দিল্লি, 10 জুন : বর্ণবৈষম্য শুধুমাত্র চামড়ার রঙের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই । ভিন্ন চিন্তাধারার মানুষকেও নানভাবে বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয় । মনে করেন প্রাক্তন ভারতীয় পেসার ইরফান পাঠান । তাঁর টুইটবার্তা, "বর্ণবৈষম্য শুধুমাত্র শরীরের রঙের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই । অন্য চিন্তাধারায় বিশ্বাসী বলে একটি সোসাইটিতে তোমাকে বাড়ি কিনতে না দেওয়াটাও একপ্রকারের বর্ণবৈষম্যই।” প্রসঙ্গত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের প্রাক্তন অধিনায়ক ড্যারেন সামি অভিযোগ করেন, 2014-র IPL-এর সময় তাঁকে বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয় । এই অবস্থায় ইরফান পাঠানের এই টুইটবার্তা ।
2014 IPL-এ সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলার সময় ড্যারেন সামিকে 'কালুু' বলে ডাকা হত । সম্প্রতি 'কালু' শব্দের অর্থ জানার পর বর্ণবৈষম্য নিয়ে মুখ খোলেন সামি । প্রতিবাদ জানান । আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল ও অন্য ক্রিকেট বোর্ডকেও বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি ।
-
Racism is not restricted to the colour of the skin.Not allowing to buy a home in a society just because u have a different faith is a part of racism too... #convenient #racism
— Irfan Pathan (@IrfanPathan) June 9, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">Racism is not restricted to the colour of the skin.Not allowing to buy a home in a society just because u have a different faith is a part of racism too... #convenient #racism
— Irfan Pathan (@IrfanPathan) June 9, 2020Racism is not restricted to the colour of the skin.Not allowing to buy a home in a society just because u have a different faith is a part of racism too... #convenient #racism
— Irfan Pathan (@IrfanPathan) June 9, 2020
বর্ণবৈষম্য নিয়ে বলতে গিয়ে দেশীয় ক্রিকেটের উদাহরণ তুলে ধরেন ইরফান । এখানেও অনেককেই তীর্যক মন্তব্যের মুখে পড়তে হয় বলে দাবি তাঁর । একটি সাক্ষাৎকারে পাঠান বলেন, "ঘরোয়া ক্রিকেটে আমি দেখেছি, কিছু ক্রিকেটার যারা দক্ষিণ ভারত থেকে খেলতে আসেন তাঁরা তীর্যক মন্তব্যের শিকার হন । প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে সাধারণত খুব কম সংখ্যক দর্শক থাকে । সেখানে সব সময় একজন থাকে যে নিজেকে জোকার ভাবে। সে নিজে বিখ্যাত হতে চায় এবং ক্রিকেটারদের প্রতি তীর্যক মন্তব্য করে বসে ।"
পাঠান আরও বলেন, "আমি মনে করি একটি সমাজের সবাইকে শিক্ষা নেওয়া উচিত । বাড়ির বড়দের শেখানো উচিত কোনটা ঠিক কোনটা ভুল। অন্যের বিশ্বাস ও আস্থার মর্যাদা দেওয়া দরকার । আমরা আমাদের বাচ্চাদের আরও ভালো শিক্ষা দিতে পারি।"