আসানসোল, 19 ডিসেম্বর : গোরু পাচার কাণ্ডের মূলচক্রী এনামূল হককে সিবিআই তাদের নিজেদের হেপাজতে নিল। আজ আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার থেকে সিবিআই এনামূল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। গতকালই হাইকোর্টে আবেদন করার পর ছয়দিনের পুলিশি হেপাজতে এনামূলকে পেয়েছে সিবিআই। এনামূলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোরু পাচারকাণ্ডে আরও রাঘব-বোয়ালদের নাম বেরিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছে সিবিআই।
11 ডিসেম্বর এনামূল হক আসানসোল সিবিআই কোর্টে হাজিরা দেয়। তাকে 14 দিনের জেল হেপাজতে পাঠিয়েছিল বিচারক। এনামূলের আইনজীবী শেখর কুন্ডু জানিয়েছিলেন, 6 নভেম্বর দিল্লিতে সিবিআই গ্রেপ্তার করেছিল এনামূল হককে। 7 নভেম্বর দিল্লি হাইকোর্টে এনামূলকে জামিন দিয়ে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়। সিবিআইকে এনামূল জানান যে তিনি কোরোনায় আক্রান্ত। বিষয়টিকে অবিশ্বাস করে এরপর বেলেঘাটা আইডিতে এনামূলের কোভিড পরীক্ষা করায় সিবিআই। বেলেঘাটাতে এনামূল হকের কোরোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। সেইমতো কোরোনার চিকিৎসা করিয়ে ও আইসোলেশন সময়কাল পার করে 11 ডিসেম্বর আসানসোল কোর্টে হাজিরা দেয় এনামূল হক।
শেখর কুন্ডু জানিয়েছিলেন, "যেহেতু জামিনের সময়সীমা বাড়ানো হয়নি সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে, তাই সেটাকে "ডিমড কাস্টডি" ধরা হয়েছে। ইতিমধ্যে 14 দিনের বেশি ডিমড কাস্টডি ছিল এনামূল হকের। 14 দিনের বেশি পুলিশ হেপাজতে রাখা যায় না।সেই কারণে বিচারক তাকে পুলিশ হেপাজতের বদলে জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন"। এই নির্দেশের পর এনামূলকে নিজেদের হেপাজতে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। সেইমতো গতকাল হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় 6 দিনের জন্য এনামূলকে হেপাজতে নিতে পারে সিবিআই। আজ আসানসোল সংশোধনাগার থেকে এনামূল হককে নিয়ে কলকাতা নিজাম পালেসের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সিবিআই। এনামূলকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমকে সংশোধনাগারের কাছাকাছি আসতে দেওয়া হয়নি।