আসানসোল, 17 অগস্ট: কয়লাপাচার কাণ্ডে (West Bengal Coal Smuggling Case) ধৃত, ইসিএল (ECL)-এর প্রাক্তন ও বর্তমান জিএম (GM)-সহ নিরাপত্তা আধিকারিকদের জামিনের আবেদন আবারও খারিজ করে দিল আদালত ৷ বদলে আগামী 30 অগস্ট পর্যন্ত তাঁদের সকলকেই বিচার বিভাগীয় হেফাজতে (Jail Custody) পাঠানো হয়েছে ৷
উল্লেখ্য, আগেই অভিযুক্তদের 14 দিনের জেল হেফাজত হয়েছিল ৷ সেই মেয়াদ শেষ হতেই মঙ্গলবার ধৃতদের আসানসোলের সিবিআই আদালতে (CBI Court) পেশ করা হয় ৷ দু'পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারক তাঁদের জামিনের আবেদন নাকচ করে আবারও হেফাজতে পাঠানোরই নির্দেশ দেন ৷ তিনি জানিয়েছেন, জেল বা বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকাকালীন সিবিআই গোয়েন্দারা তদন্তের প্রয়োজনে অভিযুক্তদের জেরা করতে পারবেন ৷ যদিও সূত্রের খবর, গত 14 দিনে ধৃতদের সেভাবে জেরা করেননি গোয়েন্দারা ৷
প্রসঙ্গত, কয়লাপাচারে মদত দেওয়ার অভিযোগে প্রাক্তন ও বর্তমান মিলিয়ে ইসিএল-এর আটজন কর্তাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই ৷ ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জেরাও করেছেন গোয়েন্দারা ৷ জেরা চলাকালীনই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছেন তাঁরা ৷ পাওয়া গিয়েছে অনেক সাংকেতিক ভাষা ! আপাতত সে সবের মর্মোদ্ধার করার চেষ্টা চলছে বলে দাবি সূত্রের ৷ অন্যদিকে, এর পর থেকেই জেল হেফাজতে রয়েছেন ধৃতরা ৷
আরও পড়ুন: Coal Smuggling Case: কয়লাপাচার-কাণ্ডে বিধায়ক শওকতের ছায়াসঙ্গী সাদেককে তলব সিবিআই-এর
মঙ্গলবার ইসিএল-এর প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার সুভাষ মুখোপাধ্যায়, অভিজিৎ মল্লিক, সুশান্ত বন্দোপাধ্যায়, তন্ময় দাস এবং বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার সুভাষচন্দ্র মৈত্র, মুকেশ কুমার ও দুই নিরাপত্তারক্ষী দেবাশিস মুখোপাধ্যায় এবং রিঙ্কু বেহারাকে আসানসোলের সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় ৷ অভিযুক্তদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আশিস মুখোপাধ্য়ায়, আশিস কুমার, অঙ্কিতা সেনগুপ্ত এবং অমিতাভ মুখোপাধ্য়ায় ৷ অন্যদিকে, সিবিআই-এর আইনজীবী ছিলেন রাকেশ কুমার ৷
অভিযুক্তদের আইনজীবীরা দাবি করেন, অবৈধ খনির বিষয়ে রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশের কাছে বারবার অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁদের মক্কেলরা ৷ কিন্তু, আদালতে প্রশ্ন ওঠে, কয়লা পাচারের কিংপিন অনুপ মাজি (Anup Maji) ওরফে লালার (Lala) নামে কেন সরাসরি কোনও অভিযোগ করেননি ধৃত আধিকারিকরা ৷ জবাবে অভিযুক্তদের আইনজীবীরা যুক্তি খাঁড়া করেন, রাতের অন্ধকারে কে বা কারা কয়লা চুরি করছে, ইসিএল-এর আধিকারিকদের পক্ষে তা জানা সম্ভব নয় ৷ কারা অবৈধ খনি চালাচ্ছে, সেটাই বা তাঁরা জানবেন কীভাবে ?
এই প্রসঙ্গে, অভিযুক্তদের অন্যতম আইনজীবী আশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, "চার্জশিটে যিনি মূল অভিযুক্ত, সেই অনুপ মাজি ওরফে লালা সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ পেয়েছেন ৷ অথচ ইসিএল আধিকারিকদের জামিন দিচ্ছেন না আসানসোলের সিবিআই আদালতের বিচারক ৷ এই ঘটনা আমাদের অবাক করে দিয়েছে ৷"