আলিপুরদুয়ার, 18 জুন : পুত্র বিয়োগের যন্ত্রণায় মায়ের কান্নার আওয়াজ রাতের নিস্তব্ধতা ভেদ করে জাগিয়ে রাখল আলিপুরদুয়ারের বিন্দিপাড়া গ্রামের মানুষকে। শহিদ পুত্রের ছবি বুকে আঁকড়ে ঘরের মেঝেতেই শুয়ে রাত কাটালেন সন্তানহারা মা-বাবা।
সন্তান হারিয়ে শোকে ভাষা হারিয়েছেন শহিদ বিপুল রায়ের মা কুসুমবালা দেবী । তাঁকে সামলাতে হাজির গোটা গ্রাম। অন্যদিকে শহিদের বাবা নীরেন রায়ও আজ খুব একটা ঘর থেকে বের হননি। বুধবার ছেলের মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকে ভেঙে পড়েছেন তিনি ।
দাদার মৃত্যুর খবর পেয়ে বুধবার রাতেই ভুটান থেকে দেশে ফিরেছেন শহিদ জওয়ানের ভাই বকুল রায়। বৃ্হস্পতিবার ভোররাতে তিনি বিন্দিপাড়ার বাড়িতে এসে পৌঁছান । তারপর থেকেই বাবা, মাকে বুকে আগলে রেখেছেন । দাদার অকাল প্রয়াণে বাকরুদ্ধ ছোটো ভাই। বৃদ্ধ মা, বাবাকে নিয়ে কার্যত দিশেহারা বোধ করছেন তিনি।
শুধু শহিদের পরিবার নয়, শোকে মুহ্যমান গোটা গ্রাম। বিগত দুইদিন ধরে গ্রামের কোনও বাড়িতেই হাঁড়ি চড়েনি। সকাল থেকে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শহিদ জওয়ানের অপেক্ষায় আলিপুরদুয়ারের বিন্দিপাড়া ও টোটোপাড়ার গ্রামবাসীরা। শহিদকে শেষ একবার চোখের দেখা দেখতে গ্রামে উপচে পড়েছে ভিড়।
জেলার রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে পুলিশ, প্রশাসনের কর্তারা ভোর রাত থেকেই হাজির হয়েছেন বিন্দিপাড়া গ্রামে । তুমুল বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই জোর কদমে চলছে শেষকৃত্যের প্রস্তুতি। তবে আজও ফিরছে না শহিদ জওয়ানের মরদেহ।
গত ডিসেম্বরে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। এতদিন পর বাড়ি ফিরবেন । তবে কফিনবন্দী হয়ে ।