মহম্মদবাজার, 28 জুন : লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় শহিদ রাজেশ ওরাংয়ের পরিবারের হাতে আড়াই লাখ টাকা তুলে দেওয়া হল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে। আজ মহম্মদবাজারের বেলগড়িয়া গ্রামে শহিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান বিশ্বভারতীর উপাচার্য, কর্মসচিব ও অন্যান্য আধিকারিকরা। শহিদের পরিবারের হাতে অনুদান তুলে দেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
যে কোনও বিপদ বা বিপর্যয়ে বরাবর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। সম্প্রতি লকডাউনে বহু মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্বভারতী। শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাঁদের বেতনের টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পাঠিয়েছেন। একইভাবে আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
এবার তাঁরা ভারত-চিন সীমান্তে শহিদ ভারতীয় জওয়ান রাজেশ ওরাংয়ের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন। আজ বীরভূমের মহম্মদবাজার থানার বেলগড়িয়া গ্রামে শহিদের বাড়িতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান বিশ্বভারতীর উপাচার্য, ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব আশা মুখোপাধ্যায়সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের হাতে আড়াই লাখ টাকা অনুদান তুলে দেওয়া হয়। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন থেকেই এই অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই বিষয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য জানান, শুধুমাত্র পঠন-পাঠন নয়, তার পাশাপাশি সামাজিক কর্তব্যও পালন করে বিশ্বভারতী। এটাই বিশ্বভারতীর অভিনবত্ব।