আসানসোল, 29 মে: দু বছর আগে সালানপুরের রূপনারায়ণপুরে এক বৃদ্ধা খুন হয়েছিলেন (Asansol Elderly woman murder case)। তদন্তে নেমে দু বছর পর ওই বৃদ্ধার বাড়ির পরিচারককে গ্রেফতার করল সালানপুর থানার রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির পুলিশ । প্রায় চাপা পড়ে যাওয়া মামলার ফাইল নতুন করে খুলে তদন্ত শুরু হয় ৷ তদন্তের পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সাফল্য পেলেন রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির আইসি রাহুলদেব মণ্ডল । ধৃতের নাম করণ দাস । গতকাল রূপনারায়ণপুরের পশ্চিম রাঙামাটিয়ার হরিজন বস্তি থেকে করণ দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Asansol arrest)। পুলিশের দাবি, খুনের কথা স্বীকার করেছে করণ ।
2020 সালের 20 মার্চ রূপনারায়ণপুর বিডিও অফিস রোডে নিজের আবাসনেই উদ্ধার হয় শেফালি রায় (65) নামে এক বৃদ্ধার মৃতদেহ । বৃদ্ধা একাই থাকতেন ওই বাড়িতে । তাঁর বাড়িতে কাজ করত করণ দাস নামে ওই পরিচারক । বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধারের পর রাঁচিতে থাকা তাঁর ভাই একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেন । পুলিশ সেই সময় তদন্তে তেমন কোনও উন্নতি করতে পারেনি । অভিযুক্ত করণ দাসও গা ঢাকা দেয় ।
আরও পড়ুন: Coal Smuggling Case : আসানসোল বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ বিনয় মিশ্রকে
সম্প্রতি রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির বর্তমান ইনচার্জ রাহুল দেব মণ্ডল আবার সেই ফাইলটি খোলেন । তিনি ময়নাতদন্ত রিপোর্টে দেখেন শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল ওই বৃদ্ধাকে । অন্যদিকে, দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ায় করণ দাসও বাড়ি ফিরে এসেছিল । এরপরেই পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফাঁড়িতে নিয়ে আসে । দীর্ঘ জেরায় সে ভেঙে পড়ে । করণ স্বীকার করে নেয়, সে-ই শ্বাসরোধ ক'রে খুন করেছে বৃদ্ধাকে ৷
যদিও খুনের মোটিভ নিয়ে এখনও সন্দিহান পুলিশ । করণ পুলিশকে জানিয়েছে, কাজের জন্য রোজই কটু কথা শোনাতেন শেফালি রায় । আর সেই রাগের বশেই নাকি সে খুন করেছিল বৃদ্ধাকে । কিন্তু ঘটনার পিছনে আসল কারণ অন্য থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান । সেই কারণে ধৃতকে আসানসোল মহকুমা আদালতে তুলে পুলিশি হেফাজতের জন্য প্রার্থনা করা হয় । বিচারক 10 দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন । পুলিশের আশা, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে ।