নয়াদিল্লি, 1 জুন: জাতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির তদন্তে আকস্মিকভাবে মোড় বদল দিল্লি পুলিশের ৷ কার্যত পালটি খেয়ে নিজেদের বক্তব্য থেকে 180 ডিগ্রি ঘুরে দাঁড়াল দিল্লি পুলিশ ৷ প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছিল যে, ব্রিজভূষণ সিংকে গ্রেফতার করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ নেই তাদের হাতে ৷ এমনকী কুস্তিগীররা নিজেদের অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ এবং কোনও তথ্যও দিতে পারেনি ৷ এদিন দিল্লি পুলিশের তরফে অবশ্য বিষয়টি বিবেচনাধীন বলে জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে, তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
দিল্লি পুলিশের তরফে যে প্রাথমিক টুইট করা হয়েছিল, তা মুছে দেওয়া হয়েছে ৷ দিল্লি পুলিশের জনসংযোগ আধিকারিক সাংবাদিকদের জন্য সরকারিভাবে যে বার্তা দিয়েছিল, তাও এদিন সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশের পর দিল্লি পুলিশ টুইট করে জানিয়েছে, এই খবরটি সম্পূর্ণ ভুল ৷ সংবেদনশীল মামলার তদন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পুলিশ করছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ আবারও সব অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা একটি বিবৃতি জারি করেছেন। তিনি ফের একবার বলেন, "যদি আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়, আমি নিজেকে ফাঁসি দেব। যদি আপনাদের (কুস্তিগীরদের) কাছে কোনও প্রমাণ থাকে, তাহলে তা আদালতে পেশ করুন ৷ আমি যে কোনও শাস্তি মেনে নিতে প্রস্তুত ৷"
জাতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান এবং দেশের পদকজয়ী কুস্তিগীরদের মধ্যে যুদ্ধ কার্যত ধীরে ধীরে মুখোমুখি সংঘর্ষে পরিণত হওয়ার উপক্রম ৷ অন্যদিকে, ঘোলাজলে আচমকা হাজির হয়েছেন রাকেশ টিকাইতও ৷ খাপ পঞ্চায়েতের নেতৃত্বে হরিয়ানার খাপ এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষক সংগঠনগুলি কুস্তিগীরদের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকট করেছে ইতিমধ্যেই ৷ আর কুস্তিগিরদের পালটা অযোধ্যার রাম কথা প্রাঙ্গণে 5 জুন যে 'জন চেতনা মহা সমাবেশ'-এর ডাক দেওয়া হয়েছে, তাকে একটি মেগা-শো করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে সমাবেশকে প্রকাশ্যেই সমর্থন জানিয়েছে, মহন্ত কমল নয়ন দাস, মণি রাম দাস এবং মহন্ত মৈথিলি রমন ৷ সেই সঙ্গে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদও ব্রিজভূষণের 5 জুনের সমাবেশের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে বলে জানা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: দিল্লির পর উত্তরপ্রদেশ, আজ ব্রিজভূষণের রাজ্যেই কুস্তিগীরদের মহাপঞ্চায়েত
অন্যদিকে কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত জানিয়েছেন, কুস্তিগীরদের এই প্রতিবাদ নিয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার মুজফফরনগরের সোরাম গ্রামে একটি 'মহাপঞ্চায়েত' অনুষ্ঠিত হবে। কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি সরকারের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ৷ পাঁচদিনের চূড়ান্ত সময়সীমাও সরকারকে বেঁধে দিয়েছে কুস্তিগীররা ৷