কলকাতা, 30 জুলাই : 2015 সালে গ্যাস লিক করে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । এই ঘটনায় গাফিলতির দায়ে গ্রেটার ক্যালকাটা গ্যাস সাপ্লাই কর্পোরেশন লিমিটেডকে 64 লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল ।
ঠিক কী ঘটেছিল ?
দিনটা ছিল 4 জানুয়ারি, 2015 । সুমন্তিকা ও তার রুমমেট সুবর্ণা লামাকে ঘরের মধ্য থেকে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সুমন্তিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় । বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ । জানা যায়, দমবন্ধ হওয়ার কারণে তারা অচৈতন্য হয়ে পড়েছিল । অতিরিক্ত কার্বন মনোক্সাইডের জেরে তাদের দমবন্ধ হয়ে যায় বলে জানা গেছে ।
ঘরের মধ্যে অতিরিক্ত মাত্রায় কার্বন মনোক্সাইড এল কীভাবে?
তদন্তে জানা যায় , GCGSCL-এর যে পাইপটি তাদের ঘরের জানালার কাছে ছিল কোনও কারণে সেটিতে ফাটল ধরে । আর তাদের ঘরে ঢুকে যায় বিষাক্ত গ্যাস ।
এই ঘটনার পর সুমন্তিকার বাবা দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়ের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ চেয়ে NGT-র কাছে যান। তিনি 20 লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন। NGT-র বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করে যে , সুমন্তিকা বেঁচে থাকলে বছরে 4 লাখ টাকা রোজগার করত। সেই সংখ্যাটিকে 16 দিয়ে গুণ করলে 64 লাখ টাকার উপর হয়। এই গড় হিসেব করেই সুমন্তিকার বাবা দেবাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে 64 লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় NGT ।
আইনজীবী ও পরিবেশকর্মীরা বলছেন, রাজ্যে এমন রায় বিরল । রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রাক্তন মুখ্য আইন অফিসার এবং পরিবেশকর্মী বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘এই রায় বিরলতম। বহু বছর আগে সিলিকোসিসের এক মামলায় সুপ্রিম কোর্ট এমন রায় দিয়েছিল।’’