আসানসোল , 26 মার্চ : আসানসোলের মহিশিলা বাজারের বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেওয়ার ৷ পুলিশের কাছে এই বিষয়টি নিয়ে মৌখিক অভিযোগ জানায় স্থানীয়রা ৷ খবর পেতেই পুলিশের টহলদারি ভ্যান এবং প্রশাসনিক অধিকর্তারা মাঝে মধ্যেই আসছেন বাজার পরিদর্শন করতে ৷ সেই সময় ন্যায্য মূল্যের জিনিসপত্র বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা ৷ অভিযোগ, পুলিশ এবং প্রশাসনিক অধিকর্তারা চলে গেলেই আবার স্বমহিমায় ফিরে আসছেন বিক্রেতারা ৷ মোটের উপর , মহিশিলার বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দামের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকছে না । স্থানীয় বাসিন্দারা এর স্থায়ী সমাধান চাইছেন ।
দেশজুড়ে বেড়েছে লকডাউনের সময়সীমা ৷ প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ঘোষণার পর থেকেই দাম বাড়তে শুরু করেছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের । সময়সীমা বাড়ার ফলে এই সকল জিনিসের বাজারমূল্য এখন আকাশ ছোঁয়া ৷ বিশেষ করে সব্জির দামে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই । সব্জি বিক্রেতারা নিজেদের সুবিধা মতো জিনিসের দাম বাড়িয়ে যাচ্ছেন ৷ স্বভাবতই , মাথায় হাত সাধারণ মানুষজনের । বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ আসতেই পুলিশ এবং প্রশাসনিক অধিকর্তারা মাঝেমধ্যেই বাজারে হানা দিচ্ছেন । কিন্তু অভিযোগ উঠছে যে পুলিশের টহলদারি ভ্যান চলে গেলেই বিক্রেতারা আবার তাঁদের ইচ্ছা মতো দাম বাড়িয়ে নিচ্ছেন ৷
বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আসানসোলের মহিশিলার বাসিন্দারা অভিযোগ জানিয়ে বলছেন , "একই জিনিস বিভিন্ন ব্যবসায়ী বিভিন্ন দামে বিক্রি করছেন । ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ জানাতে গেলে তারা বলছেন, কেনার দরকার না হলে কিনবেন না । " বাসিন্দারা আরও বলেন," একই পিঁয়াজ কেউ বেচছে ৩৫ টাকায় ,কেউ বেচছেন ৪০ টাকায় কেউ বা আবার ৫০ টাকা কেজি দরে ৷ আমরা তা কিনতে বাধ্য হচ্ছি ৷ অন্যান্য আনাজপাতির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা । " বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দারা আসানসোল দক্ষিণ থানায় মৌখিকভাবে জানিয়েছিলেন । তারপর থেকেই পুলিশ মাঝেমধ্যেই মহিশিলা বাজারে এসে টহলদারি করে যাচ্ছেন । পুলিশ দেখলেই কেজি প্রতি ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম কমিয়ে ফেলেছে ব্যবসায়ীরা । যেই পুলিশের গাড়ি চলে যাচ্ছে সেই আবার দাম বাড়াচ্ছে ব্যবসায়ীরা । এই লুকোচুরি খেলা চলছে দিনভর । স্থানীয় বাসিন্দারা এর স্থায়ী সমাধান চাইছেন । তারা বলছেন দাম নিয়ন্ত্রণ করুক পুলিশ ।
পুলিশ জানাচ্ছে, " নিয়মমাফিক টহলদারি চলছে । তারা বাজারে গিয়ে তেমন কিছু গরমিল দেখতে পাননি । " যদিও বাসিন্দাদের বর্তমান সমস্যার কথা শোনার পর পুলিশ জানিয়েছে , "এবার সাদা পোশাকে পুলিশ গিয়ে এলাকায় এলাকায় খোঁজ খবর নেবেন ।"