কলকাতা, 15 জুন : সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজন সামাজিক দূরত্ব । সেই জন্যই সরকারের তরফ থেকে বহু কর্মীকেই বাড়ি থেকে কাজের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কর্মীরা বাড়ি থেকে ঠিকমতো কাজ করছেন কি না, তা জানতে এবার বিশেষ প্রযুক্তি আনতে চলেছে রাজ্য সরকার।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে কর্মীরা ঠিকভাবে কাজ করছেন কি না, তা দেখা হবে। প্রাথমিকভাবে অর্থ দপ্তরের উপরে এই নজরদারি ব্যবস্থা চালানো হবে। পরে বাকি দপ্তরগুলির উপরও একইভাবে প্রযুক্তির সাহায্যে নজরদারি করা হবে।
মে মাসের শেষ সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বর্তমান কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন। সেই ভিডিয়ো কনফারেন্সের পরে তিনি জানান, চতুর্থ দফার লকডাউন শেষ হলে 100 শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে পারবে বেসরকারি সংস্থাগুলি। তবে বাড়ি থেকে কাজের সুযোগের উপরই বেশি জোর দেওয়ার কথা জানান। যেসব বেসরকারি সংস্থার বাড়ি থেকে কাজের সুযোগ রয়েছে, তারা যেন সেই নীতিই নেন বলে অনুরোধও করেন।
চটকল এবং চা বাগানে 100 শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করার বিষয়েও সবুজ সংকেত দেন মুখ্যমন্ত্রী । পাশাপাশি জানান, আগে ঠিক হয়েছিল 50 শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি অফিস খুলবে, কিন্তু সেটি বাড়িয়ে 70 শতাংশ করা হয়েছে।
8 জুনের পর প্রথম দুদিন 60 শতাংশ কর্মী উপস্থিত ছিল সরকারি অফিসগুলোতে। তবে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় 10 জুন আবার একটি নির্দেশিকা জারি করে অর্থ দপ্তর। সেখানে বলা হয় জ্বর-সর্দি-কাশি থাকলে সরকারি অফিসার কিংবা কর্মীদের অফিসে আসতে হবে না। কনটেইনমেন্ট জ়োনের বাসিন্দা হলেও আসতে হবে না অফিসে। সেক্ষেত্রে বাড়িতে বসে কাজ করা যাবে। কর্মী এবং অফিসাররা মুখোমুখি বসে বৈঠক করবেন না, ইন্টার কম কিংবা ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করতে হবে। কর্মী এবং অফিসারদের বসার ক্ষেত্রে কমপক্ষে দুই মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। একটি ঘরে সর্বাধিক দশজন বসতে পারবে। এটা বজায় রাখতে গিয়ে যদি 70% উপস্থিতি না হয়, তা হলেও চলবে। তবে সরকারি অফিসগুলোতে যারা চেম্বারে বসেন তাঁদের রোজ অফিসে আসতে হবে।
সামাজিক দূরত্ব বিধি মানতে গিয়ে অর্থসহ 52 টি দপ্তরের বহু কর্মীকে বাড়ি থেকে কাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে কর্মচারীরা ঠিকভাবে কাজ করছেন কি না, তা দেখতে আনা হচ্ছে এই বিশেষ সফটওয়্যার। সফটওয়ারের মাধ্যমে প্রথমে অর্থ দপ্তরের কর্মীদের উপর নজরদারি চালানো হবে। পরে পর্যায়ক্রমে 52 টি দপ্তরের সব কর্মীর উপর নজরদারি চলবে।