ETV Bharat / city

Photography Exhibition : আদিবাসী মেয়েদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনে তোলা ছবির প্রদর্শনী - Photography Exhibition

সরকারের দেওয়া অ্যানড্রয়েড ফোনে শখে ছবি তুলতেন আসানসোলের পূর্ণিমা, আরশি, ললিতার মত আদিবাসী মেয়েরা ৷ এর পর আসানসোলের পেশাদার ফটোগ্রাফার শৈলেন সরকারের তত্ত্বাবধানে তাঁরা ফটোগ্রাফি শেখেন ৷ আজ তাঁদের মোবাইলে তোলা ছবিই জায়গা করে নিয়েছে প্রদর্শনীতে (Photography Exhibition Which was Captured by Tribal Girls of Asansol) ৷

Photography Exhibition Which was Captured by Tribal Girls of Asansol
Photography Exhibition Which was Captured by Tribal Girls of Asansol
author img

By

Published : May 4, 2022, 6:22 PM IST

আসানসোল, 4 মে : অ্যান্ড্রয়েড ফোন তো দূরের কথা ৷ আজ থেকে পাঁচ-ছ’বছর আগে তাঁদের কারও হাতে সাধারণ মোবাইলটাও ছিল না ৷ তবু মনের মধ্যে সুপ্ত ইচ্ছে ছিল ছবি তোলার ৷ লকডাউনের পর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল দেওয়া হয়েছিল অনলাইন পড়াশোনার জন্য ৷ আর সেই ফোনেই শখের ছবি তোলা শুরু করেছিলেন আসানসোলের হিরাপুর হারামডি গ্রামের বেশ কয়েকজন আদিবাসী যুবতী ৷ সেই শখই আজ তাঁদের কিছুটা হলেও পেশাদার ফটোগ্রাফার তৈরি করেছে ৷ ছবি তোলা শিখে রীতিমতো প্রদর্শনীতে তাঁদের ছবি জায়গা করে নিয়েছে (Photography Exhibition Which was Captured by Tribal Girls of Asansol) ৷

সম্প্রতি আসানসোল রবীন্দ্রভবনে একটি চিত্র প্রদর্শনীতে শহরের বিশিষ্ট ফটোগ্রাফারের ছবির সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে আদিবাসী যুবতীদের মোবাইলে তোলা ছবিও ৷ একদিকে গ্রামের নিকোনো ঘর, অন্যদিকে ধান চাষের জমি ৷ গ্রামে এখন পাকা রাস্তা হলেও খড় বোঝাই গরুর গাড়ি চোখে পড়বেই ৷ পাশাপাশি প্রাকৃতিক দৃশ্যে এখনও পর্যন্ত বাংলার গ্রাম সুন্দর ৷ আর এমন প্রকৃতির মাঝে থাকতে থাকতে হিরাপুরের হারামডি গ্রামের আদিবাসী যুবতীরা ভেবেছিলেন এই প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি যদি তুলে রাখা যায় ৷

কিন্তু, বছর দু’য়েক আগেও সেই উপায় ছিল না ৷ কারণ ক্যামেরা দূরের কথা, কারও হাতে মোবাইল ফোনই ছিল না ৷ পরবর্তীকালে সরকারি উদ্যোগে কিংবা পরিবার থেকে অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনে দেওয়ায় সেই শখ পূরণ হতে শুরু করে ৷ কিন্তু, ছবি তুললেও অন্যের ছবির পাশে নিজেদের তোলা ছবিকে ফিকে মনে হত ৷ তখনই তাঁরা ঠিক করেন ছবি তোলা শিখবেন ৷

আদিবাসী মেয়েদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনে তোলা ছবির প্রদর্শনী

ছোট থেকেই তাঁরা দেখতেন, তাঁদের গ্রামে বিভিন্ন উৎসবে ছবি তুলতে আসেন আসানসোলের ফটোগ্রাফার শৈলেন সরকার ৷ কয়েক মাস আগে একদিন শৈলেন সরকারকে হাতের সামনে পেয়ে আদিবাসী যুবতীরা ছবি তোলা শেখানোর আবদার করে বসেন ৷ বিষয়টিতে বেশ উৎসাহিত হয়ে যান শৈলেনবাবু নিজেও ৷ কিন্তু, ছবি তোলা শেখাতে গিয়ে তাঁদের ছবির টেকনিক্যালিটি জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা দেখে চমকে যান শৈলেন সরকার ৷

আরও পড়ুন : Wall Art in Purulia School : স্কুলের বারান্দায় আস্ত ট্রেন ! শিল্পীর রং তুলিতে সেজে উঠল পুরুলিয়ার স্কুল

সম্প্রতি আসানসোল রবীন্দ্রভবনে শৈলেন সরকারের একক চিত্র প্রদর্শনী ছিল ৷ আর সেই প্রদর্শনীতেই ছাত্রীদের ছবি প্রদর্শনের জন্য বিশেষ জায়গা ক'রে দেন তিনি ৷ আর আদিবাসী যুবতীদের মোবাইলে তোলা সেই ছবির প্রশংসা সবার মুখে ৷ প্রদর্শনী দেখতে এসেছিলেন বিধায়ক তথা এডিডিএ চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি জানান, পিছিয়ে পড়া পরিবারের মেয়েরা এরকম ছবি তুলছে ৷ এটা সমাজের কাছে বিরাট একটা উদাহরণ ৷

ফোটোগ্রাফার শৈলেন সরকার জানান, ‘‘ওদের সেই ছোট থেকে দেখছি ৷ যখন থেকে ওদের গ্রামে বিভিন্ন উৎসবে ছবি তুলতে যেতাম ৷ ওদের আগ্রহ আমাকে উৎসাহিত করেছে ছবি তোলা শেখাতে ৷’’ তবে, এখানেই থেমে থাকতে রাজি নন তাঁরা ৷ আগামিদিনে ক্যামেরা কিনে পুরোদস্তুর ফটোগ্রাফার হয়ে ওঠাই লক্ষ্য পূর্ণিমা, আরশি, ললিতার মত আদিবাসী মেয়েরা ৷

আসানসোল, 4 মে : অ্যান্ড্রয়েড ফোন তো দূরের কথা ৷ আজ থেকে পাঁচ-ছ’বছর আগে তাঁদের কারও হাতে সাধারণ মোবাইলটাও ছিল না ৷ তবু মনের মধ্যে সুপ্ত ইচ্ছে ছিল ছবি তোলার ৷ লকডাউনের পর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল দেওয়া হয়েছিল অনলাইন পড়াশোনার জন্য ৷ আর সেই ফোনেই শখের ছবি তোলা শুরু করেছিলেন আসানসোলের হিরাপুর হারামডি গ্রামের বেশ কয়েকজন আদিবাসী যুবতী ৷ সেই শখই আজ তাঁদের কিছুটা হলেও পেশাদার ফটোগ্রাফার তৈরি করেছে ৷ ছবি তোলা শিখে রীতিমতো প্রদর্শনীতে তাঁদের ছবি জায়গা করে নিয়েছে (Photography Exhibition Which was Captured by Tribal Girls of Asansol) ৷

সম্প্রতি আসানসোল রবীন্দ্রভবনে একটি চিত্র প্রদর্শনীতে শহরের বিশিষ্ট ফটোগ্রাফারের ছবির সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে আদিবাসী যুবতীদের মোবাইলে তোলা ছবিও ৷ একদিকে গ্রামের নিকোনো ঘর, অন্যদিকে ধান চাষের জমি ৷ গ্রামে এখন পাকা রাস্তা হলেও খড় বোঝাই গরুর গাড়ি চোখে পড়বেই ৷ পাশাপাশি প্রাকৃতিক দৃশ্যে এখনও পর্যন্ত বাংলার গ্রাম সুন্দর ৷ আর এমন প্রকৃতির মাঝে থাকতে থাকতে হিরাপুরের হারামডি গ্রামের আদিবাসী যুবতীরা ভেবেছিলেন এই প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি যদি তুলে রাখা যায় ৷

কিন্তু, বছর দু’য়েক আগেও সেই উপায় ছিল না ৷ কারণ ক্যামেরা দূরের কথা, কারও হাতে মোবাইল ফোনই ছিল না ৷ পরবর্তীকালে সরকারি উদ্যোগে কিংবা পরিবার থেকে অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনে দেওয়ায় সেই শখ পূরণ হতে শুরু করে ৷ কিন্তু, ছবি তুললেও অন্যের ছবির পাশে নিজেদের তোলা ছবিকে ফিকে মনে হত ৷ তখনই তাঁরা ঠিক করেন ছবি তোলা শিখবেন ৷

আদিবাসী মেয়েদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনে তোলা ছবির প্রদর্শনী

ছোট থেকেই তাঁরা দেখতেন, তাঁদের গ্রামে বিভিন্ন উৎসবে ছবি তুলতে আসেন আসানসোলের ফটোগ্রাফার শৈলেন সরকার ৷ কয়েক মাস আগে একদিন শৈলেন সরকারকে হাতের সামনে পেয়ে আদিবাসী যুবতীরা ছবি তোলা শেখানোর আবদার করে বসেন ৷ বিষয়টিতে বেশ উৎসাহিত হয়ে যান শৈলেনবাবু নিজেও ৷ কিন্তু, ছবি তোলা শেখাতে গিয়ে তাঁদের ছবির টেকনিক্যালিটি জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা দেখে চমকে যান শৈলেন সরকার ৷

আরও পড়ুন : Wall Art in Purulia School : স্কুলের বারান্দায় আস্ত ট্রেন ! শিল্পীর রং তুলিতে সেজে উঠল পুরুলিয়ার স্কুল

সম্প্রতি আসানসোল রবীন্দ্রভবনে শৈলেন সরকারের একক চিত্র প্রদর্শনী ছিল ৷ আর সেই প্রদর্শনীতেই ছাত্রীদের ছবি প্রদর্শনের জন্য বিশেষ জায়গা ক'রে দেন তিনি ৷ আর আদিবাসী যুবতীদের মোবাইলে তোলা সেই ছবির প্রশংসা সবার মুখে ৷ প্রদর্শনী দেখতে এসেছিলেন বিধায়ক তথা এডিডিএ চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি জানান, পিছিয়ে পড়া পরিবারের মেয়েরা এরকম ছবি তুলছে ৷ এটা সমাজের কাছে বিরাট একটা উদাহরণ ৷

ফোটোগ্রাফার শৈলেন সরকার জানান, ‘‘ওদের সেই ছোট থেকে দেখছি ৷ যখন থেকে ওদের গ্রামে বিভিন্ন উৎসবে ছবি তুলতে যেতাম ৷ ওদের আগ্রহ আমাকে উৎসাহিত করেছে ছবি তোলা শেখাতে ৷’’ তবে, এখানেই থেমে থাকতে রাজি নন তাঁরা ৷ আগামিদিনে ক্যামেরা কিনে পুরোদস্তুর ফটোগ্রাফার হয়ে ওঠাই লক্ষ্য পূর্ণিমা, আরশি, ললিতার মত আদিবাসী মেয়েরা ৷

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.