আসানসোল,9 মে : সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে অনূর্ধ্ব 17 মহিলা বিশ্বকাপে খেলার কথা ছিল তার। কিন্তু কোরোনা এবং লকডাউনের কারণে সেই স্বপ্ন কতটা সার্থক হবে সে নিয়ে আশঙ্কায় আসানসোলের রূপনারায়ণপুরের বাসিন্দা অদ্রিজা সরখেল। ভারতীয় মহিলা অনূর্ধ্ব 17 দলের গোলকিপার অদ্রিজা। বর্তমানে বাড়িতেই রয়েছেন। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকায় মধ্যবিত্ত পরিবারের এই মেয়েটির প্রোটিন জাতীয় খাবারের অভাব হচ্ছিল। আর তা জানতে পেরেই আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি তার পাশে দাঁড়ালেন।
আসানসোলের একেবারে প্রান্তিক অঞ্চল রূপনারায়ণপুরে বড় হয়ে ওঠে অদ্রিজা সরখেল। সেখানেই তার মামাবাড়ি। ফুটবলের কোচিং সেখান থেকেই। প্রথমে বাংলায় বিভিন্ন জায়গায় খেলে সুনাম অর্জন করেছে অদ্রিজা । বেশ কয়েকটি জাতীয় ম্যাচও খেলেছে সে। তারপরেই ইন্ডিয়া ক্যাম্পে প্রথমে সুযোগ পায় এবং পরবর্তীকালে অনূর্ধ্ব 17 দলে ভারতীয় ফুটবলে গোলরক্ষকের দায়িত্ব বর্তায় তাঁর উপর । গোয়াতে কোচিং চলছিল।আগামী নভেম্বর মাসে অনূর্ধ্ব সতেরো বিশ্বকাপ খেলায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু লকডাউনে সবকিছুই পন্ড হতে বসেছে।
বাড়ি ফিরে এসেছে অদ্রিজা। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। রূপনারায়ণপুরে মামা বাড়িতেই থাকে। দাদু অবসর নিয়েছেন। মামাও সেভাবে স্থায়ী কিছু করেন না। ফলে গোয়াতে থাকাকালীন অদ্রিজা যে ভিটামিন এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার পেত সেটা রূপনারায়ণপুরে মামা বাড়িতে এসে পাচ্ছে না। আর তাই সে সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। মুখ্যমন্ত্রী ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে বিষয়টি দেখতে বলেন। এরপর অরূপ বিশ্বাসের নির্দেশে আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি আজ অদ্রিজা সরখেলের মামা বাড়িতে যান। সেখানে তাকে 11 হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য করার পাশাপাশি ফল, প্রোটিন পাউডার, হরলিকস সহ আরও অনেক কিছু দিয়ে আসেন। আগামী দিনে যে কোনও অসুবিধায় পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
অদ্রিজা সরখেল জানিয়েছে," ২৪ ঘণ্টা আগে আবেদন করেছিলাম। তার মধ্যেই এই সহায়তা পাব ভাবতে পারিনি"।