ETV Bharat / city

Kali Pujo 2021 : সোনা-রুপোর সমস্ত অলঙ্কার-সহ বিসর্জন দেওয়া হয় ঋষিপুরের ডাকাত কালীকে

স্থানীয়দের দাবি, প্রায় 600 বছর ধরে পুজো হয়ে আসছে মুর্শিদাবাদের ঋষিপুরের ডাকাত কালী ৷ এখানে সোনা-রুপোর সমস্ত গয়না-সহ বিসর্জন করা হয় প্রতিমা ৷ পাশাপাশি স্থানীয় মুসলিম বাড়ি থেকে আখের গুড় এনে হয় পুজো ৷

Kali Pujo 2021
কালীপুজো 2021
author img

By

Published : Nov 4, 2021, 2:51 PM IST

ইসলামপুর, 4 নভেম্বর : সোনা-রুপোর সমস্ত অলঙ্কার সমেতই বিসর্জন দেওয়া হয় ঋষিপুরের ডাকাত কালীকে ৷ প্রাচীনত্বের সঠিক হিসাব বা কালীর পরিচয় ঋষিপুরের প্রবীণরাও দিতে পারেননি । কারও মতে, ডাকাত কালী নামে পরিচিত এই পুজো 600 বছরের প্রাচীন ৷ আরও এক বৈশিষ্ট্য হল, গ্রামের মুসলিম বাড়ি থেকে গুড় এনে পুজোয় ব্যবহার করা হয় ৷

শোনা যায়, সেসময় ঘন জঙ্গলে ঘেরা জায়গায় ডাকাতরা কালী সাধনা করেই ডাকাতি করতে বের হত । আবার অনেকের মতে, মন্দিরের সামনের বিশাল বিলে জেলোরা মাছ ধরতে নামার আগে কালী সাধনা করতেন । রাতেই মূর্তি তৈরি করে রাতেই বিসর্জন দেওয়া হত বিলের জলে । সকালে গ্রামবাসীরা প্রাচীন বট গাছের নীচে ফুল, বেলপাতা, সিঁদুর পড়ে থাকতে দেখেছেন । কিন্তু মূর্তি কেউ দেখতে পাননি । তাই অনেকের মতে, এটা ডাকাত কালী আবার কারও কারও মতে বিল কালী । নাম যাই হোক না কেন, আজও কোনও আড়ম্বর, শোভাযাত্রা ছাড়াই নিশুতি রাতে বিলের জলে বিসর্জন দেওয়া হয় ঋষিপুরের কালী । শুধু তাই নয়, এখানে পুজো হয় স্থানীয় এক মুসলিম পরিবার থেকে আসা আখের গুড় দিয়ে ৷ একবার মুসলিম সম্প্রদায়ের এক আখের গুড় বিক্রেতা মন্দিরের কাছে বটতলায় বিশ্রাম নেওয়ার সময় বড়মার স্বপ্নাদেশ পান ৷ বড়মা গুড় খেতে চান তাঁর কাছে । তারপর থেকে আজও সেই মুসলিম পরিবার থেকে আখের গুড় আসে পুজোয় ।

এখানে কালী বড়মা নামে পরিচিত ৷ এই বড়মার গায়ের সমস্ত গয়না, তা সে সোনারই হোক বা রুপোর, বিসর্জন দেওয়ার প্রথা আজও চলে আসছে । স্থানীয়দের দাবি, প্রতিমা বিসর্জনের পর বিলের জলে নেমেও কেউ কোনদিন কোনও গয়না তুলে আনতে পারেনি । অতি জাগ্রত এই কালীর মাহাত্ম্য এখন দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে । পুজোর রাতে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, চণ্ডীগড় থেকেও ভক্তরা আসেন মানসিক নিয়ে ।

এবার একটি বেদিতে পুজো হচ্ছে বড়মা-সহ চব্বিশটি প্রতিমার । প্রত্যেক প্রতিমার জন্য বাঁধা রয়েছেন আলাদা পুরোহিত । বড়মার পুজো করবেন যিনি, তাঁকে অনুকরণ করেই বাকিরা পুজো করবেন । এই বড়মার পুজো হয় গ্রামে চাঁদা তুলে ৷ বাকি প্রতিমাগুলি মানসিকের । একবছর সর্বোচ্চ তেত্রিশটি প্রতিমার পুজো হয়েছিল এক বেদিতে । পুজোর পরদিন নিশুতি রাতে প্রতিমার বিসর্জন হয় কোনও আড়ম্বর, শোভাযাত্রা ছাড়াই । গ্রামবাসীর দাবি, প্রত্যেক বছর বড়মার গায়ে ওঠে মানসিকের ভরি ভরি মূল্যবান গয়না ৷ কারও মানসিক সোনার জিহ্বা, কারও হাত, কারও খড়্গ, কেউ বা মানসিক করেন সোনার চেন বা আস্ত সোনার কালী মূর্তি ।

মুর্শিদাবাদের ঋষিপুরের ডাকাত কালী বিসর্জন দেওয়া হয় সমস্ত গয়না সমেত

গ্রামবাসীর আরও দাবি, একবছর কালীর অলঙ্কার পুরোহিত খুলতে গেলে মূর্তিতে আগুন ধরে যায় । তারপর থেকে আর কেউ অলঙ্কার খোলার সাহস দেখায়নি । পুজোর কোনও উপকরণ পুরোহিত বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন না । পুজোর রাতে দেশ-বিদেশের লোক ভিড় করে ঋষিপুরে । তাঁদের থাকার ব্যবস্থাও পুজো কমিটির পক্ষ থেকে করে দেওয়া হয়েছে । হিন্দু-মুসলিম সব দম্প্রদায়ের মানুষ ঋষিপুরের এই কালীপুজোয় অংশ নেন ৷

আরও পড়ুন : Srabanti Chatterjee: রায়গঞ্জে কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে আপ্লুত শ্রাবন্তী

ইসলামপুর, 4 নভেম্বর : সোনা-রুপোর সমস্ত অলঙ্কার সমেতই বিসর্জন দেওয়া হয় ঋষিপুরের ডাকাত কালীকে ৷ প্রাচীনত্বের সঠিক হিসাব বা কালীর পরিচয় ঋষিপুরের প্রবীণরাও দিতে পারেননি । কারও মতে, ডাকাত কালী নামে পরিচিত এই পুজো 600 বছরের প্রাচীন ৷ আরও এক বৈশিষ্ট্য হল, গ্রামের মুসলিম বাড়ি থেকে গুড় এনে পুজোয় ব্যবহার করা হয় ৷

শোনা যায়, সেসময় ঘন জঙ্গলে ঘেরা জায়গায় ডাকাতরা কালী সাধনা করেই ডাকাতি করতে বের হত । আবার অনেকের মতে, মন্দিরের সামনের বিশাল বিলে জেলোরা মাছ ধরতে নামার আগে কালী সাধনা করতেন । রাতেই মূর্তি তৈরি করে রাতেই বিসর্জন দেওয়া হত বিলের জলে । সকালে গ্রামবাসীরা প্রাচীন বট গাছের নীচে ফুল, বেলপাতা, সিঁদুর পড়ে থাকতে দেখেছেন । কিন্তু মূর্তি কেউ দেখতে পাননি । তাই অনেকের মতে, এটা ডাকাত কালী আবার কারও কারও মতে বিল কালী । নাম যাই হোক না কেন, আজও কোনও আড়ম্বর, শোভাযাত্রা ছাড়াই নিশুতি রাতে বিলের জলে বিসর্জন দেওয়া হয় ঋষিপুরের কালী । শুধু তাই নয়, এখানে পুজো হয় স্থানীয় এক মুসলিম পরিবার থেকে আসা আখের গুড় দিয়ে ৷ একবার মুসলিম সম্প্রদায়ের এক আখের গুড় বিক্রেতা মন্দিরের কাছে বটতলায় বিশ্রাম নেওয়ার সময় বড়মার স্বপ্নাদেশ পান ৷ বড়মা গুড় খেতে চান তাঁর কাছে । তারপর থেকে আজও সেই মুসলিম পরিবার থেকে আখের গুড় আসে পুজোয় ।

এখানে কালী বড়মা নামে পরিচিত ৷ এই বড়মার গায়ের সমস্ত গয়না, তা সে সোনারই হোক বা রুপোর, বিসর্জন দেওয়ার প্রথা আজও চলে আসছে । স্থানীয়দের দাবি, প্রতিমা বিসর্জনের পর বিলের জলে নেমেও কেউ কোনদিন কোনও গয়না তুলে আনতে পারেনি । অতি জাগ্রত এই কালীর মাহাত্ম্য এখন দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে । পুজোর রাতে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, চণ্ডীগড় থেকেও ভক্তরা আসেন মানসিক নিয়ে ।

এবার একটি বেদিতে পুজো হচ্ছে বড়মা-সহ চব্বিশটি প্রতিমার । প্রত্যেক প্রতিমার জন্য বাঁধা রয়েছেন আলাদা পুরোহিত । বড়মার পুজো করবেন যিনি, তাঁকে অনুকরণ করেই বাকিরা পুজো করবেন । এই বড়মার পুজো হয় গ্রামে চাঁদা তুলে ৷ বাকি প্রতিমাগুলি মানসিকের । একবছর সর্বোচ্চ তেত্রিশটি প্রতিমার পুজো হয়েছিল এক বেদিতে । পুজোর পরদিন নিশুতি রাতে প্রতিমার বিসর্জন হয় কোনও আড়ম্বর, শোভাযাত্রা ছাড়াই । গ্রামবাসীর দাবি, প্রত্যেক বছর বড়মার গায়ে ওঠে মানসিকের ভরি ভরি মূল্যবান গয়না ৷ কারও মানসিক সোনার জিহ্বা, কারও হাত, কারও খড়্গ, কেউ বা মানসিক করেন সোনার চেন বা আস্ত সোনার কালী মূর্তি ।

মুর্শিদাবাদের ঋষিপুরের ডাকাত কালী বিসর্জন দেওয়া হয় সমস্ত গয়না সমেত

গ্রামবাসীর আরও দাবি, একবছর কালীর অলঙ্কার পুরোহিত খুলতে গেলে মূর্তিতে আগুন ধরে যায় । তারপর থেকে আর কেউ অলঙ্কার খোলার সাহস দেখায়নি । পুজোর কোনও উপকরণ পুরোহিত বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন না । পুজোর রাতে দেশ-বিদেশের লোক ভিড় করে ঋষিপুরে । তাঁদের থাকার ব্যবস্থাও পুজো কমিটির পক্ষ থেকে করে দেওয়া হয়েছে । হিন্দু-মুসলিম সব দম্প্রদায়ের মানুষ ঋষিপুরের এই কালীপুজোয় অংশ নেন ৷

আরও পড়ুন : Srabanti Chatterjee: রায়গঞ্জে কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে আপ্লুত শ্রাবন্তী

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.