ETV Bharat / briefs

প্রফুল প্যাটেলের সঙ্গে আইলিগের প্রতিনিধিদের বৈঠকের সম্ভবনা - i ligue

ভোটপর্ব মিটতেই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল প্যাটেল আইলিগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে।

ছবি সৌজন্যে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের টুইটার হ্যান্ডেল
author img

By

Published : Apr 23, 2019, 4:31 AM IST

কলকাতা, 23 এপ্রিল: আইলিগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল প্যাটেলের বহু প্রতীক্ষিত বৈঠকের সম্ভাবনা ফের দেখা দিয়েছে। দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচনের হাওয়া স্তিমিত হলেই সেই বৈঠকের দিন ঠিক করা হবে বলে ফেডারেশন সূত্রে খবর। প্রতিক্ষিত বৈঠকের আগে ফেডারেশন তাদের মার্কেটিং পার্টনারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছে। সেই বৈঠক চলতি মাসের বাকি কয়েকদিনের মধ্যে, নয়তো মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই হওয়ার সম্ভাবনা।

বৈঠকে ভারতীয় ফুটবলের রোড ম্যাপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। প্রসঙ্গত, ভারতীয় ফুটবল কোন পথে এগোতে চাইছে তা জানতে চেয়ে আইলিগের ক্লাব জোট আগেই ফেডারেশন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসার সময় চেয়েছিল। সেই সময় প্রফুল প্যাটেল অনুরোধ করেছিলেন সুপার কাপ বয়কট না করে ক্লাবগুলো যেন অংশগ্রহণ করে। বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল ১৪ এপ্রিল। বৈঠকের আশ্বাসও পাওয়া গেছিল। কিন্তু আইলিগের ক্লাব জোট সুপার কাপে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের বদল করেনি। আশ্বাস সত্ত্বেও ক্লাবের অনড় অবস্থানে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট। ফলে তিনি ১৪ এপ্রিল ক্লাব জোটের সঙ্গে কথা বলেননি।

মাঝের সময়ে জল গড়িয়েছে। ISl-এ অংশগ্রহণ নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের দুই শীর্ষ কর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ফেডারেশন সচিব কুশল দাস ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত। তাঁরা বুঝতে পারছেন কঠোর মনোভাবের ফলে দেশের ফুটবলের ক্ষতি হচ্ছে। কারণ ISl প্রত্যাশিত মাইলেজ দিতে ব্যর্থ। সময় যত এগোচ্ছে ততই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে ফ্র্যাঞ্চাইজি নির্ভর লিগটি। এই অবস্থায় কলকাতার দুই প্রধান দল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানকে ISl-এ দরকার। ইস্টবেঙ্গল বিনিয়োগকারী সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় আর্থিকভাবে সাবলম্বী। কিন্তু তারা ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি দিয়ে ISl খেলতে অনিচ্ছুক। মোহনবাগান লিগ সংযুক্তিকরণের পক্ষে। তবে তারা স্পনসরের অভাবে ভুগছে। ISl-এ ফ্র্যাঞ্চাইজি দিতে অনিচ্ছুক।

ফেডারেশন তাই নতুন মরসুমে আইলিগ ও ISl সংযুক্ত করে একটি লিগ করার ব্যাপারে সেভাবে আগ্রহী নয়। তারা এই ব্যাপারে ধীরে চলো নীতি নিতে চায়। কিন্তু সেই নীতি যে বেশি দিন কার্যকর হবে না তা AFC জানিয়ে দিয়েছে। AFC কাপে খেলার যোগ্যতা পায় ISl চ্যাম্পিয়ন দল। আবার AFC চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলে আইলিগ চ্যাম্পিয়ন দল। এই নিয়মটা AFC রেখেছে AIFF-এর বিশেষ অনুরোধে। তাই এক বছর দু'টো লিগ সমান্তরালভাবে করলেও ফেডারেশনকে সংযুক্তিকরণেরর পথে হাঁটতে হবে। তাই রোড ম্যাপ আইলিগ ও ISl-এর দলগুলোর স্বার্থরক্ষা করে তৈরির চ্যালেঞ্জ তাদের সামনে। সেইজন্যই বিজ়নেস পার্টনারের সঙ্গে বৈঠকে ফেডারেশন। আর সেই বৈঠকে উঠে আসা বিষয়গুলি নিয়ে প্রফুল প্যাটেল বসবেন আইলিগের ক্লাবের সঙ্গে। তাই ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট ও আইলিগের ক্লাবের সঙ্গে বৈঠকের আগে আভ্যন্তরীন বৈঠককে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে কুশল দাস, সুব্রত দত্তরা।

কলকাতা, 23 এপ্রিল: আইলিগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল প্যাটেলের বহু প্রতীক্ষিত বৈঠকের সম্ভাবনা ফের দেখা দিয়েছে। দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচনের হাওয়া স্তিমিত হলেই সেই বৈঠকের দিন ঠিক করা হবে বলে ফেডারেশন সূত্রে খবর। প্রতিক্ষিত বৈঠকের আগে ফেডারেশন তাদের মার্কেটিং পার্টনারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছে। সেই বৈঠক চলতি মাসের বাকি কয়েকদিনের মধ্যে, নয়তো মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই হওয়ার সম্ভাবনা।

বৈঠকে ভারতীয় ফুটবলের রোড ম্যাপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। প্রসঙ্গত, ভারতীয় ফুটবল কোন পথে এগোতে চাইছে তা জানতে চেয়ে আইলিগের ক্লাব জোট আগেই ফেডারেশন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসার সময় চেয়েছিল। সেই সময় প্রফুল প্যাটেল অনুরোধ করেছিলেন সুপার কাপ বয়কট না করে ক্লাবগুলো যেন অংশগ্রহণ করে। বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল ১৪ এপ্রিল। বৈঠকের আশ্বাসও পাওয়া গেছিল। কিন্তু আইলিগের ক্লাব জোট সুপার কাপে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের বদল করেনি। আশ্বাস সত্ত্বেও ক্লাবের অনড় অবস্থানে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট। ফলে তিনি ১৪ এপ্রিল ক্লাব জোটের সঙ্গে কথা বলেননি।

মাঝের সময়ে জল গড়িয়েছে। ISl-এ অংশগ্রহণ নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের দুই শীর্ষ কর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ফেডারেশন সচিব কুশল দাস ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত। তাঁরা বুঝতে পারছেন কঠোর মনোভাবের ফলে দেশের ফুটবলের ক্ষতি হচ্ছে। কারণ ISl প্রত্যাশিত মাইলেজ দিতে ব্যর্থ। সময় যত এগোচ্ছে ততই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে ফ্র্যাঞ্চাইজি নির্ভর লিগটি। এই অবস্থায় কলকাতার দুই প্রধান দল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানকে ISl-এ দরকার। ইস্টবেঙ্গল বিনিয়োগকারী সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় আর্থিকভাবে সাবলম্বী। কিন্তু তারা ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি দিয়ে ISl খেলতে অনিচ্ছুক। মোহনবাগান লিগ সংযুক্তিকরণের পক্ষে। তবে তারা স্পনসরের অভাবে ভুগছে। ISl-এ ফ্র্যাঞ্চাইজি দিতে অনিচ্ছুক।

ফেডারেশন তাই নতুন মরসুমে আইলিগ ও ISl সংযুক্ত করে একটি লিগ করার ব্যাপারে সেভাবে আগ্রহী নয়। তারা এই ব্যাপারে ধীরে চলো নীতি নিতে চায়। কিন্তু সেই নীতি যে বেশি দিন কার্যকর হবে না তা AFC জানিয়ে দিয়েছে। AFC কাপে খেলার যোগ্যতা পায় ISl চ্যাম্পিয়ন দল। আবার AFC চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলে আইলিগ চ্যাম্পিয়ন দল। এই নিয়মটা AFC রেখেছে AIFF-এর বিশেষ অনুরোধে। তাই এক বছর দু'টো লিগ সমান্তরালভাবে করলেও ফেডারেশনকে সংযুক্তিকরণেরর পথে হাঁটতে হবে। তাই রোড ম্যাপ আইলিগ ও ISl-এর দলগুলোর স্বার্থরক্ষা করে তৈরির চ্যালেঞ্জ তাদের সামনে। সেইজন্যই বিজ়নেস পার্টনারের সঙ্গে বৈঠকে ফেডারেশন। আর সেই বৈঠকে উঠে আসা বিষয়গুলি নিয়ে প্রফুল প্যাটেল বসবেন আইলিগের ক্লাবের সঙ্গে। তাই ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট ও আইলিগের ক্লাবের সঙ্গে বৈঠকের আগে আভ্যন্তরীন বৈঠককে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে কুশল দাস, সুব্রত দত্তরা।

Intro:মাঝরাতে ওর হুড়মুড়িয়ে সাইকেল চালানো দেখে আর কেউ সচকিত হয়না। সকলেই জানে জিন্না সাইকেল চালিয়ে ট্রেন ধরতে ছুটছে। বসিরহাটের বিবিপুরের বাড়ি থেকে কাকড়া মির্জা নগর স্টেশন সতেরো কিলোমিটার দূরে। প্রথম ট্রেন হাসনাবাদ শিয়ালদহ লোকাল ধরতে না পারলে সঠিক সময়ে পৌঁছনো যাবে না যে। আর সময়ে না পৌছতে পারলে প্র্যাকটিসে হয়ত নামা হবে, এক ই সঙ্গে স্যারের বকা শুনতে হবে। বছর আঠারো র ছেলেটা খেলায় ফাকি দিতে চায় না। ক্রিকেট কে আকড়ে জীবন পেতে চায় ও। তাই সমস্ত কষ্ট অপমান সহ্য করে আজ আইপিএলে নেট বোলারের সুযোগ জুটেছে। জিন্না মন্ডল বাংলা র ক্রিকেটের সম্ভাবনা ময় জোরে বোলার।


Body:ক্ষুধার রাজ্যে জিন্না মন্ডলের পৃথিবী সত্যিই গদ্যময়। দুবেলা দুমুঠো অন্নের জন্যে ওর লড়াই আইপিএলে র প্রিজমে দেখলে সাদাকালো সিনেমা মনে হবে। যা হয়ত কোন চিত্রনাট্যকার লিখতে পারলে ধন্য মনে করতেন। বসিরহাটের বিবিপুরের ভাগচাষীর ছেলে জিন্না ইডেনে নেট বোলার।ইতিমধ্যে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের ডেভিড মিলারের উইকেট ভেঙে ছেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের পীযুষ চাওলাকেও আউট করেছেন সম্বরন ব‍্যানার্জীর ক্রিকেট আকাডেমির এই শিক্ষার্থী পেসার। কলকাতা পঞ্জাব ছাড়াও হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে বল করে নজর কেড়েছেন পাচ ফুট দশ ইঞ্চি লম্বা র ছিপছিপে ছেলেটি। সম্বরন তাকে ডাকেন জোরে বোলার বলে।
নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে জিন্না র বাবা দিনমজুর। পেট চালাতে রাত জেগে মাছ ধরতে হয় তাকে। বাবাকে সাহায্য করতে মাঠে বিলে জলা জমিতে বিষাক্ত সাপের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে মাছ ধরে জিন্না।মা জমিতে ঘাস কাটেন। বাড়িতে হাস মুরগি ছাগল আছে। তা প্রতিপালন করেই মন্ডল পরিবারের গ্রাসাচ্ছদনের লড়াই।
গদ্যময় পৃথিবীতে বাস করেও জিন্নার চোখে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন। রাস্তায় পড়ে থাকা ইটের ঢেলা,ডাবের মুচি,লেবু দিয়ে জিন্নার বোলিংয়ের হাতে খড়ি। সেখান থেকে টেনিস বলে হাত পাকিয়ে পাড়ার মাঠে খেলা শুরু। গরিব ঘরের ছেলে, লিকলিকে চেহরা দেখে সুযোগ দিতে চাইত না কেউ। কিন্তু ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। দাদাদের ফাইফরমাশ খেটে জল বয়ে মন জুগিয়ে পাড়ার দলে জায়গা পেয়েছিল। এভাবেই টেনিস বলের টুর্নামেন্টে ভালো খেলে এলাকার এক ক্রিকেট প্রেমীর নজরে পড়ে জিন্না। তারই হাত ধরে হিন্দুস্তান পার্কের সম্বরন ব্যানার্জি র ক্রিকেট আকাডেমি তে। কবছর কলকাতায় প্র্যাকটিস করছে- এই প্রশ্নে জিন্নার সহজ সরল উত্তর,"এবছর আম পাকার সময় এলে দুবছর হবি।"
শনি রবিবার আকাডেমি তে প্র‍্যাকটিস। সপ্তাহের বাকি দিন গুলোতে ফজর নামাজের পরে কিছুক্ষণ শরীরচর্চা। তারপর প্রতিবেশীদের আমবাগান, ধানক্ষেত কিংবা স্কুলের মাঠে বল ব্যাট নিয়ে অনুশীলন। বিবিপুরের স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক দিয়ে ছে জিন্না। স্কুলের হেডমাস্টার মশাই ও গেমটিচার নানাভাবে সাহায্য করছেন।গতবছর ন্যাশনাল স্কুল ক্রিকেট ট্রায়ালে ডাক পেলেও সময় মত নথি জমা দিতে না পারায় সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। ইতিমধ্যে উত্তর 24 পরগনা জেলা লিগে সুযোগ পেয়েছে। পান্তাভাত খেয়ে প্র্যাকটিসের কথা শুনে সম্বরন ব্যানার্জি টিফিনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আকাডেমি র অন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবক রা জিন্নার প্রতি সহানুভূতিশীল। ইতিমধ্যে আকাডেমি থেকে একমাত্র জিন্নাই নেট বোলার হিসেবে ডাক পেয়েছে।
আইপিএলে র বড় মঞ্চে নেট বোলার হওয়ার সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে নিজেকে পরিশালিত করতে চায় জিন্না। বলের গতি বাড়ানোর কারিকুরি আয়ত্ত করতে চায় সে। ডেল স্টেইনের বল করা কাছ থেকে দেখে মুগ্ধ। আপাতত ক্লাব ক্রিকেটে সুযোগ পাওয়ার আশায় দিন গুনছে বছর আঠারো র পেসার। প্রাথমিক ভাবে বাংলা দলে জায়গা করে নেওয়া পাখির র চোখ। তারপর জাতীয় দলের স্বপ্ন।চাষের মাঠ থেকে মিলার পীযুষ চাওলার উইকেট। আইপিএলে র রঙিন ক্রিকেট চোখে নেশা ধরিয়ে ছে। সেই নেশাতেই গদ্য ময় জীবন থেকে ক্রিকেটের রাজপথে ছুটতে চায় দিনমজুরের ছেলে জিন্না মন্ডল।


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.