কুলটি, 17 ফেব্রুয়ারি : আজ সকালে বাড়ির পাশের কুয়োতে মিলল কিশোরীর দেহ ৷ ঘটনাটি কুলটি থানার বেজডি কোলিয়ারি এলাকার ৷ দেহটি উদ্ধার করে দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য ৷ মৃত কিশোরীর নাম প্রিয়াঙ্কা কুমারী (16) ৷ ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে কুলটি থানার পুলিশ ৷
মৃতার পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রিয়াঙ্কার বাবা ভোরবোলা পুজো করার সময় উঠে দেখেন বিছানায় নেই প্রিয়াঙ্কা ৷ খাবার তৈরির একটি পাত্রও গায়েব ৷ এরপর বাড়ি সংলগ্ন একটি কুয়োর পাশেই দেখতে পান ওই পাত্রটি রাখা রয়েছে ৷ কুয়োর জল তোলার বালতি ও দড়ি কুয়োতে নামানো দেখে সন্দেহ হয় ৷ কুয়োর মধ্যে টর্চের আলো ফেলে দেখেন জলে ভাসছে প্রিয়াঙ্কার দেহ ৷
হীরাপুরের আটনম্বর বস্তি এলাকায় মহাত্মা গান্ধি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পাঠরতা ছিলেন ওই ছাত্রী । ছাত্রীর দাদা পিন্টু কুমার চৌধুরি বলেন, "কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা বলতে পারব না । আমরা নিজেরাও কারণ খুঁজে পাচ্ছি না ।’’ ছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে ইতিমধ্যেই ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে । প্রিয়াঙ্কা দুর্ঘটনার শিকার নাকি কেউ তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে, তা নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে । পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে, তবে আত্মহত্যার বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছে না ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।