বর্ধমান, 23 সেপ্টেম্বর : শ্মশানের কাছে জঙ্গল থেকে লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে নিয়ে পালানোর অভিযোগ । ঘটনাটি ঘটেছে ভাতারের মাহাতা অঞ্চলের বাঘমারা গ্রামে । রবিবার আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষরা এনিয়ে সালিশি সভা বসায় । দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা । ঝামেলার আশঙ্কায় মোতায়েন রাখা হয় পুলিশবাহিনী ।
জানা গেছে, মাহাতা অঞ্চলের বাঘমারা ও কাঁঠালডাঙ্গা গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় রয়েছে একটি শ্মশান । আশপাশের 10-12টি গ্রামের মানুষ শ্মশানে মৃতদেহ সৎকার করতে যান । ওড়গ্রাম জঙ্গলমহল লাগোয়া ওই শ্মশানের পাশে বেশ কিছু পুরোনো গাছ ছিল । পরবর্তী কালে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে কিছু গাছ লাগানো হয় । দিন দশেক আগে থেকে আমডাঙ্গা গ্রামের এক ব্যবসায়ী ওই গাছগুলি কাটতে শুরু করেন । এই দেখে শ্মশান সংলগ্ন এলাকার আদিবাসী লোকজন বাধা দেন । তাঁরা ব্যবসায়ীর থেকে গাছকাটার অনুমতি পত্র দেখতে চান । এর জেরে পর দিন গাছ কাটা বন্ধ রাখা হয় ।
গ্রামবাসীরা বিষয়টি মাহাতা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান নিখিল মাঝিকে জানান । স্থানীয় বাসিন্দা সুকুল হেমব্রম,আপেল মাড্ডিদের কথায়, ''গাছ কাটা বন্ধ করে দেওয়ার পর আমরা রেশন কার্ড সংশোধন ও খাদ্য সাথি কার্ড সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত ছিলাম । সেই সুযোগে সমস্ত কাছ কেটে নিয়ে পালিয়ে যায় ব্যবসায়ী । গাছগুলির মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা হবে বলে আমাদের অনুমান ।''
বাঘমারা সংলগ্ন 10-12টি গ্রাম মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত । ওই সমস্ত গ্রামের মোড়লরা ঘটনাস্থলেই সালিশি সভা বসান । সালিশি সভায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকেও ডাকা হয়েছিল । কিন্তু তিনি আসেননি । শেষ পর্যন্ত বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানোর বিষয়ে সালিশি সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । স্থানীয়দের অভিযোগ,পঞ্চায়েত থেকেই গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল । যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নিখিল মাঝি ।