ETV Bharat / briefs

কোরোনা নয়, সামাজিক বয়কটেই ভয় অ্যাম্বুলেন্স চালকদের - অ্যাম্বুলেন্স চালক

কোরোনা রোগী অ্যাম্বুলেন্সে বহন করা হচ্ছে, এই কথা জানাজানি হলে সমাজ এক ঘরে করতে পারে, এই ভয় গ্রাস করেছে মালদার অ্যাম্বুলেন্স চালকদের। বাধ্য হয়ে তাঁদের রোগী বহন করার কথা গোপন রাখতে হচ্ছে পরিবারের কাছেও।

Ambulance drivers of malda
Ambulance drivers of malda
author img

By

Published : Jun 4, 2020, 1:36 PM IST

মালদা, 4 জুন : মালদা জেলায় ক্রমশ বাড়ছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৷ সংক্রামিতদের কোভিড হাসপাতাল কিংবা আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে যেতে একমাত্র ভরসা হাতে গোনা কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স। রোগীদের হাসপাতাল বা আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে যেতে দিনরাত তৈরি কোভিড অ্যাম্বুলেন্সের চালকরা ৷ কোরোনা নিয়ে তাঁদের কোনও ভয় নেই, ভয় একমাত্র সমাজকেই ৷

Ambulance drivers of malda
অ্যাম্বুলেন্স চালক

কোরোনা রোগী বাহক হিসাবে তাঁদের নাম প্রকাশ্যে চলে আসলে তার ফল ভুগতে হতে পারে তাঁদের পরিবারকেও ৷ এমনকি, এলাকায় থাকতে দেওয়া হবে কিনা তা নিয়েও চিন্তা রয়েছে চালকরা ৷ তাই কোরোনা রোগী বহন করার কথা গোপন রাখতে হচ্ছে পরিবারের কাছেও

মালদা জেলায় এখনও পর্যন্ত 158 জন কোরোনা পজিটিভের সন্ধান মিলেছে ৷ সংক্রামিতদের বেশিরভাগকেই পুরাতন মালদার কোভিড হাসপাতাল কিংবা বিভিন্ন আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ জেলার প্রথম তিন আক্রান্তকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শিলিগুড়ি কোভিড হাসপাতালে ৷ প্রতিটি ক্ষেত্রেই অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেছিল জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ৷ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোরোনা আক্রান্তদের বহন করার জন্য আপাতত আটটি অ্যাম্বুলেন্স কাজ করছে ৷ এই অ্যাম্বুলেন্সগুলি প্রত্যেকটিই বেসরকারি ৷ প্রয়োজনে আরও অ্যাম্বুলেন্স কাজে লাগানো হবে ৷ সংক্রামিতদের বহন করার সময় চালকদের পিপিই কিট দেওয়া হচ্ছে ৷ এছাড়া রোগীকে হাসপাতাল কিংবা আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার পর গোটা অ্যাম্বুলেন্সকে স্যানিটাইজও করা হচ্ছে ৷ তারপরেই সেই অ্যাম্বুলেন্সকে দ্বিতীয় রোগীর জন্য পাঠানো হচ্ছে

Coronavirus malda ambulance driver
মুখ লুকিয়েই কোরোনা রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দিচ্ছেন চালকরা।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, “আমরা অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সুরক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেছি ৷ প্রতিদিন তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে, দেওয়া হচ্ছে ওষুধ ৷ তাঁদের খাবারের ব্যবস্থাও স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকেই করা হচ্ছে৷ চালকরা যাতে কোনওভাবেই কোরোনা সংক্রামিত না হন, তার দিকে আমরা কড়া নজর রেখেছি৷”

স্বাস্থ্য দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় খুশি অ্যাম্বুলেন্স চালকরাও ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক বলেন, “আমাদের জন্য যে সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে, তাতে আমাদের সংক্রমণের ভয় নেই বললেই চলে ৷ আমরাও তাই কোরোনা রোগী বহন করতে কোনও ভয় পাচ্ছি না ৷ তবে আমাদের ভয় অন্য জায়গায় ৷ আমরা কোরোনা রোগী বহন করছি, সেকথা যদি আমাদের এলাকার লোকজন একবার জেনে ফেলে, তবে তারা আমাদের আর বাড়িতে থাকতে দেবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে ৷ ইতিমধ্যে জেলার অনেক জায়গায় ভিনরাজ্য ফেরত শ্রমিকদের তাদের এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি ৷ অনেককেই রাস্তাঘাটে দিন কাটাতে হয়েছে৷ লোকজন আমাদের কথা জেনে ফেললে তার ফল ভোগ করতে হতে পারে পরিবারের সদস্যদেরও ৷"

তিনি আরও যোগ করে বলেন, " বিষয়টি একবার জানাজানি হলে পরিবার সহ আমরা সামাজিক বয়কটের মুখে পড়তে পারি ৷ তাই আমরা যে কোরোনা রোগী বহন করছি, তা পরিবারের কাউকেও জানাই না ৷ রোগী বহন করার সময় আমরা পিপিই কিটে গোটা মুখ ঢেকে ফেলি ৷ যাতে আমাদের কেউ চিনতে না পারে ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত আমাদের কাউকে এই সমস্যায় পড়তে হয়নি ৷ তবে সাবধানের মার নেই ৷”

মালদা, 4 জুন : মালদা জেলায় ক্রমশ বাড়ছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৷ সংক্রামিতদের কোভিড হাসপাতাল কিংবা আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে যেতে একমাত্র ভরসা হাতে গোনা কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স। রোগীদের হাসপাতাল বা আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে যেতে দিনরাত তৈরি কোভিড অ্যাম্বুলেন্সের চালকরা ৷ কোরোনা নিয়ে তাঁদের কোনও ভয় নেই, ভয় একমাত্র সমাজকেই ৷

Ambulance drivers of malda
অ্যাম্বুলেন্স চালক

কোরোনা রোগী বাহক হিসাবে তাঁদের নাম প্রকাশ্যে চলে আসলে তার ফল ভুগতে হতে পারে তাঁদের পরিবারকেও ৷ এমনকি, এলাকায় থাকতে দেওয়া হবে কিনা তা নিয়েও চিন্তা রয়েছে চালকরা ৷ তাই কোরোনা রোগী বহন করার কথা গোপন রাখতে হচ্ছে পরিবারের কাছেও

মালদা জেলায় এখনও পর্যন্ত 158 জন কোরোনা পজিটিভের সন্ধান মিলেছে ৷ সংক্রামিতদের বেশিরভাগকেই পুরাতন মালদার কোভিড হাসপাতাল কিংবা বিভিন্ন আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ জেলার প্রথম তিন আক্রান্তকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শিলিগুড়ি কোভিড হাসপাতালে ৷ প্রতিটি ক্ষেত্রেই অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেছিল জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ৷ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোরোনা আক্রান্তদের বহন করার জন্য আপাতত আটটি অ্যাম্বুলেন্স কাজ করছে ৷ এই অ্যাম্বুলেন্সগুলি প্রত্যেকটিই বেসরকারি ৷ প্রয়োজনে আরও অ্যাম্বুলেন্স কাজে লাগানো হবে ৷ সংক্রামিতদের বহন করার সময় চালকদের পিপিই কিট দেওয়া হচ্ছে ৷ এছাড়া রোগীকে হাসপাতাল কিংবা আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার পর গোটা অ্যাম্বুলেন্সকে স্যানিটাইজও করা হচ্ছে ৷ তারপরেই সেই অ্যাম্বুলেন্সকে দ্বিতীয় রোগীর জন্য পাঠানো হচ্ছে

Coronavirus malda ambulance driver
মুখ লুকিয়েই কোরোনা রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দিচ্ছেন চালকরা।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, “আমরা অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সুরক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেছি ৷ প্রতিদিন তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে, দেওয়া হচ্ছে ওষুধ ৷ তাঁদের খাবারের ব্যবস্থাও স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকেই করা হচ্ছে৷ চালকরা যাতে কোনওভাবেই কোরোনা সংক্রামিত না হন, তার দিকে আমরা কড়া নজর রেখেছি৷”

স্বাস্থ্য দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় খুশি অ্যাম্বুলেন্স চালকরাও ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক বলেন, “আমাদের জন্য যে সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে, তাতে আমাদের সংক্রমণের ভয় নেই বললেই চলে ৷ আমরাও তাই কোরোনা রোগী বহন করতে কোনও ভয় পাচ্ছি না ৷ তবে আমাদের ভয় অন্য জায়গায় ৷ আমরা কোরোনা রোগী বহন করছি, সেকথা যদি আমাদের এলাকার লোকজন একবার জেনে ফেলে, তবে তারা আমাদের আর বাড়িতে থাকতে দেবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে ৷ ইতিমধ্যে জেলার অনেক জায়গায় ভিনরাজ্য ফেরত শ্রমিকদের তাদের এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি ৷ অনেককেই রাস্তাঘাটে দিন কাটাতে হয়েছে৷ লোকজন আমাদের কথা জেনে ফেললে তার ফল ভোগ করতে হতে পারে পরিবারের সদস্যদেরও ৷"

তিনি আরও যোগ করে বলেন, " বিষয়টি একবার জানাজানি হলে পরিবার সহ আমরা সামাজিক বয়কটের মুখে পড়তে পারি ৷ তাই আমরা যে কোরোনা রোগী বহন করছি, তা পরিবারের কাউকেও জানাই না ৷ রোগী বহন করার সময় আমরা পিপিই কিটে গোটা মুখ ঢেকে ফেলি ৷ যাতে আমাদের কেউ চিনতে না পারে ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত আমাদের কাউকে এই সমস্যায় পড়তে হয়নি ৷ তবে সাবধানের মার নেই ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.