মারিশদা, 13 সেপ্টেম্বর : বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সম্পাদক মানিকলাল দোলাই ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল রায়দের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ-সহ মিড ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পোস্টার দেখতে পাওয়া যায় বিদ্যালয়ের মেইন গেটের দেওয়ালসহ গোটা এলাকায় । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এমন দুর্নীতির পোস্টার পড়ায় এলাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর । অভিযোগ, রাজ্য জুড়ে যেখানে বিদ্যালয়গুলিতে এডমিনিস্ট্রেটর নিয়োগ প্রকৃয়া বলবৎ হয়েছে, সেই জায়গায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মারিশদা বিজয়কৃষ্ণ জাগৃহি বাণীপীঠ ( উঃমাঃ )কৌশল করে এখনও ম্যানেজিং কমিটি চালু রাখা হয়েছে। সম্প্রতি কমিটির নির্বাচনও ঘটা করে করা হয়। রাতারাতি একতরফাভাবে তৃণমূল পরিচালিত বিদ্যালয়ের কমিটি গঠন করা হয় বলে অভিযোগ । এই নতুন কমিটি আবার সম্প্রতি চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী নিয়োগ করে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ বলেও অভিযোগ ওঠে।
বামফ্রন্ট নেতা ঝাড়েশ্বর বেরা বলেন, “নিয়োগ প্রক্রিয়ার বোর্ডে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের নিকট আত্মীয়দের নিয়োগ করা হয়েছে ।যেমন প্যানেল বোর্ডে ছিলেন প্রধান শিক্ষক, তাঁর ছেলেকেই নিয়োগ করা হয়েছে । চাকরিতে যা সম্পূর্ণ বেআইনি ।” এমন ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে এলাকার BJP নেতৃত্বও।
আরও পড়ুন : ডাকাতি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার 4
এদিকে কমিটির সম্পাদক মানিকলাল দোলাই বলেন , "রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই কাজ করেছে , তা আমাদের জানা নেই । স্কুলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এইসব কাজ করেছে । আর নিয়োগ প্রক্রিয়া তো হয়নি । কারণ নিয়োগ প্রক্রিয়া এখন আদালতে বিচারাধীন । তবে এইসব দুর্নীতির অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যে । আমরা ম্যানেজিং কমিটির বৈঠক ডাকছি । তারপর পুলিশে অভিযোগ করব ।" তবে প্রধান শিক্ষক দুলাল রায়ের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ।