আসানসোল, 5 অক্টোবর : যা বেতন পান তাতে সংসার চলে না । বারবার স্বাস্থ্য দপ্তরে বেতন বাড়ানোর অনুরোধ করেও ফল হয়নি । বাধ্য হয়ে এবার জেলাশাসকের কাছে চিঠি দিয়ে আত্মহত্যার অনুমতি চাইলেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীরা । ঠিকাদারের অধীনে কাজ করা হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়, সুইপার ও নিরাপত্তারক্ষীরা জেলাশাসককে এই চিঠি দিয়েছেন ।
আসানসোল জেলা হাসপাতাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হওয়ার পরেই এজেন্সি মারফত অস্থায়ী কর্মীদের নিযুক্ত করা হয়েছিল । যাঁদের মধ্যে রয়েছেন ওয়ার্ড অ্যাটেনডেন্ট, সাফাই কর্মী, নিরাপত্তারক্ষীসহ বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত আরও কিছু কর্মী । সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এমন 140 জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন । কর্মীরা জানিয়েছেন, তাঁরা দিনরাত এক করে কাজ করলেও স্বল্প বেতনে কাজ করতে হচ্ছে । কোভিড পরিস্থিতিতে জীবন হাতে নিয়ে কাজ করছেন । এমনকী রাতের শিফটে কাজ করার পর ফের সকালে শিফট দেওয়া হচ্ছে তাঁদের । কখনও কখনও বেশি সময় কাজ করতে হচ্ছে । যদিও তার জন্য অতিরিক্ত অর্থ পান না । যদিও এই বিষয়ে কর্মীরা অভিযোগ জনাননি ৷ বরং মাসিক বেতন বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন বারবার । বর্তমানে মাসে 7 হাজার 44 টাকা বেতন পান অস্থায়ী কর্মীরা । এই অবস্থায় জেলাশাসককে চিঠি লিখে এই কর্মীরা আর্জি জানিয়েছেন, "হয় অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বাড়ানো হোক, নচেত তাঁদের আত্মহত্যার অনুমতি দেওয়া হোক " ।
আসানসোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের এক অস্থায়ী কর্মী উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে । আর পারছি না । তাই আমরা আত্মহত্যার অনুমতি চেয়েছি ।"
বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মন্তব্য করতে রাজি হয়নি । তাঁদের বক্তব্য, স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে এজেন্সি মারফত এই কর্মীরা চাকরি পেয়েছিলেন । অতএব, এই ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যদপ্তরই ব্যবস্থা নেবে ৷