কলকাতা, 23 জানুয়ারি : কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি যুক্ত সিস্টেম চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মুখ থুবড়ে পড়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল জিআইএস ম্যাপিং সিস্টেম । কলকাতা পুলিশের নতুন নগরপাল বিনীত গোয়েল এসে এবার সেই জিআইএস সিস্টেমকে নতুন করে চালু করতে চাইছেন। খুব শিগগিরই এই জিআইএস ম্যাপিং সিস্টেমের কাজ শুরু হবে বলে সূত্রের খবর (GIS system in Kolkata) ।
কী এই জিআইএস ম্যাপিং পদ্ধতি ? লালবাজার সূত্রে খবর, এটি একটি আধুনিক পদ্ধতি। বিদেশে বেশ কিছু জায়গায় এই পদ্ধতির দ্বারা পুলিশ কাজ করে। জিআইএস পদ্ধতির মাধ্যমে একটি থানার অফিসার এক ক্লিকেই বুঝতে পারেন তাঁর থানা এলাকায় কতগুলি ব্যাঙ্ক, কতগুলি এটিএম কাউন্টার, কতগুলি পোস্ট অফিস, কতগুলি ধর্মস্থান থেকে শুরু করে কী কী গুরুত্বপূর্ণ জায়গা রয়েছে । সবটাই নথিভূক্ত থাকে ওই সিস্টেমে।
মূলত এই সিস্টেমের এই পদ্ধতির দ্বারা চিহ্নিত করা যায় অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলিকেও । কোন একটি জায়গায় অপরাধ সংঘটিত হলে তা এক ক্লিকেই চিহ্নিত করে কম সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যেতে সাহায্য করবে এই জিআইএস সিস্টেম ।
কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই এই সিস্টেম নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেন কীভাবে ডাটা ভান্ডারকে আরো শক্তিশালী করা যায় । তাই নিয়ে সাইবার এক্সপার্টদের সঙ্গে বৈঠকেও বসেন তিনি ।
তাছাড়াও প্রত্যেকটি থানা এলাকার সীমানা আপডেট করতে গিয়ে ধরা পড়ে একাধিক গাফিলতি । যেমন, বিভিন্ন সময়ে একাধিক থানা ভাগ হয়ে দু'টি কিংবা তিনটি থানায় পরিণত হয়েছে ৷ পাশাপাশি থানার আয়তন বেড়েছে । দেখা যায়, একাধিক থানা এলাকায় নতুন নতুন ব্যাঙ্ক, এটিএম কাউন্টার, বিভিন্ন ধর্মস্থান, পার্ক, একাধিক আবাসন গড়ে উঠেছে ৷ কিন্তু বর্তমানে সেই সমস্ত জায়গাগুলির ঠিকমতো নথিভুক্তকরণ করা হয়নি থানার তরফ থেকে। কোনও জায়গায় কোনও ঘটনা ঘটলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান কিছুটা মুশকিল হয়ে যায় পুলিশ কর্মীদের পক্ষে ।
শুধু থানা নয়, এর সঙ্গে দেখা হয় বিভিন্ন থানা এলাকার ট্রাফিক পুলিশ এবং ব্যক্তিগতভাবে লাগানো বেশ কিছু ক্যামেরা রয়েছে। সেই ক্যামেরাগুলির মধ্যে কতগুলি বিকল এবং কতগুলি সক্রিয় রয়েছে তাও জানা যাচ্ছে এই ম্যাপিং সিস্টেমের মাধ্যমে। বিভিন্ন থানা এলাকায় এই প্রকারের সার্ভে করার পরেই সিদ্ধান্ত উপনীত হয়েছে যে, সাড়ে 3 হাজার ক্যামেরা বসানো হবে গোটা কলকাতায়। তাছাড়াও শহরের প্রতিটি জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা কোথায় কতগুলি রয়েছে এবং তার নির্দিষ্ট অবস্থান কোথায় তাও জানা যাবে এই সিস্টেমের মাধ্যমে। ফলে সংশ্লিষ্ট ক্যামেরা দেখে অপরাধীকে দ্রুতই শনাক্ত করতে পারবেন পুলিশ কর্মীরা।
আরও পড়ুন : বাড়িতে বসেই মিলবে জন্ম ও মৃত্যু’র শংসাপত্র, উদ্যোগী কলকাতা পৌরনিগম