ETV Bharat / briefs

ফণীর জেরে ভোগান্তি যাত্রীদের, হাওড়া থেকে ছাড়বে 3টি স্পেশাল ট্রেন - Howrah to Goa

রেলের তরফে জানানো হয়েছে , স্লিপার, AC-2 ও AC-3 কোচ থাকবে । ট্রেনগুলি যে স্টেশনে দাঁড়ায় সেখানেই স্পেশাল ট্রেনগুলি দাঁড়াবে ।

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : May 4, 2019, 6:59 PM IST

কলকাতা, 4 মে : ফণীর জেরে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করেছিল দক্ষিণ-পূর্ব রেল । ফলে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়েছেন অসংখ্য যাত্রী । তাদের সুবিধার্থে আজ হাওড়া থেকে তিনটি স্পেশাল ট্রেন চালাবে দক্ষিণ-পূর্ব রেল ।

গতকাল সকালে পুরীতে আছড়ে পড়ে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় ফণী । যাত্রীদের নিরাপত্তার কথায় মাথায় রেখে গতকাল একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয় । তার জেরে ভোগান্তির মুখে পড়ে যাত্রীরা । ইতিমধ্যে কলকাতার পাশ দিয়ে বাংলাদেশে চলে গেছে ফণী । তারপর আজ তিনটি স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ-পূর্ব রেল । ট্রেনগুলি হল -

  • 02863 হাওড়া-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস । ট্রেনটি আজ রাত 8টা 35 মিনিটে হাওড়া থেকে ছাড়বে ট্রেনটি সোমবার ভোর 7টা 15 মিনিটে যশবন্তপুর পৌঁছবে ।
  • 08049 হাওড়া-ভাস্কো দা গামা এক্সপ্রেস । ট্রেনটি রাত 11টা 30 মিনিটে হাওড়া থেকে ছাড়বে । ট্রেনটি আগামীকাল দুপুর 3টে 45 মিনিটে গোয়া পৌঁছবে ।
  • 028390 হাওড়া- MGR চেন্নাই সেন্ট্রাল এক্সপ্রেস । ট্রেনটি আজ রাত 11টা 30 মিনিটে হাওড়া থেকে ছাড়বে । সোমবার ভোররাত 3টে 50 মিনিটে চেন্নাই পৌঁছবে ।

রেলের তরফে জানানো হয়েছে , স্লিপার, AC-2 ও AC-3 কোচ থাকবে । ট্রেনগুলি যে স্টেশনে দাঁড়ায় সেখানেই স্পেশাল ট্রেনগুলি দাঁড়াবে । তবে ট্রেনগুলির জন্য যাত্রীদের আলাদা করে টিকিট কাটতে হবে । পাশাপাশি ফণীর জেরে যে ট্রেনগুলির বাতিল করা হয়েছিল, সেই ট্রেনের যাত্রীদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে ।

কলকাতা, 4 মে : ফণীর জেরে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করেছিল দক্ষিণ-পূর্ব রেল । ফলে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়েছেন অসংখ্য যাত্রী । তাদের সুবিধার্থে আজ হাওড়া থেকে তিনটি স্পেশাল ট্রেন চালাবে দক্ষিণ-পূর্ব রেল ।

গতকাল সকালে পুরীতে আছড়ে পড়ে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় ফণী । যাত্রীদের নিরাপত্তার কথায় মাথায় রেখে গতকাল একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয় । তার জেরে ভোগান্তির মুখে পড়ে যাত্রীরা । ইতিমধ্যে কলকাতার পাশ দিয়ে বাংলাদেশে চলে গেছে ফণী । তারপর আজ তিনটি স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ-পূর্ব রেল । ট্রেনগুলি হল -

  • 02863 হাওড়া-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস । ট্রেনটি আজ রাত 8টা 35 মিনিটে হাওড়া থেকে ছাড়বে ট্রেনটি সোমবার ভোর 7টা 15 মিনিটে যশবন্তপুর পৌঁছবে ।
  • 08049 হাওড়া-ভাস্কো দা গামা এক্সপ্রেস । ট্রেনটি রাত 11টা 30 মিনিটে হাওড়া থেকে ছাড়বে । ট্রেনটি আগামীকাল দুপুর 3টে 45 মিনিটে গোয়া পৌঁছবে ।
  • 028390 হাওড়া- MGR চেন্নাই সেন্ট্রাল এক্সপ্রেস । ট্রেনটি আজ রাত 11টা 30 মিনিটে হাওড়া থেকে ছাড়বে । সোমবার ভোররাত 3টে 50 মিনিটে চেন্নাই পৌঁছবে ।

রেলের তরফে জানানো হয়েছে , স্লিপার, AC-2 ও AC-3 কোচ থাকবে । ট্রেনগুলি যে স্টেশনে দাঁড়ায় সেখানেই স্পেশাল ট্রেনগুলি দাঁড়াবে । তবে ট্রেনগুলির জন্য যাত্রীদের আলাদা করে টিকিট কাটতে হবে । পাশাপাশি ফণীর জেরে যে ট্রেনগুলির বাতিল করা হয়েছিল, সেই ট্রেনের যাত্রীদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে ।

Intro:ভোট দিক বা না দিক বাকিদের মতো শান্তিপুর্নভাবে বাঁচতে চান এঁরাও।

আজ বহু বছর হল কলকাতার বেহালা অঞ্চলে বাস করেন বেশ কয়েকটি মালোয়ালি পরিবার। তবে শুধু মালেযালিরাই নয় প্রায় লখ্যাধিক পাঞ্জাবীও বাস করেন কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ বিরোধীদের জোটকে খুব বড় একটা ভালো নজরে দেখছে না।

পঞ্জাবি বা মালেয়ালি এঁরা সবাই মনে-প্রানে বাঙালি হয়ে উঠলেও নিজের রাজ্যের প্রতি টান অনুভব করেন একইরকম।

নির্বাচন 2019 নিয়ে কী মনে করছেন কলকাতার অবাঙালি সম্প্রদায়।





Body:যাঁরা নিজেদের ভিটে-মাটি ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে এসে আজ দীর্ঘদিন হল বসবাস করছেন তাঁরা কিভাবে দেখছেন 2019এর নির্বাচন। কী ভাবছেন তাঁরা বাংলার রাজনীতির ভবিষৎ নিয়ে?

কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চল যেমন বালিগঞ্জ, পার্ক স্ট্রিট, আচার্য জগদীশ চন্দ্র বস রোড, ভবানীপুর, সার্কাস এভিনিউ ও এলিয়ট রোডেই বেশিরভাগ পাঞ্জাবিরা বসবাস করেন। কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় লক্ষাধিক পাঞ্জাবি পরিবার। এঁদের বেশিরভাগই পশ্চিমবঙ্গের ভোটার। এড়া মূলত ব্যবসায়ী।

প্রায় ৬০ বছর আগে লাহোরের পাট চুকিয়ে এদেশে চলে আসেন অশোক অরোরার পরিবার। "আমার বাবা-মা যখন এখানে এসেছিলেন তখন ইউনাইটেড ফ্রন্টের জামান ছিল। আজকের মত এতটা উন্নত ছিল না এই শহরটা। তবে এখন এই শহরটা সব দিক থেকেই উন্নতি করেছে। অন্যান্য সম্প্রদায়ের মতো এখানে একটা বিপুল সংখ্যায় পঞ্জাবী বসবাস করেন। যদিও আমি গোটা পাঞ্জাবি সম্প্রদায়ের হয়ে কথা বলতে পারবো না। তবে এই সম্প্রদায়ের একজন হয়ে আমি বলতে পারি যে বাংলাই এখন আমাদের দেশ। আমি ঝড় ঝড় করে বাংলা বলতে পারি তাই কোনও রকম সমস্যা হয়ও না।" তিনি আরও বলেন যে পাঞ্জাবীদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষই ব্যবসায়ী। তাই তাঁদের কথা মাথায় রেখে ব্যবসার সুযোগের পথ আরও যাতে সুগম হয় সে আশাও করেন তাঁরা সরকারের থেকে। তিনি বলেন, "আগের নির্বাচনগুলো থেকে 2019 এর নির্বাচন বেশ অন্যরকম মনে হয় আমার। কারণ এবার কাকে ভোট দিলে ভালো হয় বা দিল্লি কার দখলের এলে সাধাতন মানিষের সুরাহা হতে পারে সেটাই জনগণ বুঝতে পারছেন না। তাঁরা কিছুটা বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। ২০১৪ সালে সবাই "পরিবর্তনের" স্রোতে গা ভাষিয়ে ছিলেন। আমরাও একটা সার্বিক পরিবর্তন চেয়েছিলাম। বেশ অনেকগুলি ক্ষেত্রে পরিবর্তন এলেও সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন হয়নি।" পাশাপাশি তিনি বলেন পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আসা উচিত।

৩০ বছরেরও বেশি সময় পশ্চিমবঙ্গে কাটিয়েছেন কেরলের নন্দ কুমার। রাজনৈতিকভাবে সচেতন নন্দ কুমার মনে করেন, "আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে শাসক দলের বিরোধীতা করে একটা বদলের হাওয়া বইছে। এহেন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক পালাবদল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে একটা কথা বলতে পারি যে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু মানুষ প্রতি মাসে কেরল দেশে দিনমজুরের কাজের জন্য যাতায়াত করেন। তাই এঁদের কথা মাথায় রেখেই ট্রেন চলাচলের সুযোগ-সুবিধার দিকে আরও নজর দিতে হবে। এখানে একটা নজর করার মতো বিষয় হল ২০১৪ সালে যখন পরিবর্তনের সরকার আসর তখন তাঁরা যে প্রতিশ্রুতিগুলি দিয়েছিলেন সেগুলি অনেকগুলোই অসম্পূর্ন রয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গে তেমনভাবে কর্মসংস্থান নেই বলেই শয় শয় মানুষ প্রত্যেক সপ্তাহে কেরল চলে যাচ্ছেন। এর থেকে বেশ পরিষ্কার যে কেরলে অনেক বেশি উন্নতি হয়েছে কারণে ওখানে অদক্ষ কর্মীরা দিনে 600 থেকে 700 টাকা পারিশ্রমিকে কাজ করেন।" তিনি দাবি করেন যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় রেলমন্ত্রি থাকাকালীনও এই বিষয়টির দিকে কোনও রকম নজর দেওয়া হয়নি বললেই চলে।

তবে পশ্চিমবঙ্গের নিরোক্ষে 2014র নির্বাচনটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। 34 বছরের বাম আমলের অবসান চেয়েছিলেন আপামর জনতা। শহরের দিকে উন্নয়ন হলেও গ্রামবাংলা যে খোলনলচে বদলেছে তেমনটা বলা যায় না।








Conclusion:বেহালা ছাড়াও বাঁশদ্রোনি, টালিগঞ্জ, লেক রোড ও সাউদার্ন এভিনিউ। প্রায় 1500 থেকে 2000 মালোয়ালি পরিবার থেকে কলকাতায়।


তবে মসনদে যেই আসুক না কেন বাকিদের মতো এঁদের দাবি হল পরিবার নিয়ে সবাই যেন শান্তিতে ও সুরক্ষিতভাবে বাঁচতে পারেন।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.