বর্ধমান, 18 অগস্ট: বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জনগেটে বসানো হবে রাজা ও রানীর মূর্তি। আর এই দু’টি মূর্তি বসানোকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক । শহরবাসীর দাবি কার্জনগেটের সামনে যদি মূর্তি বসানো হয় তাহলে ঐতিহ্যবাহী কার্জনগেটের তোরণের নকশা ঢাকা পড়ে যাবে (Controversy in Bardhaman Curzon Gate)। সেদিকে নজর না দিয়েই শুরু হয়েছে মূর্তি বসানোর যাবতীয় প্রস্তুতি । তা থেকেই বিতর্কের শুরু ৷
বর্ধমান স্টেশন থেকে জিটি রোড ধরে দক্ষিণ দিক বরাবর প্রায় দেড় কিলোমিটার গেলে ডানদিকে মিলবে কার্জনগেট । 1904 সালে বড়লাট লর্ড কার্জন (Lord Curzon) বর্ধমান রাজবাড়িতে এসেছিলেন । তাঁকে স্বাগত জানাতেই তৎকালীন বর্ধমানের মহারাজা বিজয়চাঁদ মহাতাব 1902-03 সালে এই গেট নির্মাণ করেছিলেন। লর্ড কার্জনের নামকরণ অনুসারে এই গেটের নাম রাখা হয়েছে কার্জন গেট ৷ কার্জনগেটের ভেতর দিয়ে প্রায় কিলোমিটার দুয়েক গেলেই মিলবে রাজবাড়ি। এই গেটে তৎকালীন প্রাচীন স্থাপত্যের নকশা চোখে পড়বে এখনও ৷ যা সেই সময়ের স্থাপত্যের নিদর্শন ৷ কিন্তু রাজা-রানির মূর্তি বসলে সুসজ্জিত ঐতিহ্যবাহী নকশা ঢাকে যাবে ৷ যা নিয়ে বর্ধমান শহরবাসীর মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: একজন ছাত্রীর জন্য বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কে ফের পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
জানা গিয়েছে, বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক খোকন দাসের উদ্যোগেই বসানো হচ্ছে এই মূর্তি । কার্জনগেটের দু’টি তোরণের সামনে বসানো হবে মূর্তি দু‘টি। মহারাজা বিজয়চাঁদের মূর্তির উচ্চতা হবে প্রায় সাড়ে 6 ফুট। মহারানী রাধারানী দেবীর মূর্তির উচ্চতা রাখা হয়েছে প্রায় 6 ফুট 3 ইঞ্চি । মূর্তি দু‘টি কার্জনগেটের তোরণের দুই পাশে বসানো হবে। যার ফলে তোরণের নকশা ঢাকা পড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করে আপত্তি তুলেছেন শহরের বাসিন্দারা ৷ বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাস অবশ্য দাবি করেন, ইতিহাসকে স্মরণ করতেই রাজা ও রানীর মূর্তি বসানো হবে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে অহেতুক জলঘোলা হচ্ছে।