হলদিয়া, 5 মে : "এটা এই রাজ্যের দুর্ভাগ্য , এখানে শ্রীরাম বললে মমতাজি অসন্তুষ্ট হন । আর জয়শ্রীরাম বললে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় ।" হলদিয়ায় নরেন্দ্র মোদির সভার তদারকি করতে এসে একথা বলেন BJP নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় । আগামীকাল দুপুর 12 টা 50 নাগাদ হলদিয়ায় নরেন্দ্র মোদির সভা । তিনি তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের BJP প্রার্থী সিদ্ধার্থ নস্করের সমর্থনে প্রচারে আসবেন ।
সভাস্থান পরিদর্শন করার পর কৈলাস বলেন, "বাংলা ছাড়া দেশের আর কোথাও জয়শ্রীরাম বললে কেউ অসন্তুষ্ট হয় না । বা কোথাও তাদের থানায় ধরেও নিয়ে যাওয়া হয় । এই তোষণ নীতির কারণেই ISIS বাংলায় নিজের জায়গা করে নিয়েছে । ISIS একটি চিঠি দিয়েও জানিয়েছে যে তারা খুব তাড়াতাড়ি বাংলায় আসছে । তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী নিজে মমতা ব্যানার্জিকে তিনবার ফোন করেছিলেন ফণী পরবর্তী রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে । কিন্তু তাঁর কর্মচারী ফোনে বলেন তিনি সফরে গেছেন । আফসোসের ব্যাপার, রাজ্যপালের কাছে প্রধানমন্ত্রী রিপোর্ট চাওয়াতে তিনি বিপর্যস্ত মানুষের সঙ্গে দেখা করতে যান । রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে একটুও শিষ্টাচার নেই যে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে তিনবার ফোন করার পরও তিনি কোনও জবাব দেন না । এরকম দায়িত্বহীন সরকার, যিনি প্রধানমন্ত্রীর কথা চিন্তা করেন না । এমন কী নিজের রাজ্য সম্পর্কেও কোনও চিন্তা নেই । জনতা মমতাজিকে চিনে গেছে । এই নির্বাচনে তার জবাবও দেবে জনতা । তিনি আরও বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর সভা বানচাল করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৃণমূলের গুন্ডারা হুমকি দিচ্ছে । আগেরবার অমিত শাহের সভার মতো এই সভাতেও তারা হাঙ্গামা করবে বলছে ।"
আগামীকাল নরেন্দ্র মোদির সভার প্রস্তুতি প্রায় শেষ । ইতিমধ্যেই হলদিয়ার হেলিপ্যাড ময়দানে সভামঞ্চ তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে । SPG কমান্ডোরা সভাস্থানে মোতায়েন আছে । সকাল থেকেই দফায় দফায় খতিয়ে দেখা হচ্ছে নিরাপত্তার খুঁটিনাটি । স্নিপারডগ ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে বারবার পরীক্ষা করা হচ্ছে পুরো মাঠ । ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে তিনটি হেলিকপ্টারের ট্রায়াল রান করানো হয়েছে । কৈলাস বিজয়বর্গীয় ছাড়াও সভাস্থান পরিদর্শনে আসেন BJP নেতা দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়রা ।
তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রদীপ দাস বলেছেন, "আমাদের সভাতে দলীয় কর্মীদের আনার জন্য যে বাসগুলো বুক করা হয়েছে তার একাধিক মালিককে হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল । শুনেছি আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা বানচাল করার জন্য হলদিয়াতেই তৃণমূল একাধিক কর্মসূচি রেখেছে । তবে তাতে কোনও লাভ হবে বলে মনে হচ্ছে না । আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি সমর্থক সভাস্থানে আসবেন বলে অনুমান করছি । তৃণমূল যদি ভেবে থাকে কাঁথির মতো আবার আক্রমণ করবে তাহলে ভুল ভাবছে । অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রথমে প্রশাসনের উপর ভরসা করা হবে সাহায্য না পেলে আমরাও প্রস্তুত রয়েছি পালটা প্রতিরোধ করার জন্য ।"