে সাতজন সদস্য ৷ শারীরিকভাবেও কষ্ট হচ্ছে ৷ আজ নিয়ে প্রায় পাঁচ থেকে সাত দিন ধরে শারীরিক অসুস্থতা ভোগ করছি ৷ বাড়ির বাইরেও বেরোতে পারছি না ৷ আমার 11 মাসের ছেলে আছে ৷ কী করি বলুন ৷ এই পরিস্থিতিতে কার সাহায্য নেব বলুন ৷"

অপর ঘটনাটি দুর্গাপুরের হর্ষবর্ধণের DVC কলোনির ৷ কোরোনায় আক্রান্ত ওই ব্যক্তির বয়স 63 বছর ৷ 25 অগাস্ট থেকে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় ওই ব্যক্তির ৷ তারপরই 30 অগাস্ট নিজের সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা করান ৷ আজ সকালে তাঁরও কোরোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে ৷ আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ব্যক্তিকেও ভরতি করা হয়নি কোরোনা হাসপাতালে ৷ এরপর থেকেই প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ৷

প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুর্গাপুরের ফরিদপুরে 67 বছরেরে এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর বাড়িতেই দেহ পড়েছিল 12 ঘণ্টা ৷ এলাকাবাসীদের অনুমান করেন ওই বৃদ্ধ কোরোনায় আক্রান্ত ৷ সেই আতঙ্কে বাড়িতেই প্রায় 12 ঘণ্টা পড়ে থাকে দেহ ৷ প্রশাসনের কর্তারা ঘটনাস্থানে গেলে এলাকাবাসীরা জানায় আগে ওই বৃদ্ধার কোরোনা রিপোর্ট আসবে তারপরই দেহ বাড়ির বাইরে নিয়ে যেতে পারবে প্রশাসন ৷ এরপরই জেলাশাসকের তৎপরতায় সন্ধ্যার মধ্যে ওই বৃদ্ধের কোরোনা রিপোর্ট হাতে পায় পরিবার ৷ রিপোর্টে জানা যায় কোরোনা পজ়িটিভ ছিলেন ওই বৃদ্ধ ৷ রাতে পরিবারের বাকি সদস্যদের রিপোর্ট আসে ৷ সেখানে দেখা যায় পরিবারে প্রত্যেকেই কোরোনা পজ়িটিভ ৷ বাদ যায়নি ছয় বছরের শিশুও ৷ এই ঘটনার দুই দিন কাটতে না কাটতেই সামনে এল এই ঘটনা ৷ এরপরই প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের ভূমিকা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন ৷

দুর্গাপুর, 3 অগাস্ট : কোরোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর কেটে গেছে প্রায় 12 ঘণ্টা ৷ কিন্তু হেলদোল নেই প্রশাসনের ৷ আজ সকালে দুর্গাপুরের বছর তেষট্টি ও বছর চল্লিশের দুই ব্যক্তির কোরোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে ৷ অথচ স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে কোরোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি ৷ প্রশাসনের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেছেন কোরোনায় আক্রান্ত 2 ব্যক্তি ৷

কয়েকদিন ধরেই জ্বর শর্দি কাশিতে ভুগছিলেন দুর্গাপুরের বি-জ়োন আইনস্টাইন এভিনিউ এর বাসিন্দা বছর 40-এর ওই ব্যক্তি ৷ পেশায় মেডিকেল রিপ্রেজ়েন্টেটিভ ৷ 30 অগাস্ট তাঁর সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার হয় দুর্গাপুরের সনকা হাসপাতালে ৷ আজ সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে ফোনে জানানো হয় তার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে ৷ তারপর কেটে গেছে প্রায় 12 ঘণ্টা ৷ অথচ স্বাস্থ্য বিভাগ বা জেলা প্রশাসনের তরফে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি ওই ব্যক্তির সঙ্গে ৷ এই পরিস্থিতিতে নিজেই বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে ৷ জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে ৷ কিন্তু কোনও সাহায্য মেলেনি ৷ কোরোনায় আক্রান্ত ওই ব্যক্তি ফোনে জানান, "আমার স্ত্রী ক্রমাগত জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে ৷ আমি নিজেই খুব চিন্তায় আছি ৷ বাড়িতে আমাকে নিয়ে সাতজন সদস্য ৷ শারীরিকভাবেও কষ্ট হচ্ছে ৷ আজ নিয়ে প্রায় পাঁচ থেকে সাত দিন ধরে শারীরিক অসুস্থতা ভোগ করছি ৷ বাড়ির বাইরেও বেরোতে পারছি না ৷ আমার 11 মাসের ছেলে আছে ৷ কী করি বলুন ৷ এই পরিস্থিতিতে কার সাহায্য নেব বলুন ৷"

অপর ঘটনাটি দুর্গাপুরের হর্ষবর্ধণের DVC কলোনির ৷ কোরোনায় আক্রান্ত ওই ব্যক্তির বয়স 63 বছর ৷ 25 অগাস্ট থেকে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় ওই ব্যক্তির ৷ তারপরই 30 অগাস্ট নিজের সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা করান ৷ আজ সকালে তাঁরও কোরোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে ৷ আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ব্যক্তিকেও ভরতি করা হয়নি কোরোনা হাসপাতালে ৷ এরপর থেকেই প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ৷

প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুর্গাপুরের ফরিদপুরে 67 বছরেরে এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর বাড়িতেই দেহ পড়েছিল 12 ঘণ্টা ৷ এলাকাবাসীদের অনুমান করেন ওই বৃদ্ধ কোরোনায় আক্রান্ত ৷ সেই আতঙ্কে বাড়িতেই প্রায় 12 ঘণ্টা পড়ে থাকে দেহ ৷ প্রশাসনের কর্তারা ঘটনাস্থানে গেলে এলাকাবাসীরা জানায় আগে ওই বৃদ্ধার কোরোনা রিপোর্ট আসবে তারপরই দেহ বাড়ির বাইরে নিয়ে যেতে পারবে প্রশাসন ৷ এরপরই জেলাশাসকের তৎপরতায় সন্ধ্যার মধ্যে ওই বৃদ্ধের কোরোনা রিপোর্ট হাতে পায় পরিবার ৷ রিপোর্টে জানা যায় কোরোনা পজ়িটিভ ছিলেন ওই বৃদ্ধ ৷ রাতে পরিবারের বাকি সদস্যদের রিপোর্ট আসে ৷ সেখানে দেখা যায় পরিবারে প্রত্যেকেই কোরোনা পজ়িটিভ ৷ বাদ যায়নি ছয় বছরের শিশুও ৷ এই ঘটনার দুই দিন কাটতে না কাটতেই সামনে এল এই ঘটনা ৷ এরপরই প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের ভূমিকা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.